ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬০

সিলেটের চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই নেই বাংলা চর্চা!

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫। এসবের ৩৮টি মেডিকেল, কৃষি, প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। যেগুলোর বেশিরভাগেই বাংলা পড়ানো হয় না।

আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৫। তারাও বাংলাকে গুরুত্ব দেয় না। ১১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র সাতটির নাম বাংলায়। বাকি ১০৮টির নাম ইংরেজিতে। যেখানে রয়েছে সিলেটের চার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। সেগুলো হলো- লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেকেই বাংলা পড়াতে চায় না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাত্র ১৮টিতে বাংলা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থী না পাওয়ায় অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ চলছে নামকাওয়াস্তে। নতুন করে কেউ বাংলা বিভাগ খোলার আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে ইউজিসি’র পূর্ণ কমিশনের সিদ্ধান্তে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ এবং ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ নামের দুটি বিষয় যোগ করা হয়। ইউজিসির অনুরোধে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস রচনা করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। আর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পাদনা করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমপক্ষে দুই ক্রেডিটে এ বিষয় দুটি যাতে পড়ানো হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশনাও জারি করে ইউজিসি। নির্দেশনার সাত বছর পার হলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় তা মানছে না।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোর্স পরিচালনা করে তারা। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ অনুযায়ী। এ আইনে ভাষাবিষয়ক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তাই ইউজিসি অনুরোধের বাইরে কিছু করতে পারে না। কিন্তু সেই অনুরোধে কান দেয় না বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পড়ালেখা করেন বাংলা মাধ্যমে। এই শিক্ষার্থীরাই যখন উচ্চশিক্ষায় আসে তখন বাংলা আকর (বাংলা বিষয়ে গবেষণা মূলক মূল পাঠ্যপুস্তক) পাঠ্য বইয়ের চরম সংকটে পড়ে। ফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইংরেজি বইয়ের দারস্থ হয়। বাংলায় প্রয়োজনীয় আকর পাঠ্য বই না থাকায় গবেষণাও ঠিকমতো হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীরা বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগের পুরনো কিছু বিষয়ে বাংলায় আকর পাঠ্য বই পাওয়া যায়। তাদের পরীক্ষায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও লেখার সুযোগ রয়েছে। বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের পুরোপুরিই ইংরেজি বইয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবই করতে হয় ইংরেজিতে। এতে ইংরেজিভীতির কারণে অনেকেই ধার করা অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণাপত্রে সামান্য পরিবর্তন করে নিজের বলে চালিয়ে দেয়। ফলে বাংলাদেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষাপীঠে অধ্যয়ন করলেও স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যেই গবেষণা সীমিত।

সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শুধু লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বিভাগ চালু রয়েছে। প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থাকলেও বাংলা বিভাগ নেই। শিক্ষকরাও ইংরেজিতে ক্লাসে পাঠদান করেন। ইদানীং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোরও বেশিরভাগ ক্লাস নেওয়া হয় ইংরেজিতে। ফলে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীরা বাংলাবিমুখ হচ্ছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি তেমন ব্যবহার করে না। তারা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে লালন করে বলেই উন্নত দেশ হতে পেরেছে। তারা ভালো বই পেলে নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে নেয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সে চর্চা নেই। তাদের মতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইংরেজি পড়াক, তবে বাংলার চর্চাও সমানতালে থাকতে হবে।

 

 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার