আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৪
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। তবে একটি মহল সরকারের উন্নয়ন কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে যে কাজগুলো আমরা করেছি, তার শুভ ফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়, হ্যাঁ তাতে কী করতে পারবে, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি। সেখানে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে জনগণের মাঝে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই ওই আস্থা বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি, এজন্য আমি কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী আমার পাশে আছে, আমি কাউকে পরোয়া করি না।’
বঙ্গবন্ধুর সময়কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে; সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো সেক্টর নেই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেননি। তারপরও তার সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে তো হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি তো বেঁচেই গেছি, সেটাও আমার জনগণ এবং দলের লোকেরা সবসময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাচ্ছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কেউ কেউ গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছেন। তারা কি গণতন্ত্র বোঝে? তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রে হয়েছিল? সেনা ছাউনি থেকে বের হয়ে দল করে। হ্যাঁ-না ভোট। হ্যাঁ-তে ভোট আছে, না তে ভোট নাই। এটা ছিল তাদের গণতন্ত্র। তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় গণতন্ত্রের সবক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার সময়ে হাজার হাজার সৈনিকদের হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সৈনিকদের হত্যা করা হয়। ১৯টি ক্যু হয়েছিল সে সময়। পিতা হারা সন্তানের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি ছিল। জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার যেন না সেজন্য ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়। সে সময় বিচারের সংস্কৃতি ছিল না। এলিট শ্রেণি তৈরি করা হয়। আজকে ঋণ খেলাপির কথা বলা হয়। এটা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনা আইন ভঙ্গ করে রাষ্ট্রপতির ভোট করে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি, অনেক প্রতিকূল অবস্থায়। এরপর আবারও ৮৮ সালে ভোটার বিহীন রাষ্ট্রপতি ভোট করলেন এরশাদ সাহেব। এর বিপরীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাই আন্দোলন করি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট করেছিল খালেদা জিয়া। ভোটার বিহীন ভোট। কিন্তু সেই ভোটে তিনি টিকতে পারেনি। জনগণের রুদ্ররোষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। এরপর বিদ্যুতের দাবিতে কৃষককে গুলি করে হত্যা করে। পানির জন্য ঢাকা শহরে হাহাকার ছিল। বিএনপির এক নেতাকে পানির জন্য মানুষ দৌড়ানি দেয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুঝতে পারে ক্ষমতা জনগণের কল্যাণের জন্য। ২০০১ সালের আগে আমার কাছে প্রস্তাব আসে, গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হইনি। তাই ক্ষমতায় আসতে পারিনি। এই নির্বাচনের আগে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রেহাই দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী তাদের বেঁধে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার করে। ৬ বছরের রজুফা, ফাহিমা, পূর্নিমাকে ধর্ষণ করেছিল। তাদের বাবা-মা আওয়ামী লীগে ভোট দিয়েছিল বলেই তাদের অপরাধ। কিবরিয়া, আহসানুল উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিনসহ অনেকেই হত্যা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছিল। এরপর নির্বাচন, ভুয়া ভোটার তৈরি করে ভোট করার প্রস্তুতি। এরপর জনগণ আন্দোলন করে। বাধ্য হয় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। এরপর খালেদা জিয়ার প্রিয় লোক ফখরুদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে। মঈন উদ্দিন আহমেদকে সেনাপ্রধান বানায় ৯ জন অফিসারকে ডিঙ্গিয়ে। কথা ছিল তাদের নির্বাচন দেবে। কিন্তু টালবাহানা করে। তারা গ্রেপ্তারসহ নানা অপকর্ম শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করি। আমাকেও গ্রেপ্তার করে। এরপর খালেদা জিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশ রেহাই পায়নি। সাংবাদিকরাও রেহাই পায়নি। প্রেস ক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িও রক্ষা পায়নি। প্রধান বিচারপতির কামড়ায় বিএনপির লাথি দেওয়ার অভ্যাস আছে।
বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ নেই ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয় না। আজকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কেন বিশেষ আইন করলাম। আইন না করলে বেসরকারিখাতে বিদ্যুৎ দেওয়া যায় না। আমি কিন্তু কাউকে ক্ষমা করিনি। প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করে সামিট গ্রুপ। তারা দেরি করে। আমরা কিন্তু তাদের কাছ থেকে জরিমানা নিয়েছি। দারিদ্রের হার কমিয়েছি। মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সবাইকে উৎপাদন বাড়াতে হবে। সর্বজনীন পেনশন চালু করেছি। সাংবাদিক, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এমনকি সবচেয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ বিত্ত, প্রবাসীদের জন্য এই কাজ হাতে নিয়েছি।
সংসদ নেতা বলেন, সামনে জুন মাসে বাজেট অধিবেশন বসবে। সেই অধিবেশনে আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা যেন একটা ভালো বাজেট দিতে পারি সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
- সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিলেটে দু’দিনের বিশেষ অভিযানে পুলিশ
- হবিগঞ্জে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই
- ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, মিলল রাইসির মরদেহ
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- নদী থেকে বালু তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- মৌলভীবাজারে একসঙ্গে ২১ জাতের আলু চাষ করে সাড়া ফেলেছেন জালাল
- সিলেটের বিভাগের ১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি মঙ্গলবার
- দোয়ারাবাজারে গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটক ৩
- শিক্ষার্থীদের নতুন যে সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
- সিলেটে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে কঠোর হচ্ছে পুলিশ
- মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
- প্রথমবারের মতো ইনোভেশন শোকেসিংয়ের আয়োজন করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ অমানবিক: সিলেটে আইজিপি
- চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়ে ‘নিখোঁজ’ এমপি আনোয়ারুল আজিম
- জৈন্তাপুরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক প্রার্থীকে জরিমানা
- বর্জ্যব্যবস্থাপনা মেনেই শিল্প-কারখানা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি সিলেটবাসীর
- লন্ডনের পর এবার ইতালিও দিলো অ্যাসাইলামকারীদের জন্য দুসংবাদ !
- বিএফএফ-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব সিলেট অঞ্চল পর্ব সম্পন্ন
- সড়কের পানি দ্রুত নিষ্কাশনে ড্রেনের পকেট বড় করছে সিসিক
- সিলেটে ‘আঞ্চলিক আযান প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
- ‘শেখ হাসিনা ফিরেছিল বলেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে’
- সিলেটসহ ১০ জেলায় বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা
- জৈন্তাপুরে বিপুল পরিমাণে মদ ও গাঁজা জব্দ, পলাতক ৩ মাদক ব্যবসায়ী
- ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে’
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা অর্জন করেছে’
- কিরগিজস্তানে হামলা: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা
- ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে শাবিতে উপস্থিতি ৯৪ শতাংশ
- ছুরিকাঘাতে সিলেটে তরুণের মৃত্যু
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে বাড়ছে রেল ভাড়া
- ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাত : বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহত ৩৯
- বিয়ানীবাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- জগন্নাথপুরে শতভাগ ধান কাটা শেষ, কৃষকেরা খুশি
- খাড়িয়াদের মাতৃভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান