ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম্বুলেন্স সেবা নিয়ে অসন্তোষ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী পরিবহন গাড়ি (এম্বুলেন্স) সেবা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এম্বুলেন্স একদিন ভালো থাকলে পরের দিন বিকল হয়ে ওয়ার্কশপে পড়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য সময় এম্বুলেন্স বিকল থাকে, তাই রোগী পরিবহন সেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরমান আহমেদ নামের একজন এম্বুলেন্সের ছবি দিয়ে অসম্ভব প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একই ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন মৌলানা শামসুদ দোহা খান নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি লিখেছেন, গত ৫ আগস্ট তার বাবার জন্য এম্বুলেন্স খোঁজ করে পান নি। 

তবে এম্বুলেন্স চালক জানান, এম্বুলেন্স সিলেট আছে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরে তারা এম্বুলেন্সটি ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালে দেখতে পান। এসব অভিযোগে নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। 

এ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও শফিকুল আলম বলেন, এম্বুলেন্স ঠিক আছে, চলমান আছে। 

অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে এম্বুলেন্স চালক আবুল হোসেন জানান, গত ৫ আগস্টের অভিযোগের দায় তার নয়। তিনি এখানে যোগ দিয়েছেন ১৪ আগস্ট। 

তবে প্রায় এম্বুলেন্স বিকলের অভিযোগে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের যে অভিযোগ এসেছে তা সত্য নয়। এম্বুলেন্স ভাল আছে। এর আগে বিকল হতেই পারে। যন্ত্র কখন বিকল হয় তা আগ থেকে বলা যায় না। 

এম্বুলেন্স চালক হয়েও তিনি হাসপাতালে উপস্থিত না থেকে সিলেটে থাকেন কেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি গত ১৪ আগস্ট যোগ দিয়েছি। ১৮ আগস্ট এম্বুলেন্স সমজিয়ে পাই। এর পর থেকেই আমি এখানেই আছি। কোনো ছুটিও নেই নি। 

তবে লোকজন ফোন করে আপনাকে পান না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়। আমি সার্বক্ষণিক আছি। কিন্তু এটা হয়েছে যে গভীর রাতে কেউ ফোন দিলে আমি নিয়মমাফিক বলি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে অর্ডার নিন। কারণ আমি চিনি না এমন লোকের ফোনে গভীর রাতে যাওয়ার ঝুকি আমি নিতে পারি না। 

তিনি আরো বলেন, গভীর রাতে জরুরি এম্বুলেন্স সেবা পেতে হাসপাতাল টিএইচও এর অনুমতি লাগবেই। টিএইচও আমাকে অনুমতি দিলে আমি সার্ভিস দিতে পারব। 

তিনি বলেন, এই এম্বুল্যান্স আপনাদের সেবার জন্য সরকার দিয়েছে। আপনারা সেবা না পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করুন।