ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৪৮৫

শিশুর দাঁত ক্ষয় রোগ সমাধানের উপায়

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম অনেকেই বুঝতে পারে না! বর্তমানে বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও অন্যতম প্রধান সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে। শিশুর শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য শিশুর জন্মের পর থেকেই তার দাঁতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। 

ছয় মাস বয়স থেকে শিশুর দাঁত ওঠতে শুরু করে। সাধারণত গর্ভে  থাকাকালীনই শিশুর দাঁত উঠতে থাকে। তবে তা মাড়ি ভেদ করে আসতে সময় লাগে। এজন্য দাঁত দেখা না গেলেও এর পরিচর্যা করতে হয় শুরু থেকেই। শরীরের স্বাভাবিক গঠন ও পুষ্টির জন্য সব ধরনের খাবার প্রয়োজন। তবে ক্যান্ডি, জুস বা মিষ্টি জাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়ানো উচিত শিশুকে। সাধারণত অ্যাসিডিক ফুড, যেমন- ল্যাকটিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার দাঁত ক্ষয়ের প্রধান কারণ। 
 
অতিরিক্ত চকলেট, আইসক্রিম এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। সেটি সম্ভব না হলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর আঁশ জাতীয় ফল যেমন-  পেয়ারা,  আপেল,  নাশপাতি ইত্যাদি খাওয়া উত্তম। ফলে সহজে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারেনা। দুই দাঁতের মধ্যবর্তী ফাঁকে খাবার লেগে থাকলে দাঁতের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
 
শিশুদের দাঁতের বিশেষ যত্ন

দাঁতের যত্নের ক্ষেত্রে তিন বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্ক হতে হবে। তাদের খুব কোমল ব্রিসেলযুক্ত ব্রাশ বা টুথপেস্ট ব্যবহার ছাড়াই দাঁত, মাড়ি ও জিহ্বা আলতোভাবে পরিষ্কার করাতে হবে। শিশুর বয়স ৩ বছর হলে ধীরে ধীরে তাকে নরম ব্রিসেলযুক্ত শিশুর ব্যবহার উপযোগী টুথব্রাশ ও অল্প পরিমাণে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কারে অভ্যস্ত করতে হবে। 

দাঁত নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিকভাবে না পড়লে অবশ্যই ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। দুর্ঘটনাজনিত কারণে শিশুর দুধ দাঁত পড়ে গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দাঁতটি পুনরায় স্থাপন করা যায়। এক্ষেত্রে পড়ে যাওয়া দাঁতটিকে দ্রুত নরমাল স্যালাইন (০.৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড) অথবা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। 
 
যেখান থেকে দাঁতটি পড়েছে সেখানে কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখলে তা পুনরায় মাড়ির সঙ্গে আটকে যায়। শিশুর দুধ দাঁত সাধারণত ৬ বছর বয়স থেকে পড়া শুরু হয়। কোনো কারণে পার্মানেন্ট দাঁত উঠতে দেরি হলে এক্স-রের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করা যায়। আবার প্রয়োজনে দাঁত কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপন করা যায়।

বিভিন্ন ঋতুতে শিশুর দাঁতের বিশেষ যত্ন  

বিভিন্ন ঋতুতে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুর দাঁতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক স্টোন জমা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে। দাঁতে ব্যাথা বা শিরশির অনুভূত হলে গরম পানিতে লবণ দিয়ে ২থেকে ৩ বার কুলকুচা করাতে  হবে। ব্যাথার তীব্রতা বেশি হলে দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে। তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যাথা কমানোর জন্য লবঙ্গ ছেঁচে  রস নরম তুলো দিয়ে ব্যাথা আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। 
  
বিশেষ সতর্কতা 

অনেকেই দাঁতে ব্যাথা অনুভূত না হওয়া পর্যন্ত দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে যান না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দাঁতের রোগের কারণে চিকিৎসা করানো হয়। তবে পরবর্তীতে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করার ফলে পার্শ্ববর্তী দাঁত বা মাড়িতে পুনরায় ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন দু’বার দাঁত মাজার পাশাপাশি কুলকুচা এবং ফ্লসিংয়ের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার রাখা খুবই প্রয়োজন।  
 
দন্ত্য চিকিৎসককে দাঁত দেখানোর কথা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন বলেছেন প্রথম জন্মদিনের আগেই  শিশুকে দন্ত্য চিকিৎসককে দেখাতে হবে। এরপর বছরে অন্তত দুই বার দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। দাঁতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে যেমন দাঁতে ব্যথা, কালচে বা হলুদ ভাব তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার