ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৮৮৭

হতাশা ও বিপদ-মুসিবতে করণীয়

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০  

মানুষ জীবনের নানাক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হতাশায় ভোগেন। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল, যে জীবনে কখনও হাতাশা ও বিপদ-মুসিবতে ভোগেননি।
স্বাভাবিক নিয়মে জীবনের নানা বাঁকে মুমিনের জীবনে হতাশ হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে পারে; বিপদ-মুসিব বা দুঃখ-কষ্ট জীবনেরই অংশ। এসব এলে হতাশ হয়ে পড়া মুমিনের লক্ষণ নয়। এগুলো এলে কি করতে হবে তা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলে দিয়েছেন।

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদাররা! ধৈর্য্যধারণ কর এবং মোকাবিলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)।

রাতের পর যেমন দিন, ঠিক তেমনি দুঃখের পর আছে সুখ। কাজেই কোনো দুঃখে মুষড়ে পড়া কোনো মুসলমানের সাজে না। মানুষ যত বড় পাপীই হোক, আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। আপনি যত পাপীই হোন, আর যত দুঃখ কষ্টের মধ্যেই থাকুন না কেন, আল্লাহকে স্মরণ করুন। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। 

এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব।’ (সূরা: আল মুমিন, আয়াত: ৬০)।

মুমিনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। যারা মুমিন তারা একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা করবে। নিরাশ হওয়া চলবে না। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৯)।

বস্তুত আল্লাহ তায়ালা মানুষের অন্তর পরীক্ষা করেন। ধৈর্য্যধারণ করায় আল্লাহ মুমিনদের ওপর সন্তষ্ট হন। পরিণামে প্রশান্তি নাজিল করেন এবং বিজয় দান করেন। মনে এ বিশ্বাস রাখতে হবে, সময় কঠিন হলেও আল্লাহর সাহায্য আসবেই। এটা আল্লাহর ওয়াদা। কোরআন ও হাদিসে বিপদে ধৈর্য্যধারণ করার কথা বারবার বলা হয়েছে। 

বিপদ-মুসিবতের সময় মুসলমানের করণীয় প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধৈর্য্যর সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাজের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ৪৫)।

সত্যিকারের মুমিন সর্বদা আপন প্রভূর করুণা ও রহমত কামনা করে। আর আল্লাহ তায়ালা তাদের সঙ্গে সেরূপ ব্যবহারই করেন। এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী তার সঙ্গে ব্যবহার করি।’

মানুষের বালা-মুসিবত দৃশ্যত অসহ্য কিংবা কষ্টদায়ক হলেও, তা পরিণামে শেষ পর্যন্ত কল্যাণই বয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য্যশীলদের এই মুসিবতের বদৌলতে উত্তম নিয়ামত দান করে থাকেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের বিষয়টি চমৎকার, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (ভালো বা মন্দ) যা-ই ফয়সালা করেন, তা-ই তার জন্য কল্যাণকর হয়।’ 

তাই বিপদ-মুসিবতের সময় গোনাহ থেকে বার বার তওবা করতে হবে। কারণ তওবা করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। পাপ হয়ে গেলে তওবা করুন। তওবার কোনো বিকল্প নেই। তওবায় পাপ মোচন হয়, বিপদ আপদ কেটে যায়। 

বিপদের বেশি বেশি নামাজ পরতে হবে। নামাজ মনে প্রশান্তি আনে। কোরআনে কারিমে সূরা রাদের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা প্রশান্তি লাভ করে, জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারা অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ 

রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো সংকটের মুখোমুখি হতেন, তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। হাদিসে বলা হয়েছে, যখন তোমরা (দুঃখ বা রাগের কারণে) উত্তেজিত হবে, তখন ওজু কর এবং দু’রাকাত নামাজ আদায় কর, এটা তোমাদের উত্তেজনা শীতল করবে এবং এতে তুমি শান্তি এবং সন্তুষ্টি পাবে। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। 

নামাজ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। নামাজ মানুষকে খোদামুখি করে এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে দূরে রাখে। নামাজের মাধ্যমে মানুষ আত্মিক শান্তি ও সুখ অনুভব করতে পারে।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- যখন দুঃখ ও কষ্ট চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে, তখন নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা ও আল্লাহর রাসূলের (সা.) আমল।

ইয়া রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা! আমাদের সবাইকে হতাশা ও বিপদ-মুসিবতের সময় ধৈর্য্যধারণের মাধ্যমে একমাত্র আপনারই নিকট সাহায্য চাওয়া এবং সর্বপ্রকার শিরক-বেদাত থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার