• শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৫ ১৪৩০

  • || ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জাদু দেখিয়ে বিশ্বজয়, জাদুর কারণেই মর্মান্তিক মৃত্যু! সিলেটে এবার ভোট দিবেন হিজড়াও ফুলশয্যার রাতেই রহস্যজনক মৃত্যু, মিলল ঝুলন্ত লাশ কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ কোথায় গিয়ে বিয়ে করবেন, জানালেন এই সুপার হিরো স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় মাধবপুরে এক বখাটে আটক
১৮

স্বপ্নকে পুঁজি করে যেভাবে লিমনকে ফাঁদে ফেলে আরাভ খান

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

২০১৮ সালে বনানীতে বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে হৃদয় ওরফে সোহাগের বদলে কারাভোগ করতে গিয়ে এখন প্রতারণার মামলার আসামি আবু ইউসুফ লিমন।

বদলি কারাভোগের মামলা থেকে রেহাই পেলেও প্রতারণার মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে তাকে। ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নকে পুঁজি করে প্রতারক আরাভ লিমনকে বদলি কারাভোগের প্রস্তাব দেয়। এতে তাদের মধ্যে কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল না বলে দাবি আবু ইউসুফ লিমনের বাবা নুরুজ্জামানের।

নুরুজ্জামান বলেন, আমার ছেলে কারাগারে গিয়েছে বিষয়টি আড়াই মাস পর জানতে পারি। তারপর দিগ্বিদিক ছোটাছুটির পর কোর্টের মাধ্যমে ছেলের জামিনের ব্যবস্থা করি। আমি ছোট একটা সরকারি চাকরি করি। বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলেকে জামিনে নিয়ে আসি। আমার ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে এই রবিউল ওরফে আরাভ খান তার নিজের হত্যা মামলায় কারাভোগ করায়। আমার ছেলের সঙ্গে সে প্রতারণা করেছে। দেশে আনা হলে আমি তার (আরাভ খান) বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির মামলা করবো।

লিমনের সঙ্গে আরাভের পরিচয় সম্পর্কে তার বাবা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আরাভ খানের সঙ্গে যোগাযোগ। সেই সূত্র ধরে লিমনকে বিকেএসপিতে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে। হঠাৎ একদিন ফোনে আমার ছেলেকে জানায় বনানীতে তার অফিসে এক পুলিশ সদস্য হত্যার শিকার হয়েছে। সে এ ঘটনার পর দেশের বাইরে চলে গেছে। এই মুহূর্তে তার দেশে ফিরে আসা সম্ভব নয়। এ সময় আরাভ লিমনকে প্রস্তাব দেয় তার বদলে এই হত্যা মামলায় যেন সে কারাভোগ করে। পরবর্তীতে তাকে কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নিতে সহায়তা করবে। এ সময় আরাভ তাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করারও আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে তার কথামতো কুমিল্লার একটি মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছরের মেডিকেল অফিসারের কোর্স চলাকালীন সে মামলায় কারাগারে যায়। কারাগারে যাওয়ার পর আরাভ তার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেনি।

লিমনের বাবা বলেন, রবিউল ওরফে আরাভ খান আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে লিমনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারাগারে থাকার বিষয়টি আড়াই মাস পরে আমি জানতে পারি। যদিও সেই বদলি কারাভোগের মামলা থেকে রেহাই পায়। কিন্তু আদালতকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে লিমনের নামে প্রতারণা মামলা হয়। ২০২১ সালে জামিনে বের হওয়ার পর প্রতারণা মামলায় তাকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে পুলিশ তার সন্ধান পায়। ২০১৮ সালে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলকে অবহিত করা হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টারপোল আরাভের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে। যেহেতু সে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি- বিষয়টি বিবেচনা করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে নিয়ে আসতে কাজ করছে পুলিশ।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার