• মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৫ ১৪৩০

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
চলন্ত বাসে চালক-যাত্রীর মধ্যে গোলাগুলি! মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই শেষ হয়ে গেল নির্বাচন! কমলগঞ্জে বিশ্ব মা দিবস পালিত প্রাক্তন স্বামীর কাছেই ফিরছেন কারিশমা? শেখ হাসিনার প্রথম সিলেট সফর স্মরণ করে দু’আ মাহফিল চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি মৌসুমি ফলের
২২

বাবার দেওয়া কিডনিতে বাঁচলো ছেলের জীবন

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

আবু মুনিমের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায়। এক বছর আগে লন্ডনের গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবে পড়াশোনা শেষ করেছেন তাঁর ছেলে ২১ বছরের তরুণ ইব্রাহিম। মিডিয়া স্টাডিজে স্নাতক শেষ করার পরই তাঁর চাকরি হয় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে জানা যায়, ইব্রাহিমের দুটি কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। এমন খবরে তাঁর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।

এরপরে রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে ইব্রাহিমকে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুরু হয় তাঁর কিডনির চিকিৎসা। দীর্ঘ এক বছর বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকেরা তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।  কিন্তু দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের কিডনির কার্যক্ষমতা কম বলে এ সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসে তাঁর পরিবার।

এ অবস্থায় সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েন ইব্রাহিমের বাবা সমাজকর্মী আবু মুনিম ও তাঁর পরিবার। সেই সময় অনেকে তাঁকে ইব্রাহিমকে ভারতে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন। কিন্তু আবু মুনিম সিদ্ধান্ত নেন, নিজের একটি কিডনি ছেলেকে দেবেন।

আবু মুনিমের সিদ্ধান্তে গত ৪ মে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর একটি কিডনি ইব্রাহিমের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকেরা। আবু মুনিম ও ইব্রাহিম দুজনেই এখন সুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে এখন নিজ বাড়িতেই আছেন এই বাবা–ছেলে।

আবু মুনিম বলেন, ‘আমার জীবনের চেয়ে ছেলের জীবন আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাবা হয়ে ছেলের জীবনপ্রদীপ নিভে যাক, সেটা তো কখনো আমি চাইব না, হতেও দেব না। আমি যেহেতু একজন সুস্থ মানুষ, তাই একটি কিডনি দিতে অসুবিধা হয়নি। আমার একটি কিডনিতে ছেলে তাঁর জীবন ফিরে পেয়েছে, এর চেয়ে আনন্দ আমার আর কী হতে পারে?’

একজন সমাজকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে আবু মুনিম আরও বললেন, ‘সবকিছুর জন্যই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। দেশ–বিদেশের সবার কাছে আমার ছেলে ইব্রাহিমের জন্য দোয়া কামনা করছি।’

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার