এখন রোহিঙ্গাদের সহায়তা চায় মিয়ানমার
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৪
সাত বছর আগে যে জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, এখন সেই রোহিঙ্গাদের কাছেই সহায়তা চায় জান্তা। রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জান্তার পক্ষে লড়াইয়ের জন্য গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ১০০ রোহিঙ্গাকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকার দেওয়া রোহিঙ্গাদের নাম নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিবেদনে পরিবর্তন করেছে বিবিসি। তিন সন্তানের বাবা ৩১ বছর বয়সী রোহিঙ্গা মোহাম্মদ। তাকেও বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ভীত ছিলাম। কিন্তু আমাকে তারপরও যেতে হয়েছে।
রাখাইনের রাজধানী সিত্তের কাছের বাও দু ফা অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে বসবাস করেন তিনি। গত এক দশক ধরে মিয়ানমারের দেড় লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এই ধরনের অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন।
মোহাম্মদ বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের কোনও এক রাতে আশ্রয় শিবিরের নেতা তার কাছে আসেন। ওই নেতাই তাকে জানান, সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে বলেন, ‘‘এটা সামরিক বাহিনীর আদেশ। আদেশ না মানলে সামরিক বাহিনী পরিবারের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছিল।’’
বিবিসি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছে। যারা নিশ্চিত করেছেন, সেনা কর্মকর্তারা ক্যাম্পের চারপাশে ঘুরেছেন এবং তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মোহাম্মদের মতো রোহিঙ্গা পুরুষদের জন্য চরম পরিহাস হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনও নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। নিজ সম্প্রদায়ের এলাকার বাইরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধের শিকার তারা। রাখাইনে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে মিলেমিশে বসবাস করলেও ২০১২ সালের সামরিক অভিযানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হন। তারা সেখানকার অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য হন।
পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস নিধন অভিযান পরিচালনা করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ওই অভিযানে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। অভিযানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এখনও ৬ লাখের মতো রোহিঙ্গা রাখাইনে রয়েছেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর দায়ে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। সম্প্রতি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে রাখাইনে বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সামরিক বাহিনী। এখন ওই এলাকায় রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এসবই সেনাবাহিনীর হতাশার লক্ষণ। রাখাইনে সেনাবাহিনীর কামান ও বিমান হামলায় কয়েক ডজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে রোহিঙ্গাদের দিকে ঝুঁকছে সামরিক বাহিনী। রোহিঙ্গাদের জোর করে বাহিনীতে যুক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। আর এটা কেবল রাখাইনেই নয় বরং দেশের আরও কয়েকটি স্থানেও যুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে জান্তা বাহিনী। অনেক সেনা সদস্য হতাহত হওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণও করেছে। কিছু সেনা সদস্য পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের দলেও যোগ দিয়েছে। এখন তাদের শূন্য স্থান পূরণ করা সেনাবাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ কারণেই হয়ত কামানের গোলার মুখে ঠেলে দিতে তাদের আবারও লক্ষ্যে পরিণত করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন রোহিঙ্গারা। মোহাম্মদ বলেছেন, তাকে সিত্তের ২৭০ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। বন্দুকে গুলি ভরা এবং ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আমাদেরকে। বন্দুকের বিভিন্ন অংশ খোলা ও ফের সংযোজন কীভাবে করতে হয় তাও দেখিয়েছে।
মোহাম্মদকে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন পরই তাকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর ২৫০ জন সেনা সদস্যের সঙ্গে তাকে একটি জলযানে করে নদীপথে রাথেডং শহরে নেওয়া হয়। সেখানে সেই সময় পাহাড়ের ওপরে তিনটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছিল।
তিনি বলেন, আমি কেন লড়াই করছি বুঝতে পারছিলাম না। তারা যখন একটি রাখাইন গ্রামের দিকে গুলি করতে বলে আমি গুলি করি। ওই এলাকায় ১১ দিন ধরে লড়াইয়ে ছিলেন তিনি। তদের রসদ ভাণ্ডারে একটি গোলা এসে পড়ার পর থেকে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েন তারা। এ সময় বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা যোদ্ধাকে মরতে দেখেন তিনি। একসময় নিজেও আহত হন, তার দুই পায়ে গোলার আঘাত লাগে। চিকিৎসার জন্য সিত্তওয়েতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
যুদ্ধে মোহাম্মদ আহত হন। তার উভয় পায়ে গোলা বা গুলির টুকরার আঘাত লাগে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিত্তেতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তার মতো আরও অনেক রোহিঙ্গাকে জান্তাবিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধ্য করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
- কুলাউড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন এমপি নাদেল
- হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল রমজানের
- যুক্তরাজ্যের ভিসা সহজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য !
- শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেলেন তরুণ কবি ও লেখক মৃণাল কান্তি দাস
- বানিয়াচংয়ের সাগরদীঘিকে দখলমুক্ত করতে আবেদন এলাকাবাসীর
- বালু উত্তোলনের দায়ে চুনারুঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
- সিলেটসহ সারাদেশে সামনে টানা বৃষ্টির দিন
- দিরাইয়ে জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে কর্মশালা
- ১১ বছর পর শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি: ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল
- ঝড়ে বন্ধ, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ চালু
- স্মার্ট নাগরিক গড়তে বই পড়তে হবে: সিলেটে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
- ছন্দে মোস্তাফিজ, জয়ে ফিরল চেন্নাই
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- কমলগঞ্জে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল
- থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই কেএনএফ সদস্য নিহত
- ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা-খাবার-স্যালাইন দিচ্ছে ডিনসিসি
- ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪৫ ডিগ্রি!
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত, শনিবার বন্ধ
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: `এ` ইউনিটে শাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৯ শতাংশ
- গাছ লাগিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখাতে চায় ছাত্রলীগ
- ৯ মে হজের ফ্লাইট শুরু হচ্ছে : ধর্মমন্ত্রী
- প্রচন্ড তাপদাহেও থেমে নেই হাওরের ধান ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ
- সিলেটের সংবাদকর্মী অমিতের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
- কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি
- সারাদেশের তাপদাহে ফের স্বস্তির বৃষ্টি সিলেটে
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি
- সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
- শায়েস্তাগঞ্জে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু
- প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারতের পরের অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
- শিলাবৃষ্টি কেন হয়; সিলেটের শিলাবৃষ্টি কি স্বাভাবিক আকারের?