ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১১৭২

দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২১  

তারেক রহমান- দুর্নীতির রাজপুত্র কিংবা বরপুত্র। যার সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট কল্পকথাকেও হার মানিয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র এখন থানা হাজতে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিদেশে টাকা পাচারসহ অভিযোগের পাহাড় জমে আছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে বনানীর হাওয়া ভবনে বসে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে নেপথ্যে সরকারি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। এ সময় থেকে তারেক রহমান এবং হাওয়া ভবনকে ঘিরে দলের তরুণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়। তারেক রহমানের পাশাপাশি সিন্ডিকেটের সদস্যরাও তার নাম ব্যবহার করে শত শত কোটি কোটি কামিয়ে নেন। ক্ষমতা চিরদিনের নয়- তারেক রহমান এ কথা ভুলে গিয়েছিলেন। তারেক রহমান ১৯৮৭ সালে প্রথম মামা মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার ও বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ডান্ডি ডায়িং লিমিটেডের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি ডান্ডি ডায়িং থেকে পৃথক হয়ে বন্ধু মামুনকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কোকো লঞ্চসহ নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। পাশাপাশি নেপথ্যে থেকে তিনি দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও ভূমিকা রাখছিলেন। ফলে ২০০১ সালের নির্বাচনে তার সুপারিশে দলের বেশ কয়েকজন তরুণ ও ব্যবসায়ী দলীয় মনোনয়ন পান। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পরে তার সুপারিশে কয়েকজনকে মন্ত্রীসভার সদস্য করা হয়। তরুণ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করতেন। মোটা অংকের সরকারি সব ক্রয় তারেক রহমানের মাধ্যমে করতে হয়েছে। বন্ধু মামুনসহ আরও বেশকিছু বন্ধু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে তিনি নানা ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলেন। মামুনের নামে যে ১০-১২টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে তার নেপথ্যে মালিকও তারেক রহমান বলে জানা গেছে।

জোট সরকারের শুরুতে তারেক রহমানের দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও সরকারে হস-ক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ২০০২ সালের প্রথমদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে তাকে মনোনীত করা হয়। এরপর থেকে তারেক রহমানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি বনানীর হাওয়া ভবনে নিয়মিত বসতেন। সেখানে তিনি ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ দেন। তারা দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন। বিদ্যুতের খাম্বাসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারের বড় বড় কেনাকাটা- সবই তারেক রহমানের মাধ্যমে হয়েছে। তারেক রহমান ব্যবসায়ী বন্ধুদের মাধ্যমে বিনা প্রতিযোগিতায় সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন। এমনকি মোটা অংকের টাকা মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ টাকা হিসেবে মালয়েশীয় সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন।

তারেক রহমানের পাশাপাশি হাওয়া ভবনের অনেক কর্মকর্তাও তাকে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন প্রশাসনে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় তারা প্রভাব বিস-ার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। পাঁচ বছরে অনেকে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে যান তারা। আবার হাওয়া ভবনকে ঘিরে দলের তরুণ নেতাদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। তারা তারেক রহমানকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর : ০৮-০৩-২০০৭

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার