ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬৯

সিলেটে কেউ মানছেন না আচরণবিধি

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ২১শে জুন। সবেমাত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু দুই মাস আগে থেকেই চলছে প্রচার-প্রচারণা। মাত্র একদিন দেখা গেছে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তোড়জোড়। নগরে সাঁটানো ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে নিতে তারা মাঠে নেমেছিলেন। এরপর থেকে নীরবই তারা। মঙ্গলবার শেষদিনে মেয়র ও কাউন্সিলররা শোডাউন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঘুম ভাঙছে না তাদের। বিষয়টি নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিজেদের মতো করে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এতে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

এই অবস্থায় গতকাল সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। গত ২৩শে মে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলকালে উপস্থিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শত নেতাকর্মী শোডাউন করে আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী। 

তিনি জানান, ‘আইন ভঙ্গ করার দৃশ্য চিত্র জাতীয়, স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়। তাই আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর আচরণবিধি লংঘনে আমি শংকিত। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’ বাবুল জানান, ‘আমার ধারণা নির্বাচনকালীন সময় এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হলে শুধু সিলেট নয় জাতীয়ভাবে এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। এজন্য সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবে। আমি আবারো নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য সিলেট নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’ 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘আমি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাই তখন আমার ৩ জন সমর্থককে ঢুকতে দেয়া হয়। কিন্তু ঠিক ১০ মিনিট পর সরকার দলের প্রার্থী যখন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তখন শ’ শ’ মানুষ সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়া সরকার দলের প্রার্থীর প্রচারণায় ইতিমধ্যে সংসদ সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে আমরা পরিবেশ নিয়ে শংকিত। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর কথা মার্কা পাওয়ার পর। কিন্তু গত ২ মাস ধরে চলছে প্রচার প্রচারণা। ঘরোয়া বৈঠকই শুধু নয়, রীতিমতো শোডাউন দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মার্কা দেয়া লিফলেট নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। 

নগরের মার্কেট, বাজার এমনকি রাজপথে শ’ শ’ মানুষ নিয়ে এসব প্রচারণা চালালেও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় সিলেটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সিলেটে ইতিমধ্যে এসে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও হবিগঞ্জের এমপি আব্দুজ জহির। তারা এসে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যই প্রচারণায় অংশ নেন। 

শুধু আওয়ামী লীগ প্রার্থীই নয়, অন্য প্রার্থীরাও দেখাদেখি একই পথে হাঁটছেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি না মেনে প্রার্থীরা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন প্রার্থীদের উচিত নির্বাচনী আচরণবিধি মানা। কিন্তু সিলেটে সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সিলেটের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা ও মিডিয়া সেলের প্রধান তারেক আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘সব ধরনের প্রচার প্রচারণা এখন বৈধ নয়। ঘরোয়া প্রচারণাও প্রার্থীরা চালাতে পারবেন না। আমরা নির্বাচন আচরণবিধি মানার জন্য প্রার্থীদের বার বার অনুরোধ করেছি। লিখিত নির্দেশনাও প্রদান করেছি। তারা না মানলে আমরা এখন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ 

মঙ্গলবারের ঘটনা সর্ম্পকে তিনি জানান-‘গেটে আমাদের পুলিশ ছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই ঢুকে যান। এদিন বেশির ভাগ প্রার্থীই মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে কিছুটা এলোমেলা ছিল। তবে আইন মেনে চলার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো গাফলাতি নেই।’

 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার