সিলেট শহরে বড় সমস্যা যানজট!

অসহনীয় মাত্রায় দিন দিন যানজট বাড়ায় স্বাভাবিক জীবনযাপনের অযোগ্য হয়ে উঠছে পর্যটন নগরী সিলেট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট এই শহরের নিত্য দিনের সঙ্গী কর্মব্যস্ত মানুষের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপনী বিতান ও বাণিজ্যিক ভবন কর্তৃপক্ষ পার্কিংয়ে উদাসীন। আর সিলেট নগরের বেশীরভাগ মার্কেটে নেই পার্কিং ব্যবস্থা। কোনো কোনো মার্কেটে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে বসিয়েছেন স্থায়ী দোকান। ফলে যত্রতত্র পার্কিংয়ে বাড়ছে যানজট।

ট্রাফিক বিভাগের একটি সুত্র জানায়, বর্তমান সময়ে সিলেট নগরে চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে বেড়েছে যানজট। তবে কাজ শেষ হলে যানজট আর থাকবে না। এই সুত্রটি আরও জানায়, নগরের যত্রতত্র পাকিং ব্যবস্থাই যানজটের মূল কারণ। সাথে ভাসমান দোকানিদের ব্যবসা আর অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড নগরের জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।

দেশের অন্যান মহানগরীর তুলনায় সিলেট শহর খুব একটা বড় না হলেও দিনদিনই এখানে বাড়ছে যানজট। ছোট এই পর্যটন নগরী যেন ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। এখানকার সড়কে নিয়ম মানার কোন বালাই নেই। যেমন ইচ্ছে তেমন চলো এমন নীতিতেই যেন চালক-পথচারী আর কর্তৃপক্ষ একাকার। ২৭টি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন আয়তন: ২৬.৫০ বর্গ কিমি।

জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মীরাবাজার, সোবহানীঘাট, উপশহর, শিবগঞ্জ, সুবিদবাজার, ওসমানী মেডিকেল রোড, লামাবাজার, পাঠানটুলা, মদিনা মাকের্ট, এলাকা নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার মধ্যে অনতম। আর এইসব স্থানে প্রতিদিন যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট প্রায়ই লেগে থাকে এই সড়কগুলোতে। অনেকসময় বাধ্য হয়ে কর্মব্যস্ত মানুষজন পায়ে হেটেই কাজ সাড়তে হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) নিকুলিন চাকমা বলেন, ‘নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ট্রাফিক পুলিশ নেই। এই কারণে যানজট নিরসনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।’

এ সময় তিনি জানান, সিলেট মহানগর ট্রাফিক শাখায় এখন ২১২ জন সদস্য কর্মরত আছেন। আরও অন্তত ১০০ সদস্য প্রয়োজন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতে দেখলে পথচারীদের সোচ্চার হতে হবে। তাদের কাছ থেকে কোনো ধরণের পণ্য ক্রয় না করে গুড়িয়ে দিতে হবে তাদের ভাসমান স্থাপনা। এতে করে যানজন থেকেও আমরা মুক্ত হব। তবেই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের এই নগরী হবে আধুনিক, সাঁজানো-গোছানো একটি পর্যটন নগরী।’