ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে করোনার দ্বিতীয় থাবা, আক্রান্ত ৭০০০

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হয়েছে স্পেনের স্বায়ত্ত্বশাসিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে।

নতুন প্রবাহে এখন পর্যন্ত সেখানকার এল হিয়েরো দ্বীপে অন্তত ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় দ্বীপটির সমুদ্র সৈকতগুলো জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরো দ্বীপপুঞ্জজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০০০। এ খবর দিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল।

খবরে বলা হয়, প্রথম দফায় এল হিয়েরোতে সংক্রমণ ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। ঘটেনি কোনো মৃত্যুও। কিন্তু দ্বিতীয় প্রবাহে আক্রান্তের সংখ্যা অচিরেই ৪০ জনে পৌঁছে গেছে।

স্থানীয় প্রেসিডেন্ট আলপিদিয়ো আরমাস সোমবার এক ঘোষণায় জানান, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বীপটির সমুদ্র সৈকতে গোসল করার জায়গাগুলোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে হস্তক্ষেপ ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে অপরিহার্য প্রমাণিত হয়েছে। এ বিবেচনা থেকে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় ছোট দ্বীপ হচ্ছে এল হিয়েরো। দ্বীপটির চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটির মৌসুমে সেখানে ছুটে যান হাজারো পর্যটক। দ্বীপটির স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ভালো সেবার রেকর্ড ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তারা সে রেকর্ড উদ্ধারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছুক।

নতুন ঘোষণা অনুসারে, এল হিয়েরোর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত জায়গাগুলোও আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বয়স্কদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সকল ধরণের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। পার্ক ও মার্কেট, শিশুদের খেলার জায়গাগুলোও বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম দফায় মৃদু সংক্রমণ দেখা ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে দ্বিতীয় প্রবাহে দ্রুত সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপপুঞ্জে নতুন ২৯৭টি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১০৬ জনে।

এর মধ্যে গ্রান ক্যানারিয়া দ্বীপেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। টেনেরাইফ দ্বীপে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪০০। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮২ জন। লানজারোতে দ্বীপে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৯ জন। ফুয়েরতেভেবনচুরায় ২৭৭, লা পালমায় ১৪১, লা গোমেরায় ১৫ ও এল হিয়েরোতে ৩৭টি সক্রিয় সংক্রমণ রয়েছে।