গোয়াইনঘাটে বৃদ্ধ কামাল হত্যা : পরিবারে থামছে না কান্না

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় খুন হয়েছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের কুরিখলা গ্রামের কামাল উদ্দিন। এ খুনের ঘটনায় তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরন করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। উক্ত মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নিহত কামাল উদ্দিনের পরিবারে থামছে না কান্না। পিতা ও স্বামী হারানোর বেদনায় তার পরিবারের সদস্যরা এখন কাতর হয়ে পড়েছেন।

রবিবার (১৬ মে) সরেজমিন কুরিখলা গ্রামে কামাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কামাল উদ্দিন ছোট একটি কুঁড়ে ঘরে বাস করতে। তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান ,কামাল - রাবেয়া দম্পত্তির দুই ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কামাল উদ্দিন স্থানীয় বঙ্গবীর পয়েন্টে ছোট একটি স্টলে চা-পান বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চালাতেন। তার বড় ছেলে রুবেল আহমদ (২৫) গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজে বিএ (অনার্স) অর্থনীতি ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছে। তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে এবং তানিয়া আক্তার সাকের পেকের খাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। কোলে রয়েছে ৩ বছরের আরেকটি শিশু হাসান আহমদ। 

এ সময় নিহত কামাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমদ জানায়, সে রুস্তুমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং তার পিতা কামাল উদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। রুবেল আরো বলেন, একদিকে অল্প বয়সে পিতা হারানোর শোক অপর দিকে মা এবং ছোট ভাই-বোনদের ভরনপোষণ ও পড়াশোনা করাবো কি করে। সে তার পিতার খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।

পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে মধ্যে তার পিতা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।