বিচারহীনতার সংস্কৃতি এদেশে বিএনপিই চালু করেছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিলো। এখন তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার। 

বুধবার নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। 

অনিয়ম দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীর প্রতি অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আইনের বিধান কঠোরভাবে কার্যকর হলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং এসব ঘৃন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সমাজের সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দান বন্ধ করতে হবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিলো। তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো। বিএনপি তাদের বিচার করেনি বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিলো। 

২০০৪ সালে বিএনপির রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন তারা বিচার করেনি উল্টো পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছিলো। অপরদিকে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয় থাকলেও রেহাই দেয়নি সরকার।
 
একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসীকে এই মতলবি মহলের সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে এই মতলবি মহল অপপ্রচার করছে, নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি। 

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে এরইমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনার সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, বাড়ছে রফতানি আয় ও প্রবাসী আয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে, তার নেতৃত্বের উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এবং তা অব্যাহত থাকবে।