ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১১২

গেমসের বাজার বাড়ারে দরকার বিদেশি বিনিয়োগ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশে বাড়ছে গেমার, আর বড় হচ্ছে গেমের বাজার। এই খাতকে আরো বড় করতে দরকার ফরেন ইনভেস্টমেন্ট। বিশ্বে গেম নিয়ে বেশ মাতামাতি, কেননা বিশ্বব্যাপী গেমের বাজার বর্তমানে ১৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আর আমাদের দেশের আইসিটি সেক্টরের অন্যতম সম্ভাবনাময় জায়গা গেম বাজার। গত কয়েক বছর ধরে বিশাল এ বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো কাজ করছে। সঠিকভাবে পরিচর্চায় এই ১৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজারে থেকে বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে বৈশ্বিক মুদ্রা। মার্কেট যত বড় হচ্ছে সমস্যার জায়গাটাও তত বাড়ছে। কারণ ভিডিও গেমিংকে অনলাইন বেটিং আর গ্যাম্বলিংয়ের সঙ্গে অনেকে মিলিয়ে ফেলছেন।

আর এই অবস্থায় আইসিটি সেক্টর থেকে বিলিয়ন ডলার আয় করা দুরূহ হবে, নিরুৎসাহিত হবে মেধাবী গেম ডেভেলপাররা। কারণ গেমিং মানেই গ্যাম্বলিং নয়। গেম, গেম ডেভেলপমেন্ট আর গ্যাম্বলিং বিষয়টি বেশ আলোচনায় এসেছে কয়েকদিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আলোচনা হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটিজ সোলায়মান সুখন তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে কয়েক হাজার লাইক শেয়ার দেখা গেছে। গেম নিয়ে অনেকে আলোচনামূলক কমেন্টও করেছেন। এরপরও সাড়া জাগানো বেশকিছু গেম তৈরি করেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।
 
বাংলাদেশি ডেভেলপারদের তৈরি এসব গেম কয়েক মিলিয়ন ডাউনলোডের রেকর্ডও রয়েছে। গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক স্টার্টাপ গেমের। উল্কা গেমস বিশ্বের বড় বড় গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির একটি। তারা ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আসে। ২২ জন ইমপ্লিই ছিল। ২০২০ সালে তাদের কর্মী বাহিনী এখন ৯০ জন। দেশে গেমিং সেক্টর তখন আরো বেশি অগ্রগতি হবে যখন তরুণরা গেম নিয়ে কাজ করবে আর এই উল্কার মতো আরো অনেক কোম্পানি দেশে গেম নিয়ে কাজ শুরু করবে। তরুণরা যখন বেশি আগ্রহ পাবে যখন তারা অভিজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে জড়িয়ে যাবে। আসবে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই)। বিশ্বের বড় বড় গেমিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কাজ শুরু করলে তাদের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা লোকাল ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যখন বিকাশিত হবে, তখন এই ইন্ডাস্ট্রি আরো বড় হবে।

অনলাইনে গেমের পাশাপাশি মোবাইল গেমিং বাড়ছে। গেম খেলার জন্য এখন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেছে বেশি। তাই বিশ্বে গেমিং বিভাগে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল গেমিং। জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্মার্টফোন গেমিংয়ের বাজার দাঁড়িয়েছিল ৬৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন গেমিংয়ের বাজার শুধু স্মার্টফোনের আর বাকি ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়নের বাজার ট্যাবলেট কম্পিউটারের। গেমিংস্ক্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন গেমিংয়ের আয়ের বেশির ভাগ আসে অ্যাপ থেকে কেনাকাটার মাধ্যমে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মোবাইল অ্যাপসের একটি বড় অংশই হলো মোবাইল গেম। বিশ্বের মোবাইল অ্যাপস ও গেমের বিশাল বাজারে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময়। ধীরে ধীরে মোবাইল গেমের বাজার বড় হচ্ছে। তাই মোবাইল গেমের বৈশ্বিক মার্কেটকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে গড়ে নিতে কাজ করা হচ্ছে।

উল্কা গেমসের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিসবাহ বলেন, বাংলাদেশে গেমের বাজার অনেক বড়। সেখানে পজেটিভ চিন্তা থাকতে হবে। পজেটিভভাবে সব উপস্থাপন করতে হবে। দেশে ঘরে বসেই অনেক গেম ডেভেলপার গেম তৈরি করছে। আর যত গেম তৈরি হচ্ছে এই সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে আমাদের গেমের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেই আমাদের বাজার বড় হবে। কিন্তু বাজার বড় করতে গিয়ে ভয়েরও অনেকে কারণ হয়ে যাচ্ছে গেমিং। অনেকে এটাকে গ্যাম্বলিংয়ে সঙ্গে মিলিয়ে ফেলছে। পরিবার থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত অনেক সময় বুঝতে চাইছে না। কিন্তু এটা ক্ষতির কারণ হবে যখন গেম থেকে ডেভেলপার এবং গেমাররা মুখ ফিরিয়ে নেয়। সম্ভাবনাময় এই সেক্টরটি শুরুতেই হুমকির মুখে পরবে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্য দেশে যখন গেমিং বা গেমার, গেম ডেভেলপারদের বিশেষ দৃষ্টিতে দেখা হয় সেখানে বাংলাদেশ তেমন জায়গাতে যেতে পারেনি। তবে সবাই মিলে চেষ্টা করা যাচ্ছে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা এই পথকে কঠিন করে ফেলছে। যাই হোক, এটা মনে রাখতে হবে গেমিং আর গ্যাম্বলিং কিন্তু এক বিষয় নয়। আর আইন প্রণেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নাগরিক সমাজের উচিত, বিষয়টি নিয়ে বুঝেশুনে মন্তব্য করা। আমাদের নিজেদের বুঝেশুনে গেমিং নিয়ে কথা বলা উচিত। তা না হলে আইসিটি খাতের গেমের এই সম্ভাবনাময় পথচলা বেশিদূর এগোবে না।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার