যমুনায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

যমুনা নদীতে ডুবো বালুচরের কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দি-জামালপুরের মাদারগঞ্জ নৌ-রুটে হুমকির মুখে পড়েছে নৌ চলাচল। থেমে থেমে যাত্রীবাহী নৌকা চলাচলের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ নৌ-রুট পানি কমে গেছে। যমুনার বিভিন্ন স্থানে এখন হেঁটে নদী পার হচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নারী ও শিশুরা।

সারিয়াকান্দির গজারিয়া, দারুনা, কাজলা, বেনীপুর ও পাকুরিয়া এলাকায় যমুনা নদীতে ডুবোচর জেগে উঠেছে। এসব চর জেগে ওঠার কারণে সারিয়াকান্দির কালীতলা থেকে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী নৌকা হুমকির মুখে পড়েছে।

এ রুটে যাত্রীবোঝাই নৌকা হঠাৎ ডুবোচরে আটকা পড়ছে। নদীর মাঝপথে ছেলে-মেয়ে নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। এসব ডুবোচরের কারণে এ পথে নৌযান চলাচল যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে। বর্তমানে ৩০ মিনিটের পথ এখন দুই ঘণ্টায় যেতে হচ্ছে।

কথা হয় জামথল চরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, যমুনা নদীর বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ধরনের, গত বছর যেখানে বালুচর ছিল এ বছর যমুনার ভাঙনে সে চরটি নদীতে পরিণত হয়েছে।

পাকুরিয়া চরের বাসিন্দা ওলিউল্ল্যা প্রামাণিক বলেন, বর্ষা মৌসুমে এক ধরনের কষ্ট আবার শুষ্ক মৌসুমে ধু-ধু বালুচরে তপ্ত বালুতে হেঁটে পথ চলার কষ্ট আরেক ধরনের। নৌ-রুট ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে যে সমস্যা হচ্ছে, তা আমাদের জন্য নতুন কিছু না।

এ বিষয়ে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাসতিয়া বলেন, যমুনা নদীর নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের দফতর থেকে কোনো কিছু করার নেই। তবে ড্রেজিং করে দেয়া হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

সারিয়াকান্দির ইউএনও রাসেল মিয়া বলেন, ডুবো বালুচরের একমাত্র সমাধান নদী খনন। আর নদী খনন অনেক বড় প্রক্রিয়া, এটা এখন আমাদের হাতে নেই।