সিলেটে আওয়ামী রাজনীতিতে যেসব পরিবর্তন আসছে?

দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে দলকে আগের যেকোনো সময়ের চাইতে সুসংগঠিত করতে চায় সিলেট আওয়ামী লীগ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সিলেটে একের পর এক কর্মসূচী পালন করে সকলের প্রশংসা কুঁড়াতে সমর্থ হয়েছে সংগঠনটি। বিশেষ করে দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে একই প্লাটফর্মে থেকে কাজ করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। এর ফলে দীর্ঘদিন পর সিলেটের আওয়ামী রাজনীতি ফিরে পেলো আপন কক্ষপথ।

সিলেটে আওয়ামী পরিবারে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার নিরসন ঘটে গেলো বছরের ৫ ডিসেম্বর । এই দিন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে দলের জেলা ও মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটিতে প্রবীণের পাশাপাশি স্থান হয় নবীনের। সম্মেলন পরবর্তী প্রবীন এবং নবীনের সমন্বয় ঘটিয়ে সংগঠনটি একের পর এক কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

নতুন নেতৃত্বের পর রাজনৈতিক তদবিরের সংস্কৃতি ঘুচিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে গেলো ২১ ফেব্রুয়ারি নগ্নপায়ে শহিদদিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হৈ হুল্লুর বিহীন প্রভাতফেরি ছিলো স্মরণকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

সারিবদ্ধভাবে শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পনের ঘটনা সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গণে এক নতুন সংযোজন বলে মনে করছেন অনেকেই। খোদ দলের সাবেক ও বর্তমানের অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও বিষয়টির প্রশংসা করেছেন ।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, নতুন নেতৃত্বের হাতেই সিলেট আওয়ামী লীগের শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত ভিত রচনা হবে বলে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, কাজের মধ্য দিয়ে অন্তত এটিই প্রমান করবে সিলেটের আওয়ামী পরিবারের এই নেতৃত্ব।তিনি বলেন আমি যেটা পারিনি সেটা আপনারা করে দেখিয়েছেন।

দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ছাত্ররাজনীতি করেই যুক্ত হয়েছি অভিভাবক সংগঠনে। কথায় নয়, কাজের মধ্য দিয়ে তার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। বিশেষ করে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক অবস্থান রয়েছে।

দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার নয় বরং দলের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করার নামই রাজনীতি। সেই রাজনীতি হলো জনকল্যানের। দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের গ্রুপ হবে একটি। সেই গ্রুপের নেতা শেখ হাসিনা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই বিশ্বাস এবং বোধ নিয়ে রাজপথে আছি, থাকবো আমৃত্যু। 

দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সত্যিই নতুন নেতৃত্বের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় সিলেটে আওয়ামী লীগ এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে  সুসংগঠিত। দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের নাম স্মরণ করে তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে একজন স্বজ্জন ও লড়াকু মুজিব সৈনিকের সংস্পর্শ পেয়েছি  বলেই এখনো কাজ করতে প্রেরণা বোধ করি।