ফণির কারণে কৃষিতে ক্ষতির পরিমান সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে ৩৫ জেলার ২০৯ উপজেলার বোরো ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট, পানসহ ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আপাতত চাল এবং আলু রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে। তবে, চলতি বোরো ধান যদি কৃষকরা সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারে, তাহলে আমাদের প্রয়োজনীয় চাল রেখে রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন,  আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ফসলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান।  আক্রান্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি তিন হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট দুই হাজার ৩৮২ হেক্টর ও ৭৩৫ হেক্টর পান রয়েছে। তিনি জানান, কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রণোদনা হিসেবে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষককে ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫শ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসলের এই ক্ষতিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বোরো ধান কাটা হয়ে গেলে ১৫-২০ দিন পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব এবার ৫-১০ লাখ টন চাল রপ্তানি করা যায় কি না। এই চাল রপ্তানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারব, দেশের ভাবমূর্তিও বাড়বে। তবে চাল রপ্তানির পর কোনো কারণে সংকট দেখা দিলে আমদানিও করা যাবে বলে মত দেন কৃষিমন্ত্রী। বর্তমানে ধান উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বোরো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আরও উদ্বৃত্ত হবে।