গলার ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন?

বার্ধক্যের ছাপ কেবল আমাদের মুখে নয়, গলায়ও পড়ে। তাই মুখের মতো গলার ত্বকেরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন : গলায়, হাতে কি আমরা সমানভাবে সচেতন হবো? অ্যান্টি এইজিংয়ের রুটিন কখন থেকে শুরু করতে হবে?

উত্তর : রোগীরাও এমন কথা বলে। আমি তখন বলি, বলি আজ থেকে। আমাদের এখন যে কোলাজেন রয়েছে ৫০ বছর বয়সে কিন্তু অর্ধেক হারিয়ে যায়। তাই বলে কি আমরা বসে থাকব। আমাদের যত্ন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে হাতের ক্ষেত্রে হ্যান্ড কেয়ার রুটিন মেনে চলব। আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করব। সানস্ক্রিন কেবল মুখে নয়, হাতেও ব্যবহার করব। এসপিএফ ৫০। আমাদের দেশের জন্য ৫০টা গ্রহণযোগ্য। সানস্ক্রিনের সঙ্গে আমি যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করব, সেখানে হায়ালোনিক এসিড থাকলে ভালো, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকলে ভালো। আর যারা এগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে আমরা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারি।

হাতের ক্ষেত্রে যেহেতু রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই ত্বক উজ্জ্বলের জন্য আমরা অ্যাসথেসেটিয়ানরা পিলিং ব্যবহার করে থাকি। দুটো বা একটি সেশনের মাধ্যমে হাতের রং পরিবর্তিত হয়।

আর নখ যদি ভেঙ্গে যায়, সেক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেল দিয়ে সেটি পূরণ করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ও ডিএর অভাবে নখের এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আমি সবসময় বলি, মাছ, ডিম, বাদাম ও নানা রকম বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

প্রশ্ন : গলার তারুণ্য ধরে রাখতে কী করণীয়?

উত্তর : মুখে যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করছি, সেটি আমরা গলায় ব্যবহার করব। সাধারণত আমরা সেরাম মুখে ব্যবহার করি। সেটিও একটু গলায় বুলিয়ে নেব। সেক্ষেত্রে রেটিনয়েল, ভিটামিনই ও সিযুক্ত রেটিনয়েল বেশি কার্যকর। এরপর আমরা ময়েশ্চারাইজারে পেপটার ও সেরামাইডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারি। এগুলো দেশেও পাওয়া যায় এবং দেশের বাইরেও পাওয়া যায়।

এরপর গলায় নানা রকম বয়স জনিত দাগ দেখা যায়, যেগুলোকে আমরা স্কিন ট্যাগ বলে থাকি। অনেকের গলায় দেখবেন যে আঁচিল। আমরা কিন্তু জানি না যে এটি স্কিন ট্যাগ। এটি হলো বয়সের ছাপ। এটি আমরা ইলেকট্রোভালগারেশন বা লেজারের মাধ্যমে দূর করতে পারি। অনেক সময় এই আঁচিলগুলো বড় হতে থাকে, ব্যথা হতে থাকে। যাদের ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়। শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে আঁচিলগুলো কিন্তু অস্বস্তিকর হয়ে যায়।

গলার জন্য আমরা অ্যাসথেটিক লেজার করে থাকি। এতে মাইক্রোলেভের যে ভাজগুলো থাকে, সেগুলো কমে যায়।

বয়স বাড়া ছাড়াও যে কারণে বেশি গলায় ভাজ পড়ে যায় সেগুলো হলো অঙ্গবিন্যাস। হয়তো তারা ঝুঁকে কাজ করছে, ল্যাপটপ দেখছে, মাথা নিচু করে মোবাইল দেখছে, তাদের নিজস্ব জীবন যাপনের কারণেও কিন্তু গলার ভাঁজটা আগেভাগে আসে। এই জন্য সোজা হয়ে বসে থাকার অভ্যাস করতে হবে। আর মোবাইল যখন দেখবেন, তখন আই লেভেলে দেখতে হবে।