ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৮১

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২০  

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পথ দেখিয়েছেন, যে আদর্শ রেখে গেছেন, সে পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যেতে চাই।

বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সোপান ঐতিহাসিক ছয় দফাকে বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ নিজের চিন্তার ফসল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, এই ছয় দফা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতার দিকে। ছয় দফা গঠনে অন্য কেউ জড়িত ছিলেন না।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। প্রতিবছর ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বন্ধ করে দেয়। এই হত্যার পর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির উত্থান ঘটে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ এখন আর নেই। কারণ ইতিহাস নিজস্ব গতিতে চলে। ইতিহাসকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। এটিও আজ সুপ্রতিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এই জাতিকে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আবার পাকিস্তান ভেঙে তিনি বাংলাদেশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব উপস্থাপন এবং এ নিয়ে আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'ছয় দফার ওপর ভিত্তি করেই দেশের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা লুফে নিয়েছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ নিয়ে মানুষ বুকের রক্ত দিয়েছিল। এটা ছিল অভাবনীয়। ছয় দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখনই বলেছেন, তখনই আমাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় স্লোগান কী হবে- সেটা নিয়েও আলোচনা করেছেন।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে জেলায় সভা করেছেন, সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি যখনই এ দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন, তখনই তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল ফাঁসির রায় দিয়ে তাকে হত্যা করা। কিন্তু ছয় দফা আন্দোলন একপর্যায়ে এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। আইয়ুব খান বাধ্য হয়ে মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেন। সেনাসদস্যরা একটি গাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে ৩২ নাম্বারে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, 'ছয় দফা প্রণয়ন নিয়ে অনেকে অনেকভাবে বলতে চান। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, অন্য কারও পরামর্শে এই ছয় দফা প্রণয়ন হয়েছিল। কিন্তু আমি নিজে জানি যে, এটা বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার ফসল ছিল।'

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে ১৯৫৮ সালে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৯৫৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পেলেন। সেই সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ। তিনি ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তিনি চাকরি নিলেন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। তখন তাজউদ্দীন আহমদ গ্রেপ্তার ছিলেন। পরে মুক্তি পেয়ে তিনিও একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু নিজে গিয়ে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে এসে আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফকেও আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি দেন তার পিএ হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন, নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে এটা টাইপ করাতেন। এখানে শুধু একমাত্র হানিফই জানতেন, কারণ তিনিই টাইপ করেছিলেন। এ ছাড়া কিন্তু আর কারও জানা ছিল না। এই ছয় দফাটা সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তা থেকে তৈরি করা।'

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর এই ছয় দফার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে তো ছিলই, এদেশেও দালাল তৈরি হয়। ছয় দফার পরিবর্তে আট দফা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তখন বঙ্গবন্ধু জেলে। কিন্তু আমার মা এ ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের মিটিং হয়। সেখানে ছয় দফার পক্ষেই সিদ্ধান্ত হয়। পরে ছয় দফা দাবি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পরে আমার মা এই দাবিগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন এবং এর প্রচারণা এগিয়ে নিতে মহান ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের জন্য আমার মায়ের অবদানের কথা কল্পনাও করা যায় না। তিনি সবসময় জানতেন যে আমার বাবা কী চান এবং সে সম্পর্কে তিনি খুব সচেতন ছিলেন।'

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এবং ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারীকে তিন লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে দুই লাখ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে এক লাখ টাকার চেক ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ।

আজ ৩১ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং পাশাপাশি দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলো উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন। এই ৩১টি উপজেলা উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার