ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬৩

অর্থনৈতিক কূটনীতিতে শিল্প ও শিক্ষার সমন্বয় জরুরি

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন

অর্থনৈতিক কূটনীতিতে শিল্প ও শিক্ষার সমন্বয় জরুরি। বাংলাদেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে ২০২৩ খ্রিস্টবর্ষে। এই শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। তারাই আবার ২০২৮ খ্রিস্টবর্ষে এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট সৃষ্টি করা। আর এই শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রকৃত শিল্পবিপ্লব হবে।

তখন আর আমাদের ইলেকট্রনিক্স পণ্য, গাড়ি ইত্যাদি পণ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। অথবা বিদেশ নির্ভরতা কমবে। আমরাই একদিন গাড়ি রপ্তানি করব। আর এজন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব জরুরি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর অর্থনৈতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে শিল্পের সঙ্গে কিভাবে শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো যায় সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যে কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারকে সরকার হিসেবে স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে শত্রু ও মিত্রদেশ যেমন বোঝা যায়, তেমনি পররাষ্ট্রনীতিতে পরবর্তীতে কি হতে পারে তাও আন্দাজ করা যায়। বিশেষ করে, অর্থনীতি (বৈদেশিক) পুরোটাই নির্ভর করে কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। বিশ^ অর্থব্যবস্থায় কোনো দেশই একা চলতে পারে না। কোনো দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। কারও গ্যাস দরকার, কারও তেল, কারও পোশাক, কারও শ্রমিক, কারওবা খাবার দরকার। সব দেশে সব নেই।

আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমেই এসব সমস্যার সমাধান হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, তখন বিজয়ের আগেই অনেক বন্ধুদেশ এবং তাদের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ভারত সবার আগে দিয়েছিল। শুরুতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, এমন দেশের সংখ্যা কম নয়।

জাতির পিতা নিজের দেশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, শ্রদ্ধাশীল ও অনমনীয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীনতার মহান এই স্থপতি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সবটাই পুনর্গঠন করেছিলেন। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে ১৪০টি দেশের স্বীকৃতি লাভ এবং ১৯৭৪ সালে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভ এবং একইসঙ্গে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার সদস্য পদ লাভ করতে বঙ্গবন্ধুর সরকার সমর্থ হয়। যে কোনো দেশের জন্য আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান জরুরি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনারও সেটি আছে। 

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনের পরে যখন আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত, তখন থেকেই বিভিন্ন দেশ তাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, এখনো পাঠাচ্ছেন। ফোনে কথা বলছেন।

রাষ্ট্রদূতগণ গণভবনে গিয়ে দেখা করছেন। এটি একটি নবনির্বাচিত সরকারের প্রাপ্ত সাধারণ কার্টেসিই শুধু নয়, এটি স্বীকৃতি। কারণ, অভিনন্দন জানানো দেশের অন্তত জনগণের অংশগ্রহণের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ থাকে না। তারা নতুন সরকারের সঙ্গে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে চায়। 
গত ২০ জানুয়ারি আরও ৮টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, মিসর, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে।’

পৃথক অভিনন্দন বার্তায় মিসরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, ‘এই উচ্চ পদে আপনার পুনর্নির্বাচিত হওয়া আপনার দেশের জন্য আরও অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত করে।’ আবদেল ফাত্তাহ বলেন, ‘মিসর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, দুই দেশের জনগণের পারস্পারিক কল্যাণের জন্য আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। 

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও গত বছর ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রাইম মিনিস্টার, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের ভাইস-প্রাইম মিনিস্টার, পররাষ্ট্র ও  বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক কর্মসূচিবিষয়ক মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের আরও কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

নির্বাচনের পরের দিন (৮ জানুয়ারি) সকালেই ৭টি দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। দেশগুলো হলো : ভারত, চীন, রাশিয়া, ভুটান, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা। ঐদিনই আরও ৪টি দেশ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় দলটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মি. মোদি বিকেলে (৮ জানুয়ারি) নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক পোস্টে এ অভিনন্দন জানানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললাম এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করায় তাঁকে অভিনন্দন জানালাম।’ চীনের প্রেসিডেন্টর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে দুই পক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় তারা। এভাবে বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও প্রশংসা জানিয়েছেন এবং প্রত্যেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নবনিযুক্ত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আজ হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছি। আমরা দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছি।’ পিটার হাস আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসার সম্প্রসারণ ও রোহিঙ্গা সমস্যার মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আগামী মাসগুলোয় দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমি বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি।’ 
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দেশের সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কৌশলগতভাবে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ধারিত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি সম্মান বজায় রেখে, অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়সমূহে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ না করা এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য সংগ্রাম করা; প্রতিটি মানুষের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং তার নিজের পছন্দ অনুযায়ী নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে সমর্থন করা; এবং সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা বা জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সারাবিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রোহিঙ্গারা যার উজ্জ্বল প্রমাণ।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনে রাশিয়া এবং ভারতের ভূমিকার কথা আমরা জানি। শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়, জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ও তাদের মতো বহু দেশের কথা বলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী সময়ে যে চীন বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তারাই এখন আমাদের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অংশীজন।

তাদের সাহায্যে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে- এটা স্বীকার করতে আমাদের কুণ্ঠা নেই। আমাদেরও আপাত লক্ষ্য চীনের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিভাবে গ্রো করা যায়। কারণ দুটিই জনবহুল দেশ। 
আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছে, আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। এক্ষেত্রে সংবিধানকে সমুন্নত রেখে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে। সর্বজনীন মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বহির্বিশ্বে যে প্রোপাগান্ডা রয়েছে, সে বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়া টাস্কফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আওয়ামী লীগ। বিদেশ নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার।
বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা সেতুসহ বড় মেগা প্রকল্পগুলোতে আমরা দেখেছি বিদেশীদের অংশগ্রহণ। অর্থনৈতিক ও প্রকৌশলে তাদের ভূমিকার জন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তির জন্যও অন্যদেশের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিবছর আমাদের দেশের বহু ছেলেমেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে বিশেষত ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমান।

তারা দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে বহুবিধ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষা, গবেষণা ও শিল্পের সমন্বয় সাধনের জন্য আর্থনৈতিক কূটনীতিকে বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। তার প্রধান প্রমাণ বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশ ১৯৪১ সালের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা তারা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করবে।

লেখক : অধ্যাপক, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি); পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার