যোগ্যতা নেই তবু কোম্পানীগঞ্জ বর্ণি স্কুলের প্রধান শিক্ষক!

সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান এর শিক্ষক নিবন্ধন, বিএড, এমপিও নেই। তারপরও তিনি প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাকে সহায়তা করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপরিচালক বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে বর্ণি গ্রামের ইসহাক আহমদ প্রেরিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাজ্জাদুর রহমান ২০১২ সাল থেকে বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভ‚ক্তির জন্য তালিকাভুক্ত হয়।

এরপর ২০১৬ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিজেই রেজুলেশন তৈরি করে নিজে প্রধান শিক্ষক হয়ে যান। যদিও সরকারের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধন, বিএড ছাড়া তিনি ২০১৬ সালে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদনই করতে পারেন না।

ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকের স্বাক্ষর জাল করে তিনি রেজুলেশন তৈরি করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক, ইয়াছমিন আক্তারকে অফিস সহকারী, জাবেদ আহমদ কে এমএলএসএস পদে নিয়োগ দেখান। এরপর থেকে তারা বেতন ভাতাও উত্তোলন করছে। স্থানীয় শিক্ষা অফিসকে ‘ম্যানেজ’ করে অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগ দেখানো হয়। ইয়াছমিন আক্তার ও জাবেদ আহমদ ইতিমধ্যে দেড় বছরের এরিয়ারসহ সরকারি বেতনভাতা উত্তোলনের জন্য আবেদনও করেছেন। 

যদিও এমপিও ঘোষণার পূর্বে ইয়াছমিন আক্তার ও জাবেদ আহমদ কখনও স্কুলে আসেন নি। কখন নিয়োগ হলো কি প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হলো বিষয়টির খোঁজ নিতে গিয়ে নানা অনিয়মের বিষয়টি সামনে চলে আসে। 

এ ব্যাপারে সিলেট আঞ্চলিক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহমদ  বলেন, প্রতিষ্ঠানটি নতুন এমপিওভূক্তির জন্য অনুমোদন লাভ করেছে। এর আগে ব্যবস্থাপনা কমিটি শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করেছেন। এখন এই নিয়োগ নিয়ে এলাকায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। একটিপক্ষ অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা অফিস তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এর আলোকেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলার ৪৯ জন, সুনামগঞ্জের ২ জন এবং হবিগঞ্জ জেলার ৬ জন।