বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি কেন হয়?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮
আপনি ছোট থেকেই একটি কথা বা উপদেশ বড়দের থেকে অবশ্যই শুনেছেন যে, বৃষ্টির সময় অথবা বিদ্যুৎ চমকানোর সময় খোলা স্থানে বা গাছের নিচে যেন না দাঁড়ানো হয়। কারণটা আমরা সবাই ভালো করেই জানি। বৃষ্টির সময় অথবা বিদ্যুৎ চমকানোর সময় বজ্রপাতের সম্ভাবনা খোলা মাঠ এবং গাছের নিচে সব থেকে বেশি থাকে। কিন্তু এমনটা কেন হয় ?
আর এছাড়াও আমরা বৃষ্টির সময় একটি ব্যাপার খেয়াল করি আর সেটা হচ্ছে শিলা বৃষ্টি। কেন হয় এ শিলা বৃষ্টি? আর কেনই বা হয় এই বজ্রপাত? যদি আপনি এটার উত্তর পেতে চান তাহলে আপনার জন্যই ডেইলি বাংলাদেশের আজকের এই আয়োজন। আজ আমরা শিলা বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বজ্রপাত কেন হয় এটা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে সবার আগে স্ট্রেটিক ইলেক্ট্রিসিটি সম্পর্কে জানতে হবে। যদি সহজ ভাষায় স্ট্রেটিক ইলেক্ট্রিসিটি সম্পর্কে বলা হয় তাহলে স্ট্রেটিক ইলেকট্রিসিটি হচ্ছে দুটি জিনিসের মধ্যে ফিকশন। অর্থাৎ এই ইলেক্ট্রিসিটি দুইটি বস্তুকে একে অপরের সাথে ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয়। আপনি এইটি বেলুন দ্বারা করা একটি এক্সপেরিমেন্ট থেকে সহজেই বুঝতে পারবেন। ধরুন এক ব্যক্তি একটি বেলুনকে একটি কাপর দ্বারা ঘসছে এবং একটি টেবিলে কিছু কাগজের টুকরো রেখেছেন। বেলুনটি ঘষার পরে টেবিলে রাখা কাগজের টুকরোর ওপরে নিয়ে যেতেই কাগজের টুকরোগুলো বেলুনের গায়ের সঙ্গে আটকে যেতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটির পেছনের সাইন্স ছিল স্ট্রাটিক ইলেক্ট্রিসিটি। এ রকম হওয়ার মূল কারণ, যখনই বেলুনের শরীরকে কোনো কিছু দ্বারা ঘর্ষণ করা হয় তখনই বেলুনের ভিতরে কিছু নেগেটিভ চার্জ চলে আসে। আর এই কাগজের টুকরো যা নিউট্রাল হয়ে থাকে পসিটিভ চার্জকে আকর্ষণ করে আর এভাবে বেলুন কাগজের টুকর গুলোকে ম্যাগনেট এর মত তার শরীরে আটকে নেয়।
তাহলে, এবার আসুন আমরা আমাদের প্রশ্নে ফিরে আসি। বজ্রপাত কেন হয়? আমরা সবাই এটা জানি পানি বাস্প হয়ে উপরে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। উপরের মেঘ এতটা ঠান্ডা হয়েছে সেগুলো ছোট ছোট বরফের আকার ধারণ করে। আর এই বরফের টুকরো গুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণের সৃষ্টি করে। যার ফলে একটি নেগেটিভ চার্জ উৎপন্ন হয় মেঘের নিচের দিকে আর পজেটিভ চার্জ হালকা হওয়ার কারণে মেঘের উপর দিকে চলে যায়। তখন মেঘের মধ্যে এই চার্জ ভাগাভাগি হয়ে যায়। আর যেমনটা আমি আপনাদের বলেছি স্ট্রটিক ইলেক্ট্রিসিটিতে কোন এক বস্তুতে স্ট্রেটিক নেগেটি চার্জ তৈরি হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক মেঘের ভেতরের চার্জ আলাদা হওয়া প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
কারণ এটাই সব থেকে মাহাত্ম্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজ্রপাতের জন্য। বিদ্যুৎ চমকানোর তিন প্রকারের হয়ে থাকে। নাম্বার ওয়ান ইন্ট্রা ক্লাউড লাইটনিং এর মানে হচ্ছে একটি মেঘের মধ্যেই বিদ্যুৎ চমকানোর। এর মধ্যে মেঘের উপরের পসিটিভ চার্জ আর নিচের ভারী নেগেটিভ চার্জ যখন কাছাকাছি চলে আসে তখন একটি লাইকনিং ক্রিয়েট হয় যেটাকে আমরা বিদ্যুৎ চমকানো বলে থাকি। কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে কোনো আওয়াজ হয় না।
নাম্বার টু ক্লাউড টূ ক্লাউড লাইটনিং এর মানে হল দুটি মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানোর। এর মধ্যে একটি মেঘের নেগেটিভ চার্জ যখন দ্বিতীয় মেঘের পসিটিভ চার্জের কাছে চলে আসে তখন একটি লাইটনিং ক্রিয়েট হয়। এই বিদ্যুৎ চমকানো দেখাও যেতে পারে আবার নাও দেখা যেতে পারে। নাম্বার থ্রি তে আছে ক্লাউড তো গ্রউন্ড লাইটনিং। এর মানে মেঘ থেকে ভূ-পৃষ্ঠ পর্যন্ত বিদ্যুৎ চমকানো। যেটাকে আমরা বজ্রপাত বলে থাকি। এখানে মেঘের নিচের অংশ যেটা নেগেটিভ চার্জে ভরা থাকে আর ভূমিতে থাকা কোন পসিটিভ চার্জের সাথে আট্রাক্ট হয়ে লাইটনিং ক্রিয়েট করে। এটা সাধারন খোলা মাঠ আর গাছের মধ্যে হয়ে থাকে। এর জন্য বৃষ্টির সময় খোলা মাঠে এবং গাছের নিচে কখনোই থাকবেন না। ভূমিতে আঘাত করা এই বজ্রপাত প্রায় ২৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয়ে থাকে। এই লাইটনিং অনেক জোরে শব্দ করে থাকে। এই লাইটনিং আশেপাশে হাওয়াকে ভীষণ গরম করে দেয়।
তাহলে আশা করছি আপনারা বুঝতে পারলেন বজ্রপাত কেন হয় এবং সেই সঙ্গে বজ্রপাতের সময় এত জোরে শব্দ কেন হয়ে থাকে।
আসুন এবার জেনে নেই শিলা বৃষ্টি সম্পর্কে। আকাশে যখন মেঘের পরিমাণ অনেক বেশি বা ভারী হয় তখনই বৃষ্টির সময় আকাশ থেকে বরফের টুকরো বা মেঘের কণা পরে যাকে আমরা শিলা বৃষ্টি বলে থাকি। আমরা যাকে বৃষ্টি বলি তা কিন্তু আকাশ থেকে বিশাল বড় আকারে একটি মেঘের কণা। আকাশে মেঘ জমতে জমতে অনেক ভারী হয়ে গেলে যদি ওই আকাশ ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন আকাশ থেকে মেঘের কণাগুলোর আলাদা আলাদা হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হওয়ার সময় মেঘের কণাগুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণের ফলে সেই কণাগুলো এত ছোট ছোট হয়েছে যে তা ভূপৃষ্ঠে আমরা বৃষ্টির আকারে দেখতে পাই। আর সে সময় মেঘর কণা গুলো যখন অনেক বেশি আকারে আকাশ থেকে ঝরে তখন একে অন্যের সাথে অতি ঘর্ষণের ফলেও ঐ কথাগুলো চূর্ণ বিচূর্ণ হতে পারে না কিংবা হওয়ার পূর্বেই ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয় আর এ কারণেই বৃষ্টির সময় আকাশ থেকে বরফের টুকরো পরে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনা থেকে আপনারা শিলা বৃষ্টি সম্পর্কেও জানতে পারলেন।
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- একনেকে নতুন আরও ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- কৈলাশটিলায় যুক্ত হবে দৈনিক ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস
- সিলেটের যে ব্যাংকে ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে
- মেয়রের আন্তরিকতায় সচল হলো নগরীর শতাধিক অচল সিসি ক্যামেরা
- মৌলভীবাজারে ৬ বিকাশ প্রতারক গ্রেফতার
- সিলেটে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হবার সম্ভবনা
- সিলেটে ছিনতাই চক্রের ১২ সদস্য আটক
- ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
- ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- সিলেটের প্রবাসীদের বিলম্বিত লাগেজ বাড়ি পৌঁছাবে বিমান কর্তৃপক্ষ
- বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করল ‘জগন্নাথপুর ইয়াং স্টার’
- চলছে সিসিকের নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান ও অর্থদণ্ড
- বয়স্কদের কথা ভেবেই পেনশন স্কীম চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন
- সিলেটে তেল উত্তোলন হবে বাণিজ্যিকভাবে, সরকারের প্রস্তুতি
- শাবির পিএসএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও আলোচনা
- শেখঘাট থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ঈদের আগে বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারতীয় শাড়ি এনে বিক্রি করত’
- এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির
- খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
- ঈদে বাড়ি যাবে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ
- উপজেলায়ও সংসদ নির্বাচনের ছায়া
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- সুনামগঞ্জের ফ্লাওয়ার লেকে ছুটছেন দর্শনার্থীরা
- আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই
- সিলেটে ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর জুটিতে তিনশ ছাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার লিড
- মৌলভীবাজার সমিতি সিলেটের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে স্মার্টের দিকে এগোচ্ছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- দেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত- বিবিএসের জরিপ
- সিলেটে সরাসরি ইন্টারভিউ, দুবাইয়ে কর্মী নিয়োগ
- ২২ বছর পর সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি
- দোকানে-দোকানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের
- নিসচা সিলেট জেলার আহবায়ক মিশু, সদস্য সচিব হায়াত
- বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে, শেষ প্রদীপও নিভে গেল দরিদ্র ফয়জুরের
- বড়লেখায় বিজিবির ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট বন্ধে কাজ চলছে : রেলমন্ত্রী