ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৯০১

শিক্ষার্থী সনদে সাইন দিবেন না ভিসি, আটকে আছে শাবির ৪র্থ সমাবর্তন!

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৪  

২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরূদ্ধে আন্দোলন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই সম্প্রতি স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষে আনন্দের সাথে মুল সার্টিফিকেট নিয়ে গাউন পরে হ্যাট উড়িয়ে স্মৃতিচোরণ করে বিদায় নেয় শিক্ষার্থীরা, কিন্তু আন্দোলনকারী এসব শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে স্বয়ং উপাচার্য সাক্ষর করবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন আটকে আছে বলে ক্যাম্পাসে অভিযোগ ও গুঞ্জন উঠেছে।

 

সমাবর্তন প্রত্যাশী একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ৩৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩টা সমাবর্তন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে যে, একটা সমাবর্তন হবে, সেখানে সবাই মিলে আনন্দ করবে। গাউন পরে হ্যাট উড়াবে। এইটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা পাওয়া আমাদের জন্য। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির জন্য এই আনন্দঘন মুহুর্তটার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। এরপর সম্প্রতি ক্যাম্পাসে গিয়ে লোকমুখে শুনেছি, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরূদ্ধে আন্দোলন করায় উপাচার্য নাকি সমাবর্তন করবে না। সনদে সাইন দিবেন না। এইটা শিক্ষক সুলভ আচরণ হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, কেন এ আন্দোলন হয়েছে তা উপাচার্য মহোদয় খুব ভালো করেই জানেন।

 

উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষকদের আলাপচারিতা থেকে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিয়মিতই ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে। এমনকি তিনি আন্দোলনকারী এসব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শিক্ষাজীবন শেষ করেছে। কিন্তু উপাচার্য সমাবর্তন আয়োজন করতে চাচ্ছে না। তার কারণ হলো, যেসব শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের জন্য সমাবর্তন আয়োজন করে তার (উপাচার্য) কি লাভ! এছাড়া উপাচার্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটেও সাইন করবেন না বলে  জানিয়েছেন বলেও আলোচনা করছিলেন এ শিক্ষকরা।

 

 

জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা অংশ নেয়। এরপর একে একে ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ ব্যাচ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোতর এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর সমাবর্তন প্রার্থী। এছাড়া পিএইচডি, এমবিবিএস, এমএস ও এমডি ও নার্সিংয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সমাবর্তনপ্রার্থী।

 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাহিন আহমদ বকুল বলেন, ৬/৭ বছর হয়ে গেলো লেখাপড়া শেষ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা প্রতিবছর সমাবর্তন পাছ্ছে। অথচ আমরা এতোগুলো বছর পার করেও সমাবর্তন পাচ্ছি না। এই অনেকটা কষ্টের। যতটুকু জানতে পেরেছি, শিক্ষার্থীদের প্রতি উপাচার্যের অনেক ক্ষোভ। এজন্য কোন সমাবর্তন আয়োজন করবেন না তিনি। কিন্তু আমরা চাই, আমাদের অভিভাবক হিসেবে দ্রুত একটা সমাবর্তন আয়োজন করুন। সকল গ্লানি মুছে যাবে।   

 

 

আব্দুর রহিম নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কত স্মৃতি এই ক্যাম্পাস জুড়ে। অথচ একটা সমাবর্তন আয়োজন করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবার গিয়ে শুনি, বর্তমান ভিসি তার সময়ে আর সমাবর্তন করবে না, কারণ যে শিক্ষার্থীরা তার বিরূদ্ধে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই। এমনকি পরিচিত এক শিক্ষক জানিয়েছেন, উপাচার্য কোথায় নাকি বলেছেন যে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে তিনি (উপাাচার্য) সাইন করবেন না।

 

 

উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে একই কথায় বলেছেন। তিনি বলেন, উপাচার্যের শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষোভ থেকে ন্যূনতম কোন আগ্রহ নেই পরবর্তী সমাবর্তন আয়োজন করারার ব্যাপারে। যদিও উপাচার্য বলেছিলেন, তৃতীয় সমাবর্তনের বছরই হবে। এরপর করোনা মহামারী শুরু হলো। আর সমাবর্তন হতো না। এরপর ক্যাম্পাস খোলার কয়েকমাসের মধ্যেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থী। এ কারণে উপাচার্য আর সমাবর্তন করতে আগ্রহী নয়। এমনকি সার্টিফিকেটে সাইন করবেন না বলেও উপাচার্য নানা সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে উল্লেখ করেন এ শিক্ষক।

 

 

তৃতীয় সমাবর্তনে সময়ে চতুর্থ সমাবর্তন নিয়ে স্বয়ং উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, দীর্ঘ ধরে সমাবর্তন না হওয়াই নিয়ে অসংখ্য গ্রাজুয়েট জমে রয়েছে। একারণে একসাথে এতো গ্রাজুয়েটকে বসতে দিতে পারছি না ক্যাম্পাসে, দুই ভাগে এ সমাবর্তন হবে। এবছরের (২০২০ সাল) শেষের দিকে আরও একটি সমাবর্তন হবে।

 

 

কিন্তু এরপর আরও কোন সমাবর্তন হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এখন কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর দাবি দ্রুত সমাবর্তনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ স্বপ্ন পূরণে সারথী হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার