ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি, কমলগঞ্জে বন্যার শঙ্কা

মৌলভীবাজারেরে কমলগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ও গত দুইদিনের টানা বর্ষণে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে লাঘাটা, ক্ষিরনীসহ সবকয়টি পাহাড়ি ছড়ার পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১১টি স্থান ঝূঁকিপূর্ণ থাকায় বাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত দুইদিন এবং আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে থেমে থেমে কয়েক দফা ভারী বর্ষণ হয়েছে। একই সময়ে উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কমলগঞ্জে গতকাল বুধবার রাত থেকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধলাই নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে রহিমপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ধলাই নদীর ৫৫ কিলোমিটার এলাকার মাঝে ১১টি স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাঁধ ভেঙে কমলগঞ্জে বন্যা দেখা দিতে পারে। কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকায় ২টি, রহিমপুরে ২টি, আদমপুরে ২টি, ইসলামপুরে ৩টি ও মুন্সীবাজারে ২টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনের অদুরে ধলাই রেল সেতু এলাকায় পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পরবর্তীতে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন কমলগঞ্জের নদ-নদী ও পাহাড়ি ছড়ার দিকে সার্বিক নজরদারি রাখছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুর ১২টায় ধলাই নদীর পানি ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।