ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১৯৪

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী/

ব্যাপক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

টানা তৃতীয় মেয়াদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬২ সালে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্বদানের মাধ্যমেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবকে জয়দেবপুর থেকে ফেরত চলে আসতে বাধ্য করেন। গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে দায়িত্বকালীন নিজের অভিজ্ঞতা ও পরবর্তী নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। 

গণমাধ্যম: তৃতীয়বারের মতো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই মেয়াদে মন্ত্রণালয়ের কাজের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কী ধরনের কাজ করতে চান?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি ইতিহাসের ওপর। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগাথা। একই সঙ্গে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছিল, পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিবাহিনীর যে ভূমিকা ছিল, তাও সামনে আনা। এই দুটো ভূমিকাই আমাদের পাঠ্যসূচিতে যথাযথভাবে তুলে ধরতে চাই।

বিভিন্ন সার্ভিসে মুক্তিযুদ্ধ কোটা সংরক্ষণ করা। যেটা স্বীকৃত, সেটাও সংরক্ষিত হচ্ছে না। এজন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-পরিচয় ডাটাবেজ করা হয়েছে। বছর দুয়েক পর প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক পরিচয়সহ সব তথ্য ডাটাবেজ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও এই ডাটায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাদের সামাজিক মর্যাদা আরেকটু কীভাবে বাড়ানো যায়, সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়—সেগুলো বিবেচনা করা হবে।

গণমাধ্যম: গত দুই মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বীরগাথা’ নামে

“একটি প্রকল্প চালু করা রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথার ইতিহাস সংরক্ষণ করা হচ্ছে। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এখনো তা চলমান রয়েছে। জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে, কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তা মৌখিকভাবে নেওয়া হচ্ছে।”

“অন্যদিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো একই নকশায় বাঁধানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সব ঐতিহাসিক স্থান যেগুলো যুদ্ধের সময় গুরুত্ব বহন করেছিল, সেসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। যে বধ্যভূমিগুলো এখনো সংরক্ষণ হয়নি সেগুলো দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য প্রতি জেলা, উপজেলায় কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছে। ছোট একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র প্রদর্শিত হবে।”

গণমাধ্যম: কিন্তু যে মৌলিক চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, আমাদের সমাজ কি সেটা ধরে রাখতে পেরেছে? নাকি আমরা আবারও পাকিস্তানি ধ্যানধারণায় ফিরে যাচ্ছি?

আ ক ম মোজাম্মেল হক : মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা যেমন আছে, তেমনি একটা ব্যাপক সংখ্যক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্যানধারণার বাইরেও রয়েছে । ১৯৭০-এর নির্বাচনকে ভিত্তি ধরা হলে সে সময়েও ৩০ শতাংশ মানুষ নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন না। পরবর্তী সময় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছে। তারা কিন্তু তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। করলেও দু-চারজন হয়তো করেছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন না এমন অনেকে, বুঝে হোক না বুঝে হোক, তারা কিছু বলেন না। তারা খুব সুকৌশলে চলেন। তারা কখনো বলেনি, আমরা মুক্তিযুদ্ধকে মানি না। মুখে যদিও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে মানে। কিন্তু তাদের কার্যক্রমে বোঝা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করতে না পারলেও তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে নয়। মুক্তিযুদ্ধের পরও তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। তারা একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে।

গণমাধ্যম: বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চার দিক থেকে আপনার মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখতে পারে?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: সংস্কৃতি চর্চায় আমরা কোনো ভূমিকা পালন করি না। এটা খুবই দুঃখজনক। আগে সংস্কৃতির চর্চা হতো বাঙালি কৃষ্টির। এখন এর বিপরীতে চলছে আকাশ সংস্কৃতির চর্চা, বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব। বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা উঠে গেছে। বাঙালি বিয়েতে এখন হিন্দি গান বাজানো হয়। যুবকদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গান, ডিজে চালানো হয়। আগের দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে একটা মেসেজ থাকত, বক্তব্য থাকত। এখন আর সেগুলো থাকছে না। নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হলে সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।

গণমাধ্যম: একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও উদার মানসিকতা লালন করেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সমাজে এখন ধর্মীয় গোঁড়ামি, সাম্প্রদায়িকতা, কূপমণ্ডূকতা প্রবলভাবে ফিরে এসেছে। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

আ ক ম মোজাম্মেল হক : পৃথিবীর অবক্ষয় রোধ করতে হলে ধর্মীয় সংকীর্ণতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুরো পৃথিবী এখন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল। এখন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে। আমেরিকায়ও সেই গণতন্ত্র নেই। সেখানেও ধর্মীয় প্রভাব বাড়ছে। আগে তারা মানবতার কথা বলত। এখন তাদের মধ্যেও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি চলে এসেছে। এই সংকটটা দৃষ্টিভঙ্গির। মানবিকতা বা সামগ্রিক চিন্তা থেকে এখন আমরা ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে মানবিকতার চর্চা করতে হবে।

গণমাধ্যম: এই জায়গা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?

আ ক ম মোজাম্মেল হক : যারা গবেষক তারা এই বিষয় সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন। তবে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। এখন সব ব্যাপারে ধর্মকে আনা হয়। যেমন পাঠ্যপুস্তকে একটি গল্প লেখা হলো। হতে পারে সেটি নেতিবাচক। কিন্তু এভাবেও বলা যেত এটি পুনর্লেখন করা যেতে পারে। অথবা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে মন্দ আচরণ না করে ভাষা এভাবে না দিয়ে ওভাবেও হতে পারে। এর বদলে তাদের সমকামী পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞজনও এ ধরনের কথা বলছেন। কিন্তু বইয়ের এ অধ্যায়টি পড়ে আমি সে রকম কোনো মেসেজ পাইনি। সমাজে মানুষের এ ধরনের সংকীর্ণতা সত্যিই বেদনাদায়ক।

গণমাধ্যম: প্রথমেই আপনি বলেছেন ইতিহাস চর্চার প্রতি গুরুত্ব দেবেন। সেইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, রাজাকারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লেখা হবে। সেটা কি প্রাথমিক স্তর থেকে?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: হ্যাঁ, প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। সে সময়ে এটি হয়নি। আবারও চেষ্টা করা হবে।

গণমাধ্যম: আগামী পাঁচ বছরে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: চ্যালেঞ্জ সব সময়ের জন্য একটাই হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কতটা প্রসার করতে পারি। তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

গণমাধ্যম: স্বাধীনতাবিরোধী তালিকা নিয়ে গত মেয়াদে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেটি এবার সম্পন্ন করবেন কি না?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: স্বাধীনতাবিরোধীদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা কারও পক্ষে সম্ভব কি না—আমার সেটা জানা নেই। কারণ সত্যি কথা বলতে, পারা যায় না। স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে যা লেখা হয়েছে একাত্তরের দলিলের রেকর্ড অনুযায়ী লিখেছি। কোনো বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়নি। কিন্তু এর পরও অনেকে বলেন, তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ভূমিকা রাখায়, উল্টো আমাকেই রাজাকার বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

গণমাধ্যম: মুক্তিযুদ্ধের শহীদের তালিকার কাজটিও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। পরবর্তী ধাপে আপনারা কী করতে চাচ্ছেন?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: শহীদ দুই রকমের। একটি হলো মুক্তিযোদ্ধা শহীদ। আরেকটি হলো ত্রিশ লাখ গণশহীদ। গণশহীদের তালিকা আমরা করিনি। আমরা তালিকা করেছি মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের। মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ৮ হাজারের ওপরে হবে। গণশহীদের সঠিক তালিকা আমাদের কাছে নেই। বুদ্ধিজীবী শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

গণমাধ্যম: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সেই তালিকা কবে নাগাদ হাতে পেতে পারি?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: চলতি বছরের ২৬ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করার টার্গেট নিয়ে কাজ করছি।

গণমাধ্যম: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারিগুলো মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আর্কাইভে সংরক্ষণে আপনার একটি প্রস্তাবনা ছিল? এ বিষয়ে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: এটি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ দরকার। এ বিষয়ে দক্ষতা আমাদের নেই। যারা এই বিষয়ে দক্ষ তারাই এটি বাস্তবায়ন করবেন। প্রকল্প তৈরির জন্য বলা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আর্কাইভে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়। বিশেষ করে জাদুঘরকে বলা হয়েছে, আর্কাইভকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে। অন্যদিকে অসাধারণ কাজ করে জাদুঘর।

গণমাধ্যম: অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে? বইমেলা প্রাঙ্গণের খুব কাছে স্বাধীনতা স্তম্ভ রয়েছে। স্তম্ভের উপরের দিকে দু-তিনটে গ্লাস খুলে পড়ে গেছে। এর ফলে নান্দনিকতা কিছুটা নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পৃক্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে যদি কিছু বলেন?

আ ক ম মোজাম্মেল হক: স্বাধীনতা স্তম্ভের ওপরের অংশ ভেঙে থাকলে সংস্করণ করা হবে। বইমেলা আয়োজকদের যেহেতু বিকল্প জায়গা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের অব্যবহৃত জায়গা আছে। এটা কারও ব্যক্তিগত জিনিস নয়, সেখানে আরেকটা প্রতিষ্ঠানকে দিলে সমস্যা কোথায়! বইমেলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো কিছু না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে একটি বইমেলা হলে কারও কোনো ক্ষতি নেই। যতদিন পর্যন্ত তাদের দেওয়া সম্ভব হয়, তারা বইমেলা করবেন। যখন এই স্থানটি অন্য কাজে ব্যবহার করব তখন হয়তো তারা এখানে মেলা করবেন না। এখন যখন সুযোগ আছে তাদের ব্যবহারে কোনো অসুবিধে নেই। আমি মনে করি, অমর একুশে বইমেলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি কাজ।

সুত্র: কালবেলা

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার