ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬৮৫৫

পিতা মাতার আসল হক

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯  

 

এই পৃথিবীতে পিতা-মাতা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। যাদের মাধ্যেমে আমরা এই পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাই মহান আল্লাহর বিধান মতে তাদের প্রতি সদাচারণ করা অত্যাবশ্যক। পিতা-মাতার খেদমত সন্তানের (ছেলে-মেয়ে উভয়) ওপর প্রয়োজন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ফরজ ও ওয়াজিব।

পিতা-মাতার খেদমত করার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। মেরাজের রজনীতে যে ১৪টি বিষয় স্থির হয়ে ছিল, তার প্রথমটি হলো আল্লাহর হক তাওহিদ বা একত্ববাদ এবং শির্ক তথা অংশীবাদ করা থেকে মুক্তি। দ্বিতীয়টি হলো পিতা-মাতার হক বা অধিকার এবং সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং করণীয় ও পালনীয়।


 
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজীদে বলেছেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। যদি পিতা-মাতার কোনও একজন কিংবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তুমি তাদেরকে ‘উফ’ শব্দটি পর্যন্ত বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না বরং তাদের সঙ্গে বিনম্রভাবে সম্মানসূচক কথা বল। আর তাদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা মমতাপূর্ণ আচরণের সঙ্গে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত কর। আর দোয়া কর, হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি রহমতের বর্ষণ করুন, যেভাবে তারা শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন। (সূরা: বনী ঈসরাইল, আয়াত নং- ২৩-২৪)

অন্য আরেকটি আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, কোনো কিছুর সঙ্গে তার শরিক করোনা এবং পিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কর।’ (সূরা: নিসা, আয়াত: ৩৬)

আবার পবিত্র কোরআনের অন্য সূরায় মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর এবং তোমার মাতা-পিতার প্রতিও কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সূরা: লোকমান, আয়াত: ১৪)

পিতা-মাতার হক সম্পর্কে পবিত্র কোরআন মাজীদে বারবার ঘোষণা এসেছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এবং প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর হক বা অধিকারের পরেই পিতামাতার হক। যদি আমরা তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করি তবে আল্লাহ তায়ালার আদেশেরই আনুগত্য করা হয় আর যদি আমরা তাদের অসম্মান করি তবে আমরা মহান আল্লাহর আদেশকেই অমান্য করি। অতঃপর তার ফলে পরিণামস্বরূপ জাহান্নামে যেতে হবে।


 
হাদিস শরীফ সমূহতে মাতা-পিতার হক সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সব হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিস সমূহতে পিতা-মাতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অনেক মূল্যবান উপদেশ বাণী সবিস্তারে বিবরণ প্রদান করা হয়েছে। সেই হাদিসগুলোতে পিতা-মাতার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে পুরষ্কার এবং তাদের অবাধ্য হলে শাস্তির বর্ণনাও প্রদান করেছে।

সংশ্লিষ্ট কিছু হাদিস পেশ করা হল:

হজরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, প্রিয়নবী মুহাম্মাদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, যে নেক্কার ছেলে নিজ মাতা-পিতার প্রতি রহমত ও আন্তরিকতার দৃষ্টিতে একবার তাকাবে, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক দৃষ্টির বিনিময়ে তার জন্য একটি মাবরুর হজের (কবুল হজের) সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! যদি উক্ত ব্যক্তি দৈনন্দিন একশত বার তাকায়, তাহলে? তিনি উত্তরে বলেন, হ্যাঁ! আল্লাহ তায়ালা সুমহান ও বড় করুণাময়। (বায়হাক্বী: শুয়াবুল ঈমান ১০/২৬৫)

অন্য আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, পিতা- মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো, নতুবা তা রক্ষা করতে পারো। (তিরমিযী, তুহফাতুল আহওয়াযী, ৬/২৫)


 
সৃষ্টিজগতে মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা-মাতা। পিতা-মাতাই মানুষের সর্বাধিক আপনজন। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করার আদেশ দান করেছি, তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং অতিকষ্টে তাকে প্রসব করেছেন।’ (সূরা: আহকাফ্ব, আয়াত: ১৪)

হাদিসে বর্ণিত আছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তবে এই কথাটি আমরা অনেকেই ভুলে যায় । যার ফলে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। প্রতিটি সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের ১৪টি হকের কথা উল্লেখ আছে। মুসলমানের সন্তান হিসেবে তা প্রত্যেকের জানা উচিত।

এই ১৪টি হকের ৭টি জীবিত অবস্থায় এবং ৭টি মৃত্যুর পরে পালন করতে হয়। নিচে পিতা-মাতার হকগুলো উল্লেখ করা হলো:

জীবিত অবস্থায় ৭ টি হক:

১) আজমত অর্থাৎ পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া,

২) মনে-প্রাণে ভালোবাসা,

৩) সর্বদা তাদেরকে মেনে চলা,

৪) তাদের খেদমত করা,

৫) তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করা,

৬) তাদেরকে সবসময় সুখে শান্তিতে রাখার চেষ্টা করা,

৭) নিয়মিত তাদের সাথে সাক্ষাৎ ও দেখাশোনা করা।
মৃত্যুর পর ৭ টি হক:

১) তাদের মাগফেরাত এর জন্য দোয়া করা,

২) সওয়ার পৌঁছানো,

৩) তাদের সঙ্গী-সাথী ও আত্মীয় স্বজনদের সম্মান করা,

৪) সঙ্গী-সাথী ও আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য করা,

৫) ঋণ পরিশোধ ও আমানত আদায় করা,

৬) শরীয়ত সম্মত ওসিয়ত পূর্ণ করা,

৭) সাধ্যমত তাদের কবর জিয়ারত করা ।
তবে যদি পিতা-মাতা এমন কোনো আদেশ প্রদান করে যা আল্লাহর হুকুমের বিপরীত হয় তাহলে সে বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ পাকের হুকুম এসেছে যে, ‘তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করতে যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সদভাবে বসবাস করবে।’ (সূরা: লুকমান, আয়াত: ১৫)

পৃথিবীতে পিতা-মাতার হক আদায় না করার পরিণাম ভয়াবহ। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশদ বর্ণনা রয়েছে। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা যেমন সন্তানের কর্তব্য, তেমনি তাদের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করা কবীরা গুনাহ।


 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবগত করব না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই হে রাসূলুল্লাহ ! তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা। এছাড়াও হজরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.) নিকট আরজ করলো, হে আল্লাহর রাসূল! সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক কি আছে ? তিনি বললেন, তারা তোমার বেহেশত ও দোযখ”। (ইবনে মাজাহ-৪৯৪১)

হাদিসটির মূল কথা হচ্ছে, সন্তান পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করলে বেহেশতের অধিকারী হবে এবং পিতা-মাতার অধিকারসমূহকে পদদলিত করলে, পিতা-মাতার চেয়ে অন্য কোনো মানুষকে, আত্মীয়-স্বজনকে অগ্রাধিকার দিলে দোযখের অধিকারী হবে।

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তার নাক ধূলায় মলিন হোক (৩ বার), সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেই হতভাগ্য ব্যক্তিটি কে? রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, সে হলো ঐ ব্যক্তি, যে তার পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেল অথচ তাদের সেবা করে জান্নাত হাসিল করতে পারলো না’ (মুসলিম-৪/১৯৭৮, হা-২৫৫১) অর্থাৎ তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে সে জান্নাতে যেত। অর্থাৎ সে জান্নাত পেয়েও জান্নাতে গেল না, সে বড় হতভাগ্য।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে নিহিত।’ (তিরমিযি-১৮৯৯)

পিতা-মাতার সঙ্গে নাফরমানীর শাস্তি দুনিয়াতে দেয়ার কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। হজরত আবু বারকাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন, পিতা-মাতার নাফরমানী ব্যতিত। আর তিনি পিতা-মাতার অবাধ্যতার শাস্তি মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতেই দিয়ে দেন। (মুসতাদরাক-৭৩৪৫)

পিতা-মাতার হক আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত সকল হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি তার বৃদ্ধ মাতাকে কাবা শরীফে নিয়ে আসে। সে তাকে তার কাঁধে নিয়ে কাবা শরীফের চারপাশে তাওয়াফ করতে থাকে। সে রাসূল (সা.)-কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি এখন আমার মায়ের প্রতি কর্তব্য পালন করেছি? রাসূল (সা.) তাকে উত্তর দিলেন, তুমি তোমার মায়ের একটি শ্বাস-প্রশ্বাসের হকও আদায় করনি। (বুখারী: আদাবুল মুফরাদ-০৯, হা- ২৬৬ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড)


 
এক ব্যক্তি (সাদ বিন ওবাদা) রাসূলুল্লাহ (সা.) এর দরবারে এসে আরজ করেন, ‘(হে আল্লাহর রাসূল!) আমার মা অকস্মাৎ ইন্তেকাল করেছেন এবং তিনি কোনো অসিয়ত করে যাননি। তবে আমার মনে উদয় হয়েছে, তিনি তা চাইলে হয়তো কোনো দান-সদকা করার কথা আমাকে বলতেন। এক্ষণে আমি তার পক্ষ থেকে কোনো দান-সদকাহ করলে তিনি কি এর সওয়াব পাবেন? মহানবী (সা.) জবাবে এরশাদ করেন, ‘হ্যাঁ।’

এমতবস্থায় ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা.)! আমি আপনাকে আমার (খেজুর) ফলে পরিপূর্ণ বাগানটি সদকাহ হিসেবে দানের ব্যাপারে সাক্ষী করলাম’ তিনি বললেন হ্যাঁ। অন্য বর্ণনায়- আমি বললাম কি ছদকা দেবো? উত্তরে বললেন, পানি পান করার ব্যবস্থা কর। (অর্থাৎ কূপ খনন করে দাও)। হজরত সা’আদ (রা.) একটি কূপ খনন করে বলেছিলেন ‘এটা সা’দের মায়ের নামে উৎসর্গীত হলো।’ (আল-বোখারী, ‘অসিয়ত’ অধ্যায়, ৪র্থ খণ্ড, বাব নং ৫১, হাদীস নং ১৯. মুসলিম, ‘অসিয়ত‘ অধ্যায়, বাব নং ১৩, হাদীস নং ৪০০৩)

যারা তাদের জীবদ্দশায় যথাযথ সেবা যত্ন করতে পারেনি তাদের জন্য করণীয়: হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, প্রায়ই এমনটি হয়ে থাকে যে, কোনো ব্যক্তির পিতা-মাতার একজন কিংবা উভয়েই মৃত্যুবরণ করে, কিন্তু সে তাদের জীবদ্দশায় যথাযথ সেবা যত্ন করতে পারেনি। এভাবে নিজেকে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন থেকে বঞ্চিত করে। অতঃপর সে তার দোয়ার মধ্যে তাদেরকে স্মরণ করে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তখন আল্লাহ তায়ালা তার নাম মাতা-পিতার নাফরমানদের তালিকা থেকে পরিবর্তন করে অনুগতশীলদের তালিকাভুক্ত করে নেন। (বায়হাকি-৭৪০৪)

পরিশেষে আলোচনার মূলকথা হলো পিতা-মাতা সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে তোলে। সে কারণে ইসলাম পরিবারের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্য মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য নির্ধারণ করেছে।

বাবা-মার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, তাদেরকে সম্মান করা এবং তাদের আনুগত্য করা একজন সন্তানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার