বাংলাদেশের আইনে কোনটা ধর্ষণ, কোনটা নয়?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২১
বাংলাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিরোধী কঠোর আইন থাকলেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই।
বিবাহিত স্ত্রীর অনিচ্ছাসত্বেও তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করলেও কি সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে? প্রেমিক-প্রেমিকা যদি বিয়ের আগেই পরস্পরের সম্মতিতে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে সেটা কী? সেই প্রেমিকা যদি হন অপ্রাপ্তবয়স্ক? বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ-ই বা কাকে বলা হচ্ছে?
আসুন জেনে নেওয়া যাক এগুলোর পেছনের আইনি ব্যাখ্যা-
১৬ বছরের কম বয়সীর সম্মতি গ্রহণযোগ্য নয়
বাংলাদেশের নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে শিশুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ১৬ বা তার কম বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়কে।
মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদার মতে, এই সংজ্ঞায় শিশুকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই বয়সে মৌখিক বা লিখিত কোনও সম্মতি দেওয়ার মতো ক্ষমতা শিশুর গড়ে ওঠে না।
তাই এই বয়সী কেউ যদি যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিয়েও থাকে সেটা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
ফলে যদি কোনও পুরুষ ১৬ বছরের কম বয়সের কোনও নারীর সাথে তার সম্মতি নিয়েও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করেন, সেটাও ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অনুযায়ী। আর সম্মতি ছাড়া হলে তো কথাই নেই। সেটা বয়স নির্বিশেষে ধর্ষণ।
আবার আইন অনুযায়ী কোনও অবিবাহিত নারী আদালতে এমন অভিযোগও আনতে পারেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে, যেটা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করবে বাংলাদেশের আদালত।
এমনকি সেখানে অভিযোগকারীর বয়স ষোলোর বেশি হলেও আইনের দৃষ্টিতে ছাড় নেই।
একই আইনে ভয় দেখিয়ে, ব্ল্যাকমেইল করে কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাও ধর্ষণ।
আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কিন্তু শিশু আইনে শিশুর সংজ্ঞায় বয়সের সীমা রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তার কম।
সেক্ষেত্রে অপরাধীর ক্ষেত্রে এই বয়স প্রাধান্য পাচ্ছে। ভুক্তভোগীর বয়স এখানে মুখ্য নয় বলে জানিয়েছেন তাকবির হুদা।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বা তার কম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলেও সেটার বিচার হবে শিশু আইনে।
অন্যদিকে, নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে মামলা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী যদি বেঁচে থাকেন এবং তার বয়স যদি ১৮ বছরের নীচে থাকে তাহলে তার শিশু আইনের আওতায় শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সুযোগ আছে।
তবে বিচার হবে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন অনুসারেই।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ
বাংলাদেশে অনেক মামলাই হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ ধর্ষণ করা হয়েছে।
নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যেহেতু বলা আছে, যদি প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে দেখা হবে।
এখন বিয়ের প্রলোভন দেখানোর বিষয়টি আইনানুযায়ী প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের মধ্যে পড়লেও আদালতে অনেক সময় সেটা নাও টিকতে পারে।
এটা নির্ভর করে কতদিন ধরে বিয়ের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সম্পর্কের গভীরতা কেমন ছিল, লিখিতভাবে বিবাহিত না থাকলেও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করেছিলেন কিনা, কোনও সাক্ষী আছেন কিনা সেগুলোর ওপরেও নির্ভর করে বলে জানান তাকবির হুদা।
কিন্তু একই রকম অভিযোগ কোনও পুরুষ আনতে পারবেন না, বাংলাদেশের আইনে সেই সুযোগ নেই।
বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ বা ম্যারিটাল রেপ
বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করাকেও পৃথিবীর কোনও কোনও দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটা শাস্তিযোগ্য। এই ধরণের যৌন সহিংসতাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ বা ম্যারিটাল রেপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
জাতিসংঘও এটিকে ভয়াবহ ধরণের পারিবারিক সহিংসতা বলে মনে করে।
কিন্তু বাংলাদেশের আইনে এমন অপরাধের উল্লেখ নেই।
অর্থাৎ বিবাহিত স্ত্রীর সাথে তার অনিচ্ছায় বা জোরপূর্ব শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করলেও সেটা যৌন সহিংসতা বা যৌন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
তবে বিবাহিত স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় এবং তার স্বামী যদি জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন তাহলে ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন।
সেক্ষেত্রে শাস্তি শুধুমাত্র অর্থদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদা।
স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছর বা তার বেশি হয় তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের ফৌজদারি মামলা দায়েরের কোনও সুযোগ নেই।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পারিবারিক সহিংসতা আইনের অধীনে যৌন সহিংসতার মামলা করলে কিছু প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।
শুধু দেওয়ানি আদালতে প্রতিকার পাওয়া যাবে অর্থাৎ আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ, ভরণপোষণের আদেশ দিতে পারে।
তবে অভিযুক্ত স্বামী এসব আদেশ লঙ্ঘন করলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন
২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়।
এর ফলে বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর যদি মৃত্যু হয় বা গণধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হয় বা আহত হন, তাহলেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল।
সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লাখ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধান ছিল।
সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।
এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেওয়া সপ্তম দেশ হল বাংলাদেশ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ বা ধর্ষণ-পরবর্তী অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলেও একই শাস্তি হবে।
যদি কোনও ব্যক্তি তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শ্লীলতাহানি করেন তাহলে এটি যৌন নিপীড়ন বলে বিবেচিত হবে।
এজন্য ওই ব্যক্তির অনধিক ১০ বছর এবং ন্যূনতম তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে।
এছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোনও নারী ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, তিনি বা তারা প্রত্যেকে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু ন্যূনতম পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ন্যূনতম ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- সিলেটসহ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে খোলা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটে ২৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
- ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : প্রধান বিচারপতি
- শ্রমিকের পাশে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ
- চা বাগানের প্রবেশমুখ থেকে মাদক সহ আটক ২
- নবীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ২২০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
- শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
- মিল্টন সমাদ্দার আটক, পৃথক তিন মামলা
- রোনালদোর জোড়া গোলে কিংস কাপের ফাইনালে আল নাসর
- সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা
- আজ বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন
- মাধবপুরে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত
- সংসদে যা বলেছি প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন: ব্যারিস্টার সুমন
- উয়েফা লিগ/ সেমিফাইনালে পিএসজিকে হারাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
- জগন্নাথপুরে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- যুদ্ধকে `না` বলার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হচ্ছে? যা করলে বাঁচবে খরচ
- যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
- হাওরে ধান কেটে বাড়ি ফিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক
- যশোরে তাপমাত্রা উঠল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
- বন্যা এড়াতে সুরমা খনন: ৪ মাসের কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও
- ধোপাগুলে ট্রাক-অটিরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
- স্কুল ছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- শাল্লায় আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
- সুনামগঞ্জে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
- হাঁস পাচ্ছে জুড়ীর ২৮০ পরিবার
- ফের প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি
- সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
- শায়েস্তাগঞ্জে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু
- প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারতের পরের অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
- শিলাবৃষ্টি কেন হয়; সিলেটের শিলাবৃষ্টি কি স্বাভাবিক আকারের?