খাস জমি থেকে মাটি উত্তোলন : গোয়াইনঘাটের ইউএনও বরাবর অভিযোগ

গোয়াইনঘাটের বোগাহাওরের এক নং মৌজার সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের পক্ষে উপজেলার ঘোষগ্রাম গ্রামবাসির পক্ষে আস্কর আলীর ছেলে মো. জমির উদ্দিন ১০জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের আছদ আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, মছদ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান, আতর আলীর মাহমুদ আলী, মছদ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান, আব্দুল বারীর ছেলে আমির উদ্দিন, হবিব উল্যার ছেলে সিরাজ উদ্দিন, আছদ আলীর ছেলে আইয়ূব আলী, হবিব উল্ল্যাহর ছেলে ইউনুছ আলী, লাতু গং গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে কুদরত উল্যা ও আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ আলী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত ঘোষগ্রাম গ্রাম বাসীর জনসাধারণের গো-মহিষাদি এবং বোরো ফসল ফলানোর এক মাত্র জায়গা। তাদের পূর্ব পুরুষ হতে এ জায়গায় গরু-মহিষ ও বোরো ফসল চাষ করে আসছিলেন। এখনও এই ভূমি ব্যতিত গরু-মহিষ এবং লোকজন চলাচলের জন্য এবং বোরো ফসল ফলানোর বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।

কিন্তু অভিযুক্তরাসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি খাস ভূমি তোয়াক্কা না করে ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর দিয়ে গভীর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছেন। এতে গ্রামবাসীগন বাঁধা দিলে বাঁধা তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বিবাদীরা।

এদিকে বিবাদীরা ৯৯ সালের আগে গোপনে এই জমি কৃষি বন্দোবস্ত গ্রহণ করে। পরে স্থানীয়রা সহকারী জজ আদালত, গোয়াইনঘাটে স্বত্ব-মোকদ্দমা নং-১৪/১৯৯৯ দায়ের করলে গ্রামবাসীর পক্ষে ২০০১সালে রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।

গোচারণ ও বোরো রকম ভূমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাবি জানান স্থানীয়রা।

এব্যাপারে বক্তব্য জানতে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।