জৈন্তাপুর চোরাকারবারি কারনে নদীপথ অচল

জৈন্তাপুরে নয়াগাং নদীতে বাঁধ ব্যবহারের পানি সংকটে নদীর নিম্নাঅঞ্চলের মানুষ, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চায় নদীর পাড়ের বাসিন্ধারা।   

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতের আধাঁরে চোরাকারবারিরা ব্যপক হারে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে পাচার করছে ৷ এক্ষেত্রে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাদের মনোনিত লাইন ম্যানদের সহায়তায় ভারতে পণ্য পাচারারে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করছে ৷ এসকল লাইনম্যান ও চোরাকারবারীরা একত্রিত হয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তের নয়াগাং নদীতে অপরিকল্পিত ভাবে নদীর মধ্যে বাঁধ সৃষ্টি করে পানি আটকিয়ে নৌকা চলাচলের পথ সৃষ্টি করেছে ৷ যার ফলে নদীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্ধারা ব্যবহারর্য্য পানি পাচ্ছে না ৷  

এনিয়ে কবির আহমদ তার ফোইসবুকে একটি স্বচিত্র তুলে ধারেন ৷ কবির আহমদের লেখাটি নিম্নে তুলে ধরা হলো ৷ 

"কে বা কারা নয়াগাং নদীর উজানে গতকাল রাতের আধাঁরে বাঁধ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করার লক্ষ্যে হাজার হাজার পরিবারের পানির একমাত্র মাধ্যম বন্ধ করে মানুষদেরকে চরম কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। নদীর স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ। আমরা প্রশাসন এর দৃষ্টি আর্কষণ করছি।"    

এলাকাবাসী জানান, ঘিলাতৈল স্কুলের কাছে বাঁধ দিয়ে রেখেছে তারা রাতে ইন্ডিয়া থেকে নৌকা দিয়ে মাল নামায়। জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৪/ ১২৮৫/ ১২৮৬/ ১২৮৭ এলাকা দিয়ে জৈন্তাপুর (রাজবাড়ী ক্যাম্প ও ডিবির হাওর বিশেষ ক্যাম্প) ভারতে কয়েক হাজার বস্তা বাংলাদেশি পণ্য পাচার করছে ৷ বিনিময়ে ভারতীয় মদ মাদক ও রোগাক্রান্ত গরু প্রবেশ করছে ৷ তারা বলে অভিলম্বে নয়াগাং নদীর মধ্যে বাঁধ গুলো বিজিবির সহায়তায় অপসারন করে জনদূর্ভোগ রোধ করতে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা সহ মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও জৈন্তাপুরের প্রাণ প্রিয় নেতার সুদৃষ্টি কমনা করছেন৷