খ্যাতির বিড়ম্বনা নাকি অন্য কিছু!
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১
মন খারাপের সময়গুলোর সঙ্গী যে মানুষগুলো তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন চার্লি চ্যাপলিন। পরনে জরাজীর্ণ কোট-টাই, ঢিলেঢালা মলিন প্যান্ট, মাথায় কালো রঙের ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি ছড়ি, পায়ে পুরোনো এক জোড়া বুট এবং ঠোঁটের উপর খাটো অথচ প্রশস্ত একটুখানি টুথব্রাশ গোঁফের মানুষটাকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না হয়তো। ১৯ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি।
বুকে পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আসছেন যুগ যুগ ধরে। বিশ্বের সেরা কৌতুক অভিনেতাদের কথা বলতে গেলে তার নামই আসবে সবার আগে। চ্যাপলিন তার ট্র্যাম্প বা ভবঘুরে চরিত্রে প্রথম আবির্ভূত হন ১৯২১ সালে, ‘দ্য কিড’ ছবিতে। হাসিঠাট্টা আর বিষণ্ণতা, ভাঁড়ামো আর হতাশা মিলে এক অদ্ভুত রস সৃষ্টি হয়েছে এই চরিত্রটিতে।
চার্লি চ্যাপলিন, যার নামই তার পরিচয় দিয়ে দেয়
চার্লি চ্যাপলিনের প্রকৃত নাম ‘চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন’। যদিও তাকে বিশ্বব্যাপী ‘শার্লট’, ’কার্লিটোস’, ‘দ্য লিটল ট্র্যাম্প (ভবঘুরে)’ ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।। তার জন্মতারিখ ও জন্মস্থান নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হয়, তিনি ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল লন্ডনের ওয়ালউওর্থে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য তার মৃত্যুর অনেক পর ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, চার্লি চ্যাপলিন ব্রিটেনেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তার জন্মস্থান, এমনকি ফ্রান্সও হতে পারে বলে অনুমান করা হয়! আবার, ২০১১ সালে উদ্ধারকৃত একটি পুরোনো চিঠিতে পাওয়া তথ্যমতে, ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের একটি ক্যারাভ্যানে তিনি ভূমিষ্ঠ হন।
চার্লি চ্যাপলিনের মা থিয়েটারে কাজ করতেন। ঘটনাটি চ্যাপলিনের পাঁচ বছর বয়সের। একদিন তার মা মঞ্চে গান গাইছিলেন। আর ছোট্ট চ্যাপলিন বসে বসে মায়ের অভিনীত গীতনাট্য দ্যাখছিলেন। সে সময় লন্ডনের খেটে খাওয়া শ্রমিক, ভবঘুরে কিংবা নেশাতুর লোকেরই বিনোদনের জন্য থিয়েটারে ভিড় জমাতো। মঞ্চে গায়িকা বা নর্তকীর হেরফের হলেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে থিয়েটার মাথায় তুলে নিতো। মঞ্চে গান গাইছিলেন চ্যাপলিনের মা হানা চ্যাপলিন। চ্যাপলিনের মায়ের গলায় আগে থেকেই সমস্যা ছিল। গান গাওয়ার এক পর্যায়ে চ্যাপলিনের মায়ের গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। বাধ্য হয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। কিন্তু মঞ্চ ভর্তি দর্শককে বুঝ দেয়ার জন্য মায়ের জায়গায় চ্যাপলিনকে মঞ্চে ওঠানো হয়। চার্লি তার মায়ের পরিবর্তে স্টেজে গান গাইতে শুরু করেন, ‘Jack Jones well and known to every body’। তার গানে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে স্টেজে কয়েন ছুঁড়তে থাকে। চ্যাপলিন হঠাৎ অঙ্গভঙ্গিসহ বলে ওঠেন, ‘আমি এখন গান গাইব না; আগে পয়সাগুলো কুড়িয়ে নিই, তারপর আবার গাইবো।’ এটি ছিল দর্শকের হাসির জন্য চার্লির প্রথম কৌতুকাভিনয়।
চার্লি আট বছর বয়সে তার অভিনয় শুরু করে
কয়েক বছর যেতে না যেতেই তার মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হলে চ্যাপলিন অসহায় হয়ে পড়ে। তার ভরণপোষণ ও দেখাশোনার দায়িত্বে কেউ না থাকায় তাকে প্রাথমিকভাবে লন্ডনের একটি অনাথাশ্রমে এবং পরবর্তীকালে অসহায় ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য তৈরি ‘সেন্ট্রাল লন্ডন ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’-এ পাঠানো হয়। তার বয়স তখন মাত্র সাত বছর। এভাবে প্রায় দুই বছর ঘরের বাইরে কাটানোর পর অল্প সময়ের জন্য চ্যাপলিন পুনরায় তার মায়ের দেখা পান। তবে সেটা বেশি দিনের জন্য নয়। কারণ তার মা তখনো সুস্থ হয়ে ওঠেননি। প্রকৃতপক্ষে চার্লি চ্যাপলিনের মা হানাহ চ্যাপলিন আর কোনোদিনই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ ছিলেন।
চার্লি তার কাজের প্রতি খুবই যত্নবান এবং পরিশ্রমী ছিলেন। একবার এক বিখ্যাত ডিরেক্টর একজন অভিনেতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি নিশ্চয়ই কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে হাসানোর মত এত সুন্দর সব এক্সপ্রেশন রপ্ত করছেন? তাই নয় কি? অভিনেতাটা হেসে উত্তর দেন, না। মোটেও না। এটা তো খেলা। বাচ্চাদের খেলা। বাচ্চাদের খেলা দেখে তো সবার হাসাটাই স্বাভাবিক। এটার জন্য আবার পরিশ্রম কিসের?
অত্যন্ত স্বাধীনচেতা এবং পরিশ্রমী অভিনেতা ছিলেন তিনি
একদিন ডিরেক্টরটা দেখলেন, ঐ অভিনেতাটাই শুটিং এর ফাঁকে ঘুমুচ্ছেন। তিনি অবাক হলেন। মনে মনে ভাবলেন, সত্যিই এই অভিনেতাটা আরামপ্রিয় মানুষ। পরিশ্রম তেমন একটা করেন না। ওনার যা আছে তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তিনি কৌতুহলবশত একজন ক্রু মেম্বারকে বললেন, আচ্ছা, ঐ অভিনেতাটা এই সময় ঘুমাচ্ছে কেন? তিনি কি এতই আরামপ্রিয়?
ক্রু মেম্বারটা বললেন, আরে না! উনি তো অনেক পরিশ্রমী মানুষ। গত চারদিন ধরে শুধুমাত্র একটা মজার অঙ্গ-ভঙ্গী নিয়ে পড়ে ছিলেন। তিনি কিছুতেই তা করতে পারছিলেন না। নাছোড়বান্দার মত লেগে গেলেন। না ঘুমিয়ে, অল্প খেয়ে টানা চারদিন প্র্যাকটিস করেছেন। আজ সেটা শুটিং এ করে দেখিয়েছেন। এটা নতুন না। তিনি এমনই। ডিরেক্টরা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
অভাবের তাড়নায় ও মঞ্চে অভিনয় করার আগ্রহ থেকে মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি যুক্ত হন ‘দ্য এইট ল্যাঙ্কাশায়ার ল্যাডস’ নামক একটি যাত্রাদলের সঙ্গে, যার সদস্যরা সবাই ছিল অল্পবয়সী। মূলত এখান থেকেই তার কর্মজীবন শুরু হয় এবং প্রথম থেকেই বালক চার্লি চ্যাপলিনের মঞ্চাভিনয় দর্শক ও আয়োজকদের নজর কাড়তে শুরু করেন। এরপর চ্যাপলিন ছোটখাট আরও নানা মঞ্চে, নানা প্লাটফর্মে অভিনয়ে অংশগ্রহণ করে সুনাম কুড়াতে থাকেন। ফলস্বরূপ তার পরবর্তী জীবনে তৎকালের কিছু নামকরা চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। শুরু হয় তার জীবনের নতুন ও কর্মব্যস্ত এক অধ্যায়। এরপর চার্লি চ্যাপলিন নামক এই দুঃখী বালকটিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি; অন্তত অর্থ-কড়ির ব্যাপারে।
স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে চার্লি চ্যাপলিন
মাত্র আট বছর বয়সে কর্মজীবনে প্রবেশ করে চ্যাপলিন যখন একের পর এক অভিনয় দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিচ্ছিলেন, তখনও তার আর্থিক দুর্দশা পুরোপুরি কাটেনি; কেবল কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করার মতো ব্যবস্থা হয়েছিলো মাত্র। কর্মজীবনে প্রবেশের দীর্ঘদিন পর, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯০৮ সালে তিনি সেরকম একটি সুযোগ পেয়ে যান। তার বয়স যখন আঠারো পেরিয়েছে, তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি তখন ঘটে; ‘দ্য কার্নো কোম্পানি’তে তিনি যোগদান করেন। তখনকার দিনে ব্রিটেনের এই স্বনামধন্য কোম্পানিটি হাস্যরসাত্মক নাটক তৈরি করতো ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সেগুলোর প্রদর্শনী করে বেড়াতো।
তার অসাধারণ স্টেজ পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়ে ১৯১০ সালে তাকে মঞ্চনাট্য প্রদর্শনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করে ‘দ্য কার্নো কোম্পানি’। প্রায় দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নিজের অসাধারণ অভিনয় প্রতিভা প্রদর্শন করার পর তিনি ইংল্যান্ড ফিরে আসেন। তবে এর কয়েক মাস পরই আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হয় তাকে।
তার হাস্য রসাত্নক কর্মকাণ্ড এবং সাবলীল অভিনয় তাকে জনপ্রিয় করে তোলে বিশ্বে
এবার ভাগ্য তার দিকে মুখ তুলে তাকালো; যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চ্যাপলিনকে তাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। অনেক ভেবেচিন্তে চ্যাপলিন ‘কিস্টোন স্টুডিও’তে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ ডলার। এই স্টুডিওর অধীনেই তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মেকিং এ লিভিং’ (১৯১৪) মুক্তি পায়, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন চ্যাপলিন নিজে। এরপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাকে। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার পারিশ্রমিকের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে লাগলো; প্রথম তিন বছরে তার পারিশ্রমিক প্রায় দশগুণের মতো বেড়ে যায়! চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত বেশভূষা 'দ্য লিটল ট্র্যাম্প' বা 'ভবঘুরে' ছিলো জগদ্বিখ্যাত। এই বেশভূষার সাহায্যে তিনি নিজেকে এক হাস্যকর চরিত্র হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে পেরছেন।
স্বাধীনচেতা অভিনেতা ছিলেন চার্লি। নিজের মতো করেই দর্শকদের মুগ্ধ করতে চাইতেন তিনি। সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে তা চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে দিতেন তিনটি শর্ত। ১. পারিশ্রমিক। তিনি তার জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তাই তিনি আশা করতেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলো তার কাজের উপযুক্ত মূল্যায়ন করবে। ২. পরিচালনার দায়িত্ব। তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করতেন। তাই নিজেই পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতেন। ৩. সময়। চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন ‘পারফেকশনিস্ট’। কাজের গুণগত মান তার কাছে মুখ্য ছিল। সেজন্য তিনি তাড়াহুড়া না করার জন্য উপযুক্ত সময় চাইতেন।
চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত বেশভূষা `দ্য লিটল ট্র্যাম্প` বা `ভবঘুরে` ছিলো জগদ্বিখ্যাত
তিনি মার্কিন চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের মাত্র তিন বছর পর, ১৯১৬ সালে ‘দ্য মিউচুয়াল ফিল্ম কর্পোরেশন’ এর সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেন। যার শর্ত হলো, চার্লি চ্যাপলিন নিজের ইচ্ছামতো ১২টি চলচ্চিত্র তৈরি করে দেবেন এবং বিনিময়ে কাজ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত তৎকালীন মুদ্রায় বার্ষিক ‘ছয় লাখ সত্তর হাজার’ মার্কিন ডলার করে পাবেন! তিনি আঠারো মাসে চুক্তির শর্ত পূরণ করেন এবং মিউচুয়াল কর্পোরেশনকে উপহার দেন ১২টি মাস্টারপিস চলচ্চিত্র।
১৯৭২ সালে ‘লাইম লাইট’ ছবিটির আবহ সঙ্গীতের জন্য অস্কার পান চ্যাপলিন। এছাড়াও ‘চলচ্চিত্রের শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসে অভাবনীয় প্রভাব বিস্তারের’ স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সন্মানসূচক অস্কারও প্রদান করা হয়। এই অস্কার গ্রহণের জন্য দীর্ঘ নির্বাসন ভেঙ্গে আবারো যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান চ্যাপলিন। সেই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদানের সময় উপস্থিত দর্শকেরা কয়েক মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে চার্লি চ্যাপলিনকে অভিবাদন জানান, যেটি অস্কারের ইতিহাসে আজও পর্যন্ত দীর্ঘতম ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ এর রেকর্ড হয়ে আছে।
অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে চার্লি চ্যাপলিন
চার্লি চ্যাপলিন তখন পৃথিবী-বিখ্যাত। তার অনুকরণে অভিনয়ের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গোপনে চার্লি চ্যাপলিন নাম দেন সেই প্রতিযোগিতায়। মজার বিষয় হলো প্রতিযোগিতা শেষে দেখা গেলো ১ম ও ২য় স্থান অর্জন অন্য দুজন প্রতিযোগী। চার্লি চ্যাপলিন হন তৃতীয়।
চার্লি চ্যাপলিনের অনুকরণে অভিনয়ের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যাতে চার্লি হয়েছিলেন তৃতীয়
অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যখন চার্লি চ্যাপলিনের প্রথম দেখা হলো তখন আইনস্টাইন চ্যাপলিনকে বলেছিলেন- ‘আপনাকে আমি যে কারণে খুব পছন্দ করি সেটা হলো আপনার বিশ্বজনীন ভাষা। আপনি যখন অভিনয় করেন, তখন আপনি হয়তো কোনো ডায়লগই বলছেন না, কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ ঠিক বুঝতে পারে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন এবং তারা সেজন্য আপনাকে অসম্ভব ভালোও বাসে।’ উত্তরে চ্যাপলিন হেসে বলেছিলেন- ‘ড. আইনস্টাইন, আপনাকে আমি তার চেয়েও বড় কারণে পছন্দ করি। আপনার থিওরি অব রিলেটিভিটিসহ অন্যান্য গবেষণার বিন্দুবিসর্গও কেউ বুঝে না, তবুও গোটা পৃথিবীর মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করে’।
ব্যক্তিজীবনে চার্লি চ্যাপলিনকে ঘিরে বিতর্কের কথা উঠলে প্রথমেই আসে তার অস্থিতিশীল ও বহু নারীঘটিত সম্পর্কের বিষয়। চার্লি চ্যাপলিন তার কর্মজীবনে কমপক্ষে দশজনেরও বেশি নারীর সঙ্গে জটিল সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি সম্পর্কের পরিণতি ছিল ভয়াবহ এবং সেগুলোর মীমাংসা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। চার্লির সুন্দরী মেয়েদের প্রতি দুর্বল ছিলেন। কিন্তু কোনো সুন্দরই তাকে সুখ দিতে পারে নি। তার ব্যক্তিজীবন ছিল বিষাদময়। ব্যক্তিজীবনে তিনি চারবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জীবনে শেষ ক’টা বছর পরিবারের সদস্যদের একান্ত সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন তিনি।
জীবনের শেষ সময়গুলো চতুর্থ স্ত্রী উওনা`র সঙ্গে কাটিয়েছেন অভিনেতা
১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বরে চার্লি প্রায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান সুইজারল্যান্ডের কার্সিয়ারে। ১৯৭৭ সালের শুরু থেকেই চার্লি চ্যাপলিনের শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। সুইজারল্যান্ডের ডিঙ্গিতে চার্লির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এর পর ঘটে একটা দুর্ঘটনা। পরের বছর চার্লির মৃতদেহ চুরি হয়ে যায়। অবশ্য ১৬ দিন পরে তা উদ্ধার করে আবার সমাহিত করা হয়।
- ওসমানী হাসপাতালে কর্ম বিরতি: কাজে ফিরছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
- জকিগঞ্জে বিচারকবিহীন আদালত : দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
- সিলেটে সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রম’র উদ্বোধন
- বিনা নোটিশে চাকরি গেলো শাবির বেসরকারী নিরাপত্তাকর্মীর!
- সিলেটে ভূয়া পিতৃপরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা
- কুলাউড়ায় ১১৭৮ কেজি ভারতীয় চোরাই চিনি উদ্ধার, আটক ১
- মৌলভীবাজারে হত্যা নাকি আত্মহত্যা : ময়নাতদন্তে চা শ্রমিকের লাশ
- এবার ঈদ যাত্রায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে স্বস্তির আশা
- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত করলেন চিকিৎসকরা
- যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজসেবা উত্তম কাজ - ধর্মমন্ত্রী
- ছিন্নমুল মানুষকে সেহরি দিলো উদ্দীপ্ত সিলেট
- গোয়াইনঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
- এবারো সিলেটের হাওরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
- দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম দরিদ্র মানুষ সিলেটে, বেশি রংপুরে : গবেষণা
- ইতালির ভিসা নিয়ে সিলেটিদের জন্য সুখবর
- ঈদ উপলক্ষে যতদিন ছুটি কাটাতে পারবেন শাবি শিক্ষার্থীরা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম
- বসন্ত গায়ে মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- একনেকে নতুন আরও ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- কৈলাশটিলায় যুক্ত হবে দৈনিক ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস
- সিলেটের যে ব্যাংকে ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে
- মেয়রের আন্তরিকতায় সচল হলো নগরীর শতাধিক অচল সিসি ক্যামেরা
- মৌলভীবাজারে ৬ বিকাশ প্রতারক গ্রেফতার
- সিলেটে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হবার সম্ভবনা
- সুনামগঞ্জের ফ্লাওয়ার লেকে ছুটছেন দর্শনার্থীরা
- আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই
- সিলেটে ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর জুটিতে তিনশ ছাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার লিড
- মৌলভীবাজার সমিতি সিলেটের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে স্মার্টের দিকে এগোচ্ছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- দেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত- বিবিএসের জরিপ
- সিলেটে সরাসরি ইন্টারভিউ, দুবাইয়ে কর্মী নিয়োগ
- নিসচা সিলেট জেলার আহবায়ক মিশু, সদস্য সচিব হায়াত
- ২২ বছর পর সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি
- দোকানে-দোকানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের
- বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে, শেষ প্রদীপও নিভে গেল দরিদ্র ফয়জুরের
- বড়লেখায় বিজিবির ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট বন্ধে কাজ চলছে : রেলমন্ত্রী