• শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৫ ১৪৩০

  • || ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জাদু দেখিয়ে বিশ্বজয়, জাদুর কারণেই মর্মান্তিক মৃত্যু! সিলেটে এবার ভোট দিবেন হিজড়াও ফুলশয্যার রাতেই রহস্যজনক মৃত্যু, মিলল ঝুলন্ত লাশ কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ কোথায় গিয়ে বিয়ে করবেন, জানালেন এই সুপার হিরো স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় মাধবপুরে এক বখাটে আটক
২০

আখাউড়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন 

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা সৌখিন কৃষক মুস্তাকিম সরকার। মৌসুম অনুযায়ী সারা বছরই তিনি বাণিজ্যিক ভাবে পতিত জমিতে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামসহ নানা ধরনরে ফল ও সবজি  আবাদ করছেন। তবে তিনি এক এক সময় নতুন নতুন জাতের সবজি ও ফল চাষে এলাকায় নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করছেন।

প্রথম বারের মতো এ মৌসুমে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বাজিমাত করেছেন তিনি। তার ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪০ টনের ওপর। এর মধ্যে তার জমির মিষ্টি কুমড়া কাটা শেষ হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিক্রি হলেও এখন চলছে পাইকারিতে বিক্রির প্রক্রিয়া। এদিকে মিষ্টি কুমড়ায় কম শ্রমে বেশী লাভ হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই। ফলে দিন দিন মিষ্টি কুমড়ার চাষ বাড়ছে। 

জানা যায়, উপজেলার ওই ইউপির আদমপুর গ্রামে গত কয়েক বছর ধরে বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তুলেছেন মায়ের দোয়া বহুমুখী কৃষি খামার। ওই খামারে তিনি মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি মৌসুম অনুযায়ী শসা, টেমেটো, বেগুন, ক্যাপসিক্যাম্প, তরমুজ, বাউকুল বড়ই, সাম্মামসহ নানা জাতের ফল ও সবজি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন। এবার উচ্চফলনশীল জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা  পেয়েছেণ তিনি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিন শেড ঘরের মধ্যে স্তূপ করে রাখা আছে ছোট বড় মিষ্টি কুমড়া। যার পরিমাণ হলো ৪০ টনেরও বেশি। এক একটি মিষ্টি কুমড়া ২-৫ কেজির ওপর রয়েছে। 

কৃষক মুস্তাকিম সরকার জানান, এ মৌসুমে তিনি আদমপুর গ্রামে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। জমি প্রস্তুত, ইজারা, বীজ, রোপণ আর পরিচর্যাসহ বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। জমি আবাদের মাত্র তিন মাসের মাথায় ওই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার ফলন আসে। এর মধ্যে ওই জমি থেকে ফলন হওয়া মিষ্টি কুমড়া তুলে বাড়িতে রাখা হয়েছে। জমিতে তার ফলন হয়েছে ৪০ টনের ওপর। প্রতিটন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। 

তিনি আরো বলেন, এ এলাকায় কৃষকরা শুধু ধান আবাদ করতো। ধান চাষে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক  কৃষক এ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। 

স্থানীয়রা জানায়, মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কৃষিতে দেশকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হতে পথ দেখাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। সবজি ও ফল চাষে বছরে তার বছরে আয় হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। 

উপজলো কৃষি র্কমর্কতা শাহানা বেগম ডেইলি বাংলাদেশকে বলনে, কৃষক মুস্তাকিম সরকার একজন আদর্শ কৃষক। তিনি বছরজুড়ে নানা প্রকারের সবজি ও ফল চাষ করছেন। প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়া চাষে তিনি এক প্রকার চমক সৃষ্টি করেন। নিদিষ্ট সময়ে বাজার জাত ও সঠিক মূল্য পেলে মিষ্টি কুমড়াতে লাভবান হবেন তিনি।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার