মাদক মামলার আসামিরা ৮ কারণে খালাস পাচ্ছেন
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০১৯
ত্রুটিপূর্ণ এজাহার ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী উপস্থাপনে ব্যর্থতাসহ আট কারণে মাদক মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছেন। গত এক দশকে নিষ্পন্ন হওয়া মামলা পর্যালোচনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই কারণগুলো চিহ্নিত করেছে; যা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।
অন্য কারণগুলো হলো, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়া, আইনের বিধান অনুযায়ী জব্দ তালিকা তৈরি না করা, জব্দ তালিকার সাক্ষীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যে অমিল, বাদী ও অভিযানকারী দলের সদস্যদের বক্তব্যে অমিল, আদালতে সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতা এবং অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাও সাক্ষ্য দিতে আসেন না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ১০ বছরে সারা দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা ২৬ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ মামলাই রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এসব মামলার ১৪ হাজার ৬৬৫ জন আসামি খালাস পান, যা মোট আসামির ৫১ শতাংশ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযান) পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আ ফ ম মাসুম রব্বানী বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি, জব্দ তালিকার দুর্বলতা, আদালতে ঠিকমতো সাক্ষ্য না দেওয়ায় মূলত মাদক মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালের ২৪ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকসহ গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পিরোজপুর থানায় মামলা করে। সাত বছর পর, ২০১৭ সালের ৩১ মে পিরোজপুরের বিচারিক হাকিম আদালত ওই মামলার রায়ে আসামিকে খালাস দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা একই ব্যক্তি। তিনি উভয় ভূমিকায় সাক্ষ্য দেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হওয়ায় তাঁকে নিরপেক্ষ সাক্ষী বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। পর্যাপ্ত সময় পাওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রপক্ষ সব সাক্ষীকে আদালতে হাজির না করায় আসামিপক্ষ সুবিধা পেয়েছে। আসামিকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি।
১০ বছরে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার ৪৮.৪৫% প্রমাণিত হয়নি
খালাস পেয়েছেন ৫১.১৮ শতাংশ আসামি
এখন তদন্তাধীন ৫৫,৮৪৩টি মামলা
আরেকটি মামলার পাঁচ বছর বিচারকাজ চলার পর ২০১৭ সালের ২০ জুলাই রায় দেন বরিশালের যুগ্ম দায়রা জজ আদালত। তাতে দুই আসামি খালাস পান। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, দুই আসামির কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হলেও জব্দ তালিকার সাক্ষীরা গাঁজা উদ্ধারের পক্ষে সাক্ষ্য দেননি। কেবল পুলিশ সদস্যদের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
১৩ বছর বিচারকাজ শেষে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সিলেটের যুগ্ম দায়রা জজ আদালত আসামিকে খালাস দিয়ে একটি মাদক মামলার রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ঘটনাস্থলের, এজাহারের, অভিযোগপত্রের ও জব্দ তালিকায় উল্লিখিত সাক্ষী আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে আসামি খালাস পেয়েছেন।
একইভাবে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রাজধানীর দক্ষিণখানে ৫০০ ইয়াবা বড়িসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেন। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই ঘটনায় করা মামলার রায় হয়। রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচ আসামির সবাই খালাস পান। ওই মামলার বাদী এ কে এম কামরুল ইসলাম বলেন, মূল আসামি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। সাক্ষীরা আদালতে গিয়ে আসামিদের পক্ষেই সাক্ষ্য দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. আবদুল্লাহ আবু বলেন, অনেক সময় মাদক মামলার আসামিরা সাক্ষ্য দিতে যান না; আবার গেলেও আসামির প্রভাবিত হয়ে তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দেন। একইভাবে জব্দ তালিকার সাক্ষীরা আসামিদের পক্ষ অবলম্বন করেন। তাঁর মতে, দ্রুত অভিযোগপত্র দিলে মামলার দ্রুত বিচার শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে আসামিরা সাক্ষীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারবেন না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাদক মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে আবার একই পেশায় ফিরছেন। মামলায় সফলতা অর্জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই তদন্তকারীদের। এই অবস্থায় সারা দেশে এখন যে ৫৫ হাজারের বেশি মামলা তদন্তাধীন আছে, সেগুলোর কতটা শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হবে, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিরা যাতে আদালত থেকে খালাস না পান, তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে সমন্বিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণেও অংশ নিচ্ছেন। অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ জোরদার হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আসামি খালাস পাওয়ার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করে সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অধিদপ্তরের জনবলও দ্বিগুণ হচ্ছে। এর ফলে তদন্তাধীন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যাবে।
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন : ৩ পদে মনোনয়ন দিলেন ২২ প্রার্থী
- শাবি উপাচার্যের তথ্য ব্যবহার করে অর্থ চেয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র
- সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- এসআইইউ পরিদর্শনে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল
- জুড়ীতে হচ্ছে পুর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর, সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন
- পরকীয়ার জের, সুনামগঞ্জে বেড়াতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন
- ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বন্ধ
- নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন লিয়াকত শাহ ফরিদী
- পরিচয় মিলেছে মাধবপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের
- শাবিপ্রবিতে শিকড়ের দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু
- ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়
- দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবার আসছে ‘কৃষ ফোর’
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- ১২ কেজি এলপিজির দাম কমে ১৩৯৩ টাকা
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- সিলেটসহ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে খোলা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটে ২৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
- ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : প্রধান বিচারপতি
- শ্রমিকের পাশে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ
- চা বাগানের প্রবেশমুখ থেকে মাদক সহ আটক ২
- নবীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ২২০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
- শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
- মিল্টন সমাদ্দার আটক, পৃথক তিন মামলা
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল