সিলেটবাসীর জন্য সরকারের কল্পনাতীত উপহার

বিএনপি জাময়াত জোট সরকারের আমলে  সিলেট-১ আসনে খুবই দুরবস্থান মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। কাজের অবস্থা ছিল অনেকটা দায়সারা গোছের। ২০০৫ সালে সিলেটবাসীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজিরবাজার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। 

কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে জনগণের টাকা লুটপাটের সুবিধার জন্য ত্রæটিপূর্ণ নকশা ও সংযোগসড়ক নিয়ে জটিলতার মধ্যদিয়েই শুরু হয়েছিল এই সেতুর কাজ। 

দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষে উদ্বোধনের কথা থাকলেও পেরিয়ে যায় বছরের পর বছর। ফলে সিলেটবাসীর গলার ফাঁস হয়ে পড়ে থাকে কাজিরবাজার ব্রিজের কাজ। নদীর বুকে বিশালকারের পিলার পড়ে থাকে। স্বাভাবিক পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। হ্রাসপায় সুরমার নাব্যতা। দুই পারে জমতে থাকে পলিমাটির পাহাড়। এতে আশাপাশ এলাকায় বৃষ্টি হলেই শুরু হতো বন্যার আতঙ্ক। 

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তার আগ্রহ ও পরিকল্পনায় নতুন করে কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে বর্তমান সরকার। ত্রæটিপূর্ন নকশা সংশোধন করা হয়। সংযোগ সড়ক আর অন্যান্য জটিলতা নিরসন করে সরকার দ্রæত এই সেতুর কাজ চালিয়ে যায়। আগের সরকারের বাজেট, সেতুর দৈর্ঘ ইত্যাদিতে ব্যাপক পরিবর্তন করে একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু তৈরির জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় প্রায় ১১২ কোটি টাকার বেশি। 

প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেতুটিতে তরুণ-তরুণী ও  যুবক-যুবতিদের ভিঢ় লেগেই থাকে। নাগরিক জীবনের ক্লান্তি অবসাদ দুর করে সুরমার শীতল হাওয়ায় সজিব-সতেজ হওয়ার এমন উত্তম স্থান সিলেটে আর নেই। 

বিশেষ করে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে সুরমার সাথে নিজেকে ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন। আর তাই ভালোবেসে তারা কাজিরবাজার ব্রিজের পাশাপাশি এর নতুন একটি নামও দিয়েছেন। তাহলো ‘সেলফি ব্রিজ’। অবসর যাপন বিনোদনের পাশাপাশি জরুরী অনেক কাজও সারা হচ্ছে এখন এই ব্রিজে। যেমন কনে দেখা, ব্যবসায়ীক আলাপ-আলোচনা ইত্যাদি।