• মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৫ ১৪৩০

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
চলন্ত বাসে চালক-যাত্রীর মধ্যে গোলাগুলি! মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই শেষ হয়ে গেল নির্বাচন! কমলগঞ্জে বিশ্ব মা দিবস পালিত প্রাক্তন স্বামীর কাছেই ফিরছেন কারিশমা? শেখ হাসিনার প্রথম সিলেট সফর স্মরণ করে দু’আ মাহফিল চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি মৌসুমি ফলের
১০

থাইল্যান্ডকে এফ-৩৫ জেট দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকৃতি

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩  

প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত বাধ্যবাধকতার সমস্যার কারণে থাইল্যান্ডের কাছে এফ-৩৫ জেট বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। 

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত বাধ্যবাধকতার সমস্যার কারণে থাইল্যান্ডের কাছে এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার জেট বিক্রি করতে অস্বীকার করেছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সামরিক জোট ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে ২০০৩ সালে মনোনীত হয়েছিল থাইল্যান্ড। গত বছর অত্যাধুনিক নতুন মার্কিন যুদ্ধবিমান কিনতে দেশটি ১৩.৮ বিলিয়ন বাথ বাজেট বরাদ্দ রেখেছিল। কারণ থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ যুদ্ধবিমানই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৫ এবং এফ-১৬ মডেলের। এসব বিমানের স্থানে নতুন যুদ্ধবিমান আনতে চায় থাইল্যান্ড এবং সেই লক্ষ্যে আটটি লকহিড মার্টিন এফ-৩৫এ ফাইটার জেট কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল দেশটি।

থাই বিমান বাহিনীর মুখপাত্র এয়ার চিফ মার্শাল প্রপাস সোর্নচাইডি এক বিবৃতিতে বলেছেন, পঞ্চম-প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান বিক্রয়ের শর্তের মধ্যে সময়ের সীমাবদ্ধতা, প্রযুক্তিগত বাধ্যবাধকতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র তাই এই ফাইটার জেট বিক্রয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী ভিয়েতনাম যুদ্ধের আমল থেকে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। সেসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি মার্কিন বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের তার ঘাঁটিতে আতিথেয়তা দিয়েছিল। 

বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বার্ষিক ‘কোবরা গোল্ড’ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করে আসছে থাইল্যান্ড। তবুও থাইল্যান্ডের কাছে এফ-৩৫ জেট বিমান বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায় দেশটি।

তবে ২০০৬ সালে এবং ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি চীনের প্রতি সেনা-সমর্থিত সরকারগুলোর সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বেগের কারণে এই উষ্ণ সম্পর্ক অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার