হবিগঞ্জে ২ এ্যাম্বুলেন্স চালকে কারাদন্ড দিলেন জেলা প্রশাসক

একদিকে বাসের হেলপার, সঠিকভাবে জানেন না ড্রাইভিং, নেই কোন ধরণের কাগজপত্রও, অথচ চালান রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স। 

অন্যদিকে, সদর আধুনিক হাসপাতালের গেটের সামনে এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে সৃষ্টি করে রেখেছেন প্রতিবন্ধকতা। এমন অসংখ্য অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই এ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান নিজে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন। পরে আটককৃত দুইজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. জহিরুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকার ফজর মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২০) এবং বানিয়াচং উপজেলার বলাকিপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সৈয়দ আহাম্মদ পথিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে থাকা অধিকাংশ এ্যাম্বুলেন্স চালকই অদক্ষ। তাদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কোন ধরণে কাগজপত্র। যার ফলে আশঙ্কাজনক রোগী নিয়ে ঢাকা অথবা সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি হাসপাতাল ফটকের সামনে এ্যাম্বুলেন্স রেখে হাসপাতাল আগত রোগীদের চলাচলে প্রতিবন্ধতকা সৃষ্টি করেন।

অন্যদিকে স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগও রয়েছে। যার কারণে আজ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে অভিযান চালান জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান। এ সময় বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করে জেল-জরিমানা প্রদান করেন।