শত বছরের মহাপরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মহাপরিকল্পনা 'ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলে নতুন ভূমি জাগবে। দেশের আয়তন বাড়বে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ কোটি টাকা। প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপারসন করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। কাউন্সিলে সদস্য রয়েছেন কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী, নৌ পরিবহনমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীকেও সদস্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) এই কাউন্সিলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বন্ধ হবে নদীভাঙন। উপকূল এলাকায় নতুন ভূমি জাগবে। দেশের আয়তন বাড়বে। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থানসহ সার্বিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। উন্নত দেশের রূপকল্প ২০৪১ মাথায় রেখে এই মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মহাপরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছে রূপকল্প-৪১ এর খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল, অবকাঠামো ও শিল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রণীত কাঠামো।
সূত্রমতে, দীর্ঘমেয়াদি এ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়নে ইউরোপের দেশ নেদারল্যাল্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে মডেল হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই দেশটিতেও রয়েছে অনেক নদ-নদী। তারা এই পানিসম্পদ ব্যবহার করেই এতটা উন্নতি লাভ করেছে। ইউরোপের এই দেশটির আদলে এ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক শামীম সমকালকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ এবং নদীমাতৃক দেশ। এই ব-দ্বীপ ঘিরেই সামগ্রিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে শত বছরের মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এর নাম বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। পরিকল্পনার প্রথম ধাপে নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং নদী-সাগর থেকে ভূমি উদ্ধার করে দেশের আয়তন বাড়ানোর মতো তিনটি কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপমন্ত্রী আরও জানান, উন্নত দেশের স্বপ্ন পূরণে রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে কৃষি খাতের উন্নয়ন জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিল্প খাতের উন্নয়ন করে সকলের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার, সকলের জন্য সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, পরিবেশ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনায়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় ২০৩০ সাল নাগাদ প্রথম পর্যায়ে ছয়টি হটস্পট ঠিক করে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ৬৫টি প্রকল্প ভৌত অবকাঠামো, ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা সংক্রান্ত।
পরিকল্পনায় তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য পুরোপুরি দূর করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে। এজন্য অর্থনীতি ও সামাজিক খাতের যেসব সূচকে যে পরিমাণ অগ্রগতি দরকার তা অর্জন করতে হবে।
সমীক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা কাজের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকার ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। তবে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩৩টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) এই ডেল্টা প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হয়। এই পরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা এবং ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শুরুতেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামের পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কশন ব্যবস্থাপনার কৌশল নির্ধারণ জরুরি। যদিও এটি আগামী একশ' বছরের পরিকল্পনা, আপাতত ২০৩০ সাল নাগাদ ৮০টি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এতে খরচ হবে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বর্তমান বাজার ধরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া বাংলাদেশের আয়তন বাড়বে। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডেল্টা পরিকল্পনার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের ভূমি বাড়ছে। নেদারল্যান্ডস এ পর্যন্ত ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। বাংলাদেশও নদীবাহিত পলি দিয়ে এমনভাবে ভূমি পেতে পারে।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ২৬টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদী নাব্য ফিরে পাবে। পরিকল্পিতভাবে নদীগুলোতে নাব্য রাখতে পারলে দেশে আর বন্যা থাকবে না। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সেজন্য এখন থেকেই অর্থের উৎস ঠিক করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ২১০০ সালে বাংলাদেশ কোন জায়গায় থাকবে তা বদ্বীপ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা আর কোনো দেশ করেনি। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারলে কৃষিতে আরও এগিয়ে যাবে দেশ। বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় ছয়টি অঞ্চলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নদীবিধৌত অঞ্চল ও নগর এলাকা।
- সাংবাদিকের উপর হামলায় সুনামগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
- ‘বিশ্বনাথ ‘স্মার্ট উপজেলা’য় রূপান্তরিত হবে’
- বিদেশে উচ্চ শিক্ষা দিন দিন কঠিন হচ্ছে !
- ইতালি যেতে অনিশ্চিত অপেক্ষায় সিলেটের অনেকে!
- কানাইঘাটে তিন সপ্তাহে ১০ জনের প্রাণহানি
- দেশব্যাপী ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ সেতুমন্ত্রীর
- জৈন্তাপুরে বলাৎকারে অতীষ্ঠ হয়ে গৃহশিক্ষককে খুন!
- ভিনির জোড়া গোলে রিয়াল মাদ্রিদের বড় জয়
- ডাকাতি শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৩৩ মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
- মাধবপুরে আগুনে সর্বস্ব হারালেন টমটম চালক
- সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরোর মৃত্যু
- চাল বিতরণে অনিয়ম, জুড়ীতে ইউপি সদস্য বরখাস্ত
- বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে ক্ষোভ: আপত্তি ফরম জমা সাড়ে ২২ হাজার
- অবশেষে ঘর পাচ্ছে ফারজিনার পরিবার
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
- একাউন্ট খুলে প্রতারণা : স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই
- ডোনাল্ড লু’কে দাওয়াত করে আনা হয়নি: ওবায়দুল কাদের
- তিন দিনের সফরে ঢাকায় ডোনাল্ড লু
- স্বজনদের কাছে ২৩ নাবিক
- বিশ্বনাথে নেশার টাকা না পেয়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা!
- হাওর ভরাট করে আর সড়ক হবে না - প্রধানমন্ত্রী
- আবাসিক হল থেকে মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- দোয়ারাবাজারে প্রতীক পেয়ে মাঠে প্রার্থীরা
- ১৪ মে: ওয়ান-ইলেভেনের আরেক কালো অধ্যায়
- কোরবানি: সীমান্ত দিয়ে পশুর অনুপ্রবেশে কঠোর নজরদারি
- নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন ফেয়ার শুরু
- বড়লেখায় পৌর শহর থেকে দিনে দুপুরে প্রবাসীর মোটরসাইকেল চুরি
- শ্রীমঙ্গলে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন
- মুম্বাইয়ে ঝড়ে বিলবোর্ডর নিচে চাপা পড়ে ৮ জন নিহত, আহত ৫৯
- ছুরিকাঘাতে সিলেটে তরুণের মৃত্যু
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে শাবিতে উপস্থিতি ৯৪ শতাংশ
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে বাড়ছে রেল ভাড়া
- ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাত : বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহত ৩৯
- বিয়ানীবাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- জগন্নাথপুরে শতভাগ ধান কাটা শেষ, কৃষকেরা খুশি
- খাড়িয়াদের মাতৃভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান