ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৯৫

করোনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০  

দেশে দেশে নিজের ভয়াল থাবা বসিয়েছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহামারি রূপে গর্জে ওঠা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। নিত্যদিন এই মরণব্যাধির বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তাই সংকটপূর্ণ এই সময়ে শুধু করোনা ভাইরাস নয়, যে কোনো ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য রোগ প্রতিরোধমূলক খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন করোনার মাঝে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোন ধরনের খাবার খাবেন-


তরল খাবার

যে কোনো তরল ও কুসুম গরম খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরল খাবার গ্রহণের ফলে দেহে ফ্লুইডের ঘাটতি পূরন হয় এবং দেহে শক্তি বৃদ্ধি পায়। তরল জাতীয় খাবার হল - স্যুপ, ক্লিয়ার স্টক, ফলের রস বা শরবত, ডিটোক্স জ্যুস, যেকোন চা ইত্যাদি।  


মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ

মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপে সমস্ত সবজি বিশেষ করে গাজর, পেঁপে, বরবটি, ফুলকপি ইত্যাদি থাকার কারনে এটি তরল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে ভিটামিনস, মিনারেলস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। 


রসুন

রসুনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুন হৃৎপিন্ডকে সুস্থ ও সতেজ রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। 


গ্রিন টি

গ্রিন টি তে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা দেহের জন্য উপকারী এবং অন্যান্য চায়ের তুলনায় গ্রীন টি তে ক্যাটেচিনের পরিমান বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 


আদা চা

আদা মশলার মধ্যে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই করোনাকালীন সময়ে আদা চা অনেক উপকারী।


মৌসুমি ফল

যেকোন মৌসুমি ফল দেহের জন্য উপকারী। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, কাম্রাঙ্গা ইত্যাদি। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে যাদের ব্লাড সুগার বেশি তাদের মিষ্টি ফল এড়িয়ে চলতে হবে। 


সবুজ শাক-সবজি

সবুজ শাক-সবজিতে ক্লোরোফিল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। এতে ভিটামিন ও মিনারেলস আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বরবটি, শিম, বেগুন, ধনেপাতা, সবুজ শাক, কঁচু শাক, পুই শাক, পালং শাক ইত্যাদি।  
 

রঙিন শাক-সবজি

রঙিন শাক-সবজি বিশেষ করে লাল শাক-সবজিতে আছে বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ভাইরাস প্রতিরোধ করে। লাল শাক, গাজর, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদিতে ভিটামিন-এ আছে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ৩ বেলা শাক-সবজি রাখাবেন। এতে করে দেহ সুস্থ থাকার পাশাপাশি যে কোনো রোগের মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। তবে যারা সবজি খেতে পছন্দ করেন না তারা স্যুপ, খিচুড়ি, সবজি পরোটা খাবেন।  


প্রোটিন জাতীয় খাবার

করোনার এই সময়ে ডব্লিউএইচও প্রোটিনের পরিমান বাড়িয়ে দিতে বলেছে। প্রানিজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি বিদ্যমান। 


টমেটো

টমেটোর মধ্যে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা হৃৎপিন্ড ভালো রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এতে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফোলেট ও ভিটামিন কে আছে যা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। টমেটো সালাদ, টমেটো স্যুপ, তরকারিতে টমেটো দিয়ে রান্না করে খেতে পারবেন। তবে টমেটো রান্না করলে  ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়৷ 


শশা

শশাতে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি ও ই রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, ভাইরাস প্রতিরোধে শশা খুব উপকারী।  


মাশরুম

মাশরুমে প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাশরুমের স্যুপ, গার্লিক মাশরুম শরীরের জন্য উপকারী।  


কাল গোলমরিচ

কাল গোলমরিচে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা যেকোন ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্যুপ, মাংসের তরকারি বা বিভিন্ন রান্নায় কাল গোলমরিচের গুড়া ব্যবহার করা যেতে পারে। 


হলুদ

হলুদ রান্নায় যেমন স্বাদ বাড়ায় তেমন হলুদে আছে অনেক পুষ্টিগুন। হলুদ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, লিভার ভাল রাখে। এমনকি জ্বর আসলে রোগী যদি দুধের সাথে হলুদের মিশ্রন পান করে তাহলে এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। 

মধু

মধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও মিনারেলস বিশেষ করে জিংক আছে যা মুখের রুচি বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।। যাদের সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, জ্বর, খুশখুশ, গলা ব্যাথা ও টনসিল আছে তাদের জন্য মধু খুবই উপকারী।  


পেঁয়াজ

পেঁয়াজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি হৃৎপিন্ডের জন্য উপকারী। 


ওমেগা ৩ ও ওমেগা৬ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। যেমন - সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, ডিম, আখ্রোট, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে।  


ভিটামিন-ডি

ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করে। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার হল দুধ, পনির, দই, মাখন, সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, পালং শাক, ডিম, মুরগীর মাংসের হাড়, নিহারি, শুটকি মাছ ইত্যাদি। 


ভিটামিন-কে

ভিটামিন-কে জাতীয় খাবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। আমেরিকায় এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে তাদের বেশির ভাগ মানুষের দেহে ভিটামিন-কে এর অভাব ছিল। সবুজ শাক-সবজি,  টমেটো, শশা, ফুলকপি, ধনেপাতা, ব্রোকলি, পাতাকপি, শক্ত পনির ইত্যাদিতে ভিটামিন - কে আছে। 


টক জাতীয় ফল

টকজাতীয় ফলের মধ্যে এসকরবিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যেমন - আমলকীতে ভিটামিন-সি এর পরিমান ১০০%। লেবু, টমেটো, শশা, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, কাচা মরিচ, ক্যাপ্সিকাম ইত্যাদিতে ভিটামিন সি আছে।


সতর্কতা

প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতিসাধন হয়। এমন বেশ কিছু খাবার আছে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এই সময়ে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন - 

* কার্বোনেটেড বেভারেজ 
* চিনি জাতীয় খাবার
* অতিরিক্ত লবন
* তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার
* দুধ চা

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার