দুধে-হলুদে কমবে ওজন

দুধের পুষ্টিগুণ সকলেরই জানা। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের উৎস হল দুধ। আর হলুদ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগের মহৌষধ হিসেবে। আর এই দুইয়ে যখন মিলে যাচ্ছে তখন এটাকে বলা হচ্ছে সুপারফুড।অনেক আগে থেকে ঠাণ্ডা কাশির জন্য তো বটেই বিভিন্ন ক্ষত সাড়াতে এই হলুদ ব্যবহার করা হয়।এখন নতুন গবেষণায় জানানো হচ্ছে এই হলুদ মেশানো দুধ কাজ করবে ওজন কমাতেও।

কিভাবে কাজ করবে এই পানীয়? জেনে নিন তাহলে-

মেটাবোলিজম বৃদ্ধি:

হলুদের ভিতর আছে থারমোজেনিক প্রোপার্টি যা শরীরে মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আছে সোগাওল এবং জিনগারোল যা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে।

ডায়েটারি ফাইবার:

হলুদে আছে ডায়েটারি ফাইবার যা ওজন বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে।আর দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে হলুদের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।

প্রোটিনের উৎস:

ওজন কমানোর শর্ত হচ্ছে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন সরবরাহ করা। আর দুধে প্রচুর প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম আছে। তাই ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় শরীরের মাংসপেশি এবং হাড় সুস্থ রাখার জন্য দুধ খাওয়া জরুরি।

হজমে সহায়তা করে:

হজমে সমস্যা হলেও ওজন কমাতে বাধা পড়ে। স্লিম হতে গিয়ে অনেক খাবারই বাদ দেয়া হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত হলুদ দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং হজমের সমস্যা দূর হয়।

ফ্যাট জমতে দেয় না:

মানব শরীরের অ্যাডিপোজ টিস্যুর বৈশিষ্ট্য হলো ফ্যাট জমিয়ে রাখা। ফ্যাট জমিয়ে রাখার ফলেই ওজন বেড়ে যায়।  হলুদে আছে সারকিউমিন যা অ্যাডিপোজ টিস্যুকে ফ্যাট আহরণ করতে দেয় না। ফলে নিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে শরীরে মেদ জমতে পারে না।

কিভাবে পান করবেন:

সবচেয়ে ভাল হয় কাঁচা হলুদের রস খেলে। চেষ্টা করুন যেন দুধে কাঁচা হলুদের রস দেয়া যায়। মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে হলুদের রস মিশিয়ে পান করুন। সেই সঙ্গে সুষম খাবার খান এবং পর্যাপ্ত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। খুব অল্প দিনেই দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন আপনি।