ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৯৬৭

পূর্ণাঙ্গ ইমানের ৪ আলামত

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে কিছু দেয়, যেন আল্লাহর জন্যই দেয়। কেউ যদি কাউকে কিছু দিতে অস্বীকার করে, আল্লাহর জন্যই যেন অস্বীকার করে। যদি কাউকে ভালোবাসে, আল্লাহর জন্যই যেন ভালোবাসে এবং যদি কারও প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, আল্লাহর জন্যই যেন শত্রুতা পোষণ করে, তা হলে ঐ ব্যক্তির ইমান পূর্ণাঙ্গ হবে।’ রাসূল (সা.) এরূপ ব্যক্তির ইমান পূর্ণাঙ্গ হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন।

1.পূর্ণাঙ্গ ইমানের চার আলামত

ইমান পূর্ণাঙ্গ হওয়ার প্রথম আলামত:

রাসূল (সা.) ইমান পূর্ণাঙ্গ হওয়ার প্রথম আলামত বলেছেন, কাউকে কিছু দিলে আল্লাহর জন্য দেওয়া। অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি কোনো জায়গায় কিছু ব্যয় করে, তা হলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে যেন আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিয়ত হয়। মানুষ নিজের জন্য খরচ করে, পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে, দান-খয়রাত করে, এ সব জায়গায় খরচ করার সময় আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার নিয়ত করবে। দান-খয়রাত করার ক্ষেত্রে তো এই কথা পরিষ্কার যে, দান-খয়রাতকারীর নিয়ত হবে ‘আমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য দান-খয়রাত করছি এবং আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাকে এর সাওয়াব দান করবেন।’ দান-খয়রাত করার ক্ষেত্রে যদি কারও প্রতি অনুগ্রহ করছি বলে মনে না হয়, মানুষকে দেখানোর জন্য করছি বলে মনে না হয়, নিজেকে দাতা হিসেবে তুলে ধরার জন্য যদি না হয় তা হলে সেটা হবে আল্লাহর জন্য দান-খয়রাত করা।

ক্রয়-বিক্রয়ের কী নিয়ত হওয়া উচিত?

দান-খয়রাত ছাড়া আমরা আর যে সব স্থানে খরচ করি সেখানেও আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার নিয়ত করে নিন। ধরুন, আপনি কোনো জিনিস কিনছেন এবং দোকানদারকে পয়সা দিচ্ছেন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটি একটি দুনিয়াবি লেনদেন কিন্তু যদি গোশত, তরকারী ইত্যাদি ক্রয় করার সময় এই নিয়ত করে নিই যে, আলল্লাহ তায়ালা আমার পরিবার-পরিজনের যে হক আমার জিম্মায় রেখেছেন সেই হক আদায়ের জন্য আমি এ লেনদেন করছি। পাশাপাশি যদি এই নিয়তও করি যে, আমি দোকানদারের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয়ের যে লেনদেন করছি তা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত হালাল পদ্ধতিতে করছি এবং হারাম পদ্ধতিতে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকছি, তা হলে এ লেনদেন এবং দোকানদারকে পয়সা দেওয়াটা আল্লাহর জন্য হলো। যদিও বাহ্যিকভাবে মনে হবে, এটি একটি দুনিয়াবি সাধারণ লেনদেন কিন্তু নিয়তের কারণে এটি আল্লাহর জন্য হলো।

প্রতিটি নেক কাজই সদকা:

মানুষ মনে করে, অভাবীকে পয়সা দেওয়া এবং নিরন্নকে অন্ন দান করাই সদকা; এ ছাড়া অন্য কোনো কাজ সদকা নয়। কিন্তু রাসূল (সা.) হাদিসে পাকে বলেন, সকল ভালো কাজই যা শুদ্ধ নিয়তে করা হয় তা সদকা। তিনি এও বলেন, খাবারের যে লোকমাটি মানুষ স্ত্রীর মুখে তুলে দেয় তাও সদকা। কারণ স্বামীর নিয়ত হলো, আল্লাহ তায়ালা আমার জিম্মায় স্ত্রীর যে হক রেখেছেন সেই হক আদায়ের উদ্দেশ্যে আমি এ কাজ করছি। এ নিয়তের কারণেই আল্লাহ তায়ালা এ কাজের ওপর তাকে সদকার সাওয়াব দান করবেন। এগুলো সবই আল্লাহর জন্য কাউকে কিছু দেওয়ার শামিল।

পূর্ণাঙ্গ ইমানের দ্বিতীয় আলামত:

রাসূল (সা.) পূর্ণাঙ্গ ইমানের দ্বিতীয় আলামত সম্পর্কে বলেন, কাউকে কোনো কিছু দিতে অস্বীকার করলে তা যেন আল্লাহর জন্য হয়। উদাহরণত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) অপব্যয় করতে নিষেধ করেছেন। কেউ যদি অপব্যয় থেকে বাঁচার জন্য পয়সা ব্যয় না করে তা হলে এটিও আলাহর জন্য না দেওয়া। কিংবা ধরুন, কেউ আপনার কাছে এমন কোনো কাজের জন্য পয়সা দাবি করছে, যে কাজটি শরিয়তে নিষিদ্ধ। আপনি সেই কাজের জন্য তাকে পয়সা দিলেন না; এ না দেওয়াটাও আল্লাহর জন্য হল।

প্রথা পালনের জন্য হাদিয়া দেওয়া:

আমাদের সমাজে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে নানারকম হাদিয়া, উপহার ও উপঢৌকন দেওয়ার রেওয়াজ আছে। অনেকক্ষেত্রে মনে করা হয়, যদি উপহার দেওয়া না হয় তা হলে নাক কাটা যাবে। এখানে দেখা উচিত সেই ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্দেশ কী? যদি দেখা যায় আলাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) সেক্ষেত্রে হাদিয়া বা উপহার প্রদানের নির্দেশ দেয়নি; যেমন বিবাহ-শাদীতে যৌতুকরূপে কোনো উপহার বা হাদিয়া প্রদান করা। এটাকে আমাদের সমাজে আবশ্যক মনে করা হয়; পয়সা থাকুক বা না থাকুক, হারামভাবে উপার্জন করে দিক বা ঘুষ নিয়ে দিক কিংবা ঋণ নিয়ে দিক, এটা দেওয়াকে জরুরি মনে করা হয়। যদি না দেয় তা হলে সমাজে নাক কাটা যায়। এখন এক ব্যক্তির কাছে পয়সা আছে, সমাজের পক্ষ থেকে যৌতুক প্রদানের দাবিও আছে। কিন্তু সে শুধু এই নিয়তে দিচ্ছে না যে, সমাজে আমার নাক কাটা যায় যাক কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি রাজি থাকুক। তা হলে এ না দেওয়াটা হবে আল্লাহর জন্য। এটাও পূর্ণাঙ্গ ইমানের একটি আলামত।

পূর্ণাঙ্গ ইমানের তৃতীয় আলামত:

রাসূল (সা.) পূর্ণাঙ্গ ইমানের তৃতীয় আলামত বলেছেন, কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহর জন্য ভালোবাস। দেখুন, একটি ভালোবাসা আছে, যা নিঃসন্দেহে আলাহর জন্য হয়; সেটি হলো কোনো আল্লাহওয়ালাকে ভালোবাসা। কারণ দুনিয়া উপার্জন করা কোনো আল্লাহওয়ালাকে ভালোবাসার উদ্দেশ্য হয় না। বরং তার প্রতি ভালোবাসা হয় এই উদ্দেশ্যে যে, তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও ভালোবাসা রাখলে আমার দীনি ফায়েদা হবে এবং আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন। এ ভালোবাসা আল্লাহর জন্য হয় এবং এটি অনেক বড় বরকতময় ও উপকারী জিনিস।

দুনিয়ার খাতিরে আল্লাহওয়ালাদের সঙ্গে সম্পর্ক:

অনেক সময় নফস ও শয়তান আল্লাহওয়ালাদের সঙ্গে ভালোবাসা রাখার ক্ষেত্রেও মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে। যেমন, আল্লাহর অলিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে শয়তানি মনে এই নিয়ত ঢেলে দেয় যে, যদি আমি তার নৈকট্য লাভ করি তা হলে দুনিয়াবাসীদের দৃষ্টিতে আমার সম্মান ও মূল্য বেড়ে যাবে। অথবা মানুষ বলবে, এ ব্যক্তি তো অমুক বুজুর্গের খাস লোক। এর ফলে যে ভালোবাসা শুধু আল্লাহর জন্য হওয়া উচিত ছিল, তা আল্লাহর জন্য হয় না। বরং তা দুনিয়া লাভের উপায়ে পরিণত হয়।

কেউ কেউ আল্লাহওয়ালাদের সঙ্গে এই জন্য সম্পর্ক রাখে যে, তাদের কাছে সবধরনের লোক আসে; রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং অনেক ধনীলোক আসে, আমি যদি সে বুজুর্গের সঙ্গে সম্পর্ক রাখি এবং তার কাছে যাতায়াত করি তা হলে তাদের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক তৈরি হবে এবং এ সম্পর্ককে কেন্দ্র করে স্বার্থ উদ্ধার হবে। এ ধরনের নিয়ত হলে, আল্লাহর জন্য যে ভালোবাসা হওয়া উচিত ছিল তা দুনিয়া হাসিল করার জন্য হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি কোনো আলাহওয়ালার কাছে অথবা কোনো ওস্তাদের কাছে অথবা কোনো শায়খের কাছে দীন হাসিল করার জন্য যায়, তা হলে এ ভালোবাসা খালেস আল্লাহর জন্য হয় এবং এ মহব্বতের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক সাওয়াব ও পুরস্কার দানের ওয়াদা করেছেন।

দুনিয়াবী ভালোবাসাও আল্লাহর জন্য হওয়া উচিত:

দুনিয়াবি ভালোবাসাও যেমন, মায়ের প্রতি ভালোবাসা, পিতার প্রতি ভালোবাসা, বোনের প্রতি ভালোবাসা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের প্রতি ভালোবাসা, স্বজনদের প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা যদি মানুষ সামান্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নেয় তা হলে এ সব ভালোবাসাও আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। ধরুন, কোনো ব্যক্তি পিতা-মাতাকে এই নিয়তে ভালোবাসে যে, আলাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) পিতা-মাতাকে ভালোবাসার আদেশ করেছেন। আলাহর রাসূল (সা.) তো এও বলেছেন যে, সন্তান যদি পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে একবার তাকায়, তা হলে আল্লাহ তায়ালা তাকে একটি হজ ও একটি উমরার সাওয়াব দান করেন, পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা স্বভাবজাত হলেও নিয়তের কারণে সেই ভালোবাসা আলাহর জন্য ভালোবাসায় বদলে যায়।

স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা হোক আল্লাহর জন্য: স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা আছে। সাধারণত এ ভালোবাসা হয় প্রবৃত্তিগত কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) স্ত্রীকে ভালোবাসার আদেশ দিয়েছেন এবং আল্লাহর হুকুম পালনের নিয়তে এবং আল্লাহর রাসূল (সা.) সুন্নতের ওপর আমলের নিয়তে যদি আমি স্ত্রীকে ভালোবাসি তা হলে এ ভালোবাসাও আল্লাহর জন্য হবে।

এক ব্যক্তি স্ত্রীকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে আর আরেক ব্যক্তি প্রবৃত্তিগত কারণে স্ত্রীকে ভালোবাসে। বাহ্যিকভাবে উভয়ের ভালোবাসাকে একরকম মনে হবে, কোনো পার্থক্য নজরে আসবে না। কিন্তু উভয়ের ভালোবাসার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। হাদিসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় স্ত্রীদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তাদের মনতুষ্টির জন্য সামান্য বিষয়কেও এড়িয়ে যেতেন না। স্ত্রীদের সঙ্গে রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালামের এরূপ অনেক আচরণ হাদিস অধ্যয়নকালে কখনও কখনও নজরে আসে যে, তা দেখে হতবাক না হয়ে পারা যায় না।

যেমন, হাদিস শরিফে আছে, রাসূল (সা.) একবার হজরত আয়েশা (রাদি.)-কে এগারজন মহিলার গল্প শুনিয়েছিলেন, এগারজন মহিলা একবার একস্থানে জমা হয়। তারা পরস্পরে প্রতিজ্ঞা করে, তারা প্রত্যেকে স্বীয় স্বামীর অবস্থা বর্ণনা করবে; এবং কোনো কথা তারা গোপন করবে না। এরপর ধারাবাহিকভাবে রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী সম্পর্কে এগারজন মহিলার প্রত্যেকের বক্তব্য হজরত আয়েশাকে শোনালেন। ভাবুন, যে প্রবিত্র সত্তার ওপর আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে অহি অবতীর্ণ হচ্ছে এবং আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে যে সত্তার সার্বক্ষণিক সম্পর্ক, তিনি স্বীয় স্ত্রীকে এগারজন মহিলার ঘটনা শোনাচ্ছেন।

ছেলেমেয়েদের প্রতি ভালোবাসাও হোক আল্লাহর জন্য: একবার রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম মসজিদে নববীতে জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ্য করলেন হজরত হাসান কিংবা হজরত হোসাইন (রাদি.) আসছেন। যখন তিনি নিকটে এলেন, রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম মিম্বর থেকে নেমে তাকে কোলে তুলে নিলেন। আর এটি তিনি আল্লাহর জন্যই করেছেন।

হুব্বু ফিলাহ বা আল্লাহর জন্য ভালোবাসার আলামত:

এখন দেখা যাক, আলাহর জন্য ভালোবাসার আলামত কী? এর আলামত হলো, যদি কখনও আল্লাহর ভালোবাসার দাবি এটা হয় যে, আমি দুনিয়াবি ভালোবাসাকে সালাম জানাব এবং ছেড়ে দিব তখন আমার কাছে সেটা অসহনীয় হবে না।

পূর্ণাঙ্গ ইমানের চতুর্থ আলামত:

পূর্ণাঙ্গ ইমানের চতুর্থ আলামত হলো, রাগ এবং ক্রোধও আল্লাহর জন্য হবে। অর্থাৎ কারও প্রতি রাগ হলে কিংবা কারও প্রতি ক্রোধান্বিত হলে ব্যক্তির ওপর রাগ ও ক্রোধ হবে না। বরং তার খারাপ কাজের ওপর কিংবা এমন কোনো কথার ওপর রাগ হবে, যা প্রকৃত মালিক আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে যাবে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার