হবিগঞ্জে সম্পাদকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে দৈনিক আমার হবিগঞ্জের সম্পাদক সুশান্ত দাশগুপ্তসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বাদী হয়ে।

অভিযোগ তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক তওহীদুল ইসলাম। সুশান্ত দাশগুপ্ত ছাড়াও মামলায় আসামী করা হয় দৈনিক আমার হবিগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক নুরুজ্জামান মানিক, বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমন, রিপোর্টার কাকলী আক্তার, তারেক হাবিব ও সোনালী প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রাকর শোয়েব চৌধুরীকে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, দৈনিক আমার হবিগঞ্জের সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তসহ অন্যান্য আসামীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মিথ্যা এবং মানহানিকর ছয়টি সংবাদ প্রকাশ করেছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, সুশান্ত দাশগুপ্ত, রায়হান উদ্দিন সুমন ও নুরুজ্জামান মানিক তাদের পছন্দের লোকজনকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে নেয়ার জন্য বাদীকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের হুমকিও প্রদান করেন আসামীরা। কোন প্রকার তথ্য উপাত্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে প্রকাশ করা সংবাদগুলোতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমানের সামাজিক মর্যাদা ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যা আর্থিক বিবেচনায় পরিমাপযোগ্য নয়। এতে তার নুন্যতম ৫ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।  

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাঠালেও তারা তা প্রকাশ করেননি। এজন্য আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যুর দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। কিন্তু দৈনিক আমার হবিগঞ্জ সংবাদ নীতিমালা বহির্ভুতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার করেছেন। এসব মিথ্যা সংবাদে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র-সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে সমাজে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। মানহানিকর এসব সংবাদ প্রকাশকারীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নিয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’