নগদেই হবে ৭৫ ভাগ সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা প্রদান 

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ৭৫ শতাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকী ২৫ শতাংশ বিতরণ করবে ‘বিকাশ’। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

কেন এই সিদ্ধান্ত: যেহেতু ক্যাশ আউট চার্জ কম, সেহেতু দেশের প্রান্তিক জনগণের কথা মাথায় রেখে সরকার নগদের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ এবং ক্যাশ আউট চার্জ বেশি হওয়ায় বাকী ২৫ শতাংশ টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

এছাড়া আরেকটি বড় সুবিধা হলো, সরকারি এই ভাতা ক্যাশ আউট করতে উপকারভোগীকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না। সরকার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’-কে প্রতি হাজারে সাত টাকা ক্যাশ আউট চার্জ দেবে, বাকি টাকা ‘নগদ’ বহন করবে। পক্ষান্তরে, বিকাশে এই সুবিধা অনুপস্থিত। সে কারণে উপকারভোগীদেরও প্রথম পছন্দ ‘নগদ’।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ অসহায় পরিবারকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ঈদ উপহার বিতরণ করেন। যার মধ্যে ১৭ লাখ পরিবার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে উপহার পায়। এ কারণে সবচেয়ে নিরাপদে সরকারি ভাতা জনগণের মাঝে বিতরণের ক্ষেত্রে ‘নগদ’ আজ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের নাম। যেটা বিকাশের ক্ষেত্রে পুরোটাই বিপরীত। 

তাছাড়া, সৃষ্টি লগ্ন থেকেই নগদ মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। কম ক্যাশ আউট চার্জে কিভাবে সেবা দেওয়া যায়, সেই প্রচেষ্টা তাদের অব্যাহত ছিল। যেটা বিকাশের মধ্যে লক্ষ্যনীয় নয়। তারা বরাবরই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেছে। যেটা নগদ চিন্তাতেও আনেনি। বরং চেয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কিভাবে কম টাকায় সেবা দেওয়া যায়। যারই ফসল আজকের এই ৭৫ শতাংশ সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বিতরণ।

দেশের মানুষের কথা ভেবে নগদ অনাগত দিনে আরও নানা উদ্যোগ নেবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেন।