সবজিসহ ১৪ কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ নিরূপণ
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১
দেশব্যাপী সবজির বাম্পার ফলন হলেও কৃষক পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম, উঠছে না উৎপাদন খরচ। উৎপাদিত সবজি অনেক সময় পানির দরে বিক্রি করছেন কৃষক। এতে চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ধানের পর এবার দেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ ১৪টি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ নিরূপণ করেছে সরকার। গত প্রায় এক বছর মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই মূল্য নির্ণয় করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এবার সংশ্নিষ্ট অন্যান্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতই উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে তা প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই সবজির বাজারমূল্যও নির্ধারণ করা যাবে বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানিয়েছে। অধিদপ্তর বলছে, মূল্য নির্ধারণ হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। এতে চাষিদের পাশাপাশি ভোক্তারাও লাভবান হবেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমরা নিয়মিতই কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে থাকি। চালসহ অন্যান্য অনেক পণ্যের উৎপাদন খরচ ও মূল্য নির্ধারণ করা হলেও কিছু মসলাজাতীয় পণ্য ও সবজির উৎপাদন খরচ এখনও নির্ধারণ হয়নি। এবার আমরা এগুলোর উৎপাদন খরচ নির্ণয় করেছি। খুব দ্রুতই উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে সরকার এগুলোর বাজারমূল্যও নির্ধারণ করবে বলে জানান মোহাম্মদ ইউসুফ।
১৪টি কৃষিপণ্যের প্রতি কেজির গড় উৎপাদন খরচ হলো- পেঁয়াজ ১৯.২৪ টাকা, রসুন ৩০.৮৭ টাকা, মরিচ ১৯ টাকা, সরিষা ৩৩.৪৪ টাকা, মসুর ডাল ৪০.৩২ টাকা, ফুলকপি ৭.৪২ টাকা, বাঁধাকপি ৭.০৭ টাকা, শিম ১০.১৩ টাকা, টমেটো ৮.২১ টাকা, শসা ৮.০৪ টাকা, বেগুন ৯.২০ টাকা, লাউ ৫.৩৩ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪.২৭ টাকা ও ঢেঁড়স ১০.৭৯ টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, এর আগে কখনোই সবজির উৎপাদন খরচ কিংবা বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। কৃষক ও ভোক্তার সুবিধার্থে এ বছর আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষক এতে লাভবান হবেন। প্রণোদনা, ঋণ, ভর্তুকি, ক্ষতিপূরণ কিংবা সরকারের কোনো পরিকল্পনা প্রণয়নেও এটি কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, যেসব জেলায় সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয়, সেসব এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। প্রতিটি জেলায় ছোট, বড় ও মাঝারি কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছি। জমির মূল্য, শ্রমিক খরচ, সার, বীজের দাম, কীটনাশক খরচ ও ঋণের সুদ হিসাব করেই এই খরচ নির্ণয় করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, বছরে দেশে সবজির চাহিদা এক লাখ ৬২ হাজার টন। ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশে বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন করা হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার টন। চাহিদার তুলনায় ১০ লাখ টন সবজি বেশি উৎপাদন করা হলেও দামের ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে কৃষকের পাশাপাশি ভোক্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। মাঝখান থেকে ফায়দা লুটে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই চাল, আলুর পর এবার সবজি ও মসলাজাতীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ নির্ণয় করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, সরকার আলু ও চালের যে দর ঠিক করে দিয়েছে, তা হয়তো শতভাগ কার্যকর হয়নি, তবে অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর সাহসও পায়নি। দর নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে এটুকু উপকার তো সাধারণ মানুষ পেয়েছে। বাজারে সবজির দর ঠিক করে দেওয়ার পর বাজার অস্থির হলে মনিটর করা সহজ হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্নিষ্টরা বাজার মনিটরিং জোরদার করবে। এতে সাধারণ ক্রেতারা উপকৃত হবেন। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠ পর্যায়ে কৃষক উপকৃত হবেন।
সবজির উৎপাদন খরচের বিষয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক খানির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম মাসুদ বলেন, শুধু উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করলেই হবে না, কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন, সেদিকে নজরদারি থাকতে হবে। কারণ কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদিত পণ্য যথাযথ মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন। তাই উৎপাদিত সবজির নূ্যনতম বাজারমূল্য নির্ধারণ করে কৃষক পর্যায়ে তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কৃষি মূল্য কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়ে আসছি। পৃথিবীর বহু দেশে কৃষকের স্বার্থে এমন কমিশন গঠন হয়েছে। এ ছাড়া কৃষক শুধু ন্যায্য দাম পেলে হবে না, বাজারদরের আপডেটও মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের নিয়মিত দিতে হবে।
- নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
- কাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি
- কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে : সিইসি
- জলাবদ্ধতা নিরসনে সিসিক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিবে সেনাবাহিনী
- ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভোটারের মৃত্যু
- সিলেটে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন
- সিলেটে জাল ভোট দিতে এসে যুবক আটক
- সিলেটে ব্যবসায়ী-হকারদের দখলে ষ্টেশন রোড
- প্রধামনন্ত্রী রাইসির মৃত্যুতে কাঁদছে ইরান
- সিলেটের ১০ উপজেলায় চলছে ভোট উৎসব
- ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙ
- বিয়ানীবাজারে ইউএনওর অভিযানে বন্ধ বাল্যবিবাহ, বাবাকে জরিমানা
- ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এলেন ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধা
- জৈন্তাপুরে দুই কেন্দ্রে আটক ৮ জন
- ৩৫ ডলার বেড়ে মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪
- যানজটমুক্ত সিলেট শহর গড়তে শাবিপ্রবিতে কর্মশালা
- আন্তর্জাতিক চা দিবস/
বাংলাদেশের চা শিল্পের সংকট-সম্ভাবনা - `ভিসানীতির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি`
- সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিলেটে দু’দিনের বিশেষ অভিযানে পুলিশ
- হবিগঞ্জে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই
- ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, মিলল রাইসির মরদেহ
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- নদী থেকে বালু তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- মৌলভীবাজারে একসঙ্গে ২১ জাতের আলু চাষ করে সাড়া ফেলেছেন জালাল
- সিলেটের বিভাগের ১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি মঙ্গলবার
- দোয়ারাবাজারে গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটক ৩
- শিক্ষার্থীদের নতুন যে সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
- সিলেটে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে কঠোর হচ্ছে পুলিশ
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে শাবিতে উপস্থিতি ৯৪ শতাংশ
- ছুরিকাঘাতে সিলেটে তরুণের মৃত্যু
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে বাড়ছে রেল ভাড়া
- ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাত : বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহত ৩৯
- বিয়ানীবাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- জগন্নাথপুরে শতভাগ ধান কাটা শেষ, কৃষকেরা খুশি
- খাড়িয়াদের মাতৃভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবার আসছে ‘কৃষ ফোর’
- ১২ কেজি এলপিজির দাম কমে ১৩৯৩ টাকা
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বন্ধ
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- শাবিপ্রবিতে শিকড়ের দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু
- পরিচয় মিলেছে মাধবপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের
- নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন লিয়াকত শাহ ফরিদী