ছুটির দিনে শপিংমলে উপচেপড়া ভিড়!

ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদের আগে শেষ শুক্রবারে (আজ) তাই পোশাক, জুতা ও অলঙ্কারসহ সব দোকানে বেজায় ভিড়। সকাল থেকে ভিড় বেশি পোশাকের দোকানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছে জুতা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানে। চাঁদ রাত পর্যন্ত এমন ভিড় থাকার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিপণি বিতানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ। 

ডিজাইন মিলছে, তো রং মিলছে না; সবশেষ আবার পছন্দসই পোশাক কিংবা জুতার সাইজ মিলছে না। ঈদ কেনাকাটায় শেষ সময়ের যুদ্ধ এখন সাইজ মেলানো। তবুও বিপণি বিতানগুলোতে ঈদের আগের শেষ শুক্রবারে (৫ এপ্রিল) উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতা-বিক্রতা উভয়ের মধ্যে শেষ সময়ের তোড়জোড়।

ঈদ উৎসবে প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা শুরু সকাল থেকেই। বিপণি বিতানগুলোতে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। ক্রেতারা বলছেন, পছন্দসই জামাকাপড় ও অন্যান্য জিনিস কিনতে শেষ সময়ে মার্কেটে ছুটে আসা। ঈদের কেনাকাটা মূলত চলে চাঁদরাত পর্যন্ত; তবুও যেন শেষ হয় না।

গরমকে প্রাধান্য দিয়ে সুতি পোশাকে জোর দিচ্ছেন ক্রেতারা। পাঞ্জাবি কিনতে দেশি ব্র্যান্ডগুলোতে গুনতে হচ্ছে ১৫-২৫ হাজার টাকা। শাড়ির ক্ষেত্রে তা গিয়ে পৌঁছেছে ৪০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্তও। তবে বেশি চলছে সুতি ও কটনের ওয়ানপিস-থ্রিপিস। জুতার ক্ষেত্রেও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আরামদায়ক স্লিপার।
 
 
সিনথিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার ঈদে প্রচণ্ড গরম থাকবে। তাই ঈদে সুতির কাপড়কে বেশি প্রাধান্য দিতে হচ্ছে।
 

এদিকে, গয়নার দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। স্বর্ণালঙ্কার ও হীরালঙ্কারের দোকানেও লেগেছে ঈদের ছোঁয়া। মালা, নেকলেছ, কানের দুল ও আংটিসহ সিটি গোল্ডের গহনার চাহিদাও শেষ সময়ে বেশ তুঙ্গে। প্রকারভেদে ১০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব জিনিস।
 

বিক্রেতারা জানান, জামাকাপড় কেনা শেষে ক্রেতারা ভিড় জমান অলঙ্কারের দোকানে। তাই এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
 

সকাল ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তবু কেনাবেচা ভালো হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।