ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১৩৫

করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন?

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

করোনায় অনেকেই আক্রান্ত হলেও সবাই সমানভাবে অসুস্থ হচ্ছেন না। কারও ক্ষেত্রে জীবন নিয়ে টানাটানি আবার কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাদের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, মৃদু উপসর্গের রোগীরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ১০০ শতাংশ করোনা পজিটিভ রোগীর মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ২০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উপসর্গ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তাই অত্যন্ত মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এমনটাই প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই।

মৃদু উপসর্গের লক্ষণ :
* হালকা জ্বর, তবে ১০০ ডিগ্রীর বেশি তাপমাত্রা থাকে না।
* ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা।
* দুর্বল ভাব, গা, হাত, পা ব্যথা এবং মাথা ব্যথা।
* কফ বা সর্দির দেখা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়।
* হালকা শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে।
* এই লক্ষণগুলো সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

কারা থাকবেন হোম আইসোলেশনে?

চিকিৎসকদের মতে, যাদের করোনার মৃদু উপসর্গ আছে কিন্তু কোনও উল্লেখযোগ্য উপসর্গ নেই, বয়স খুব বেশি নয় এবং নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারবেন একমাত্র এ ধরনের রোগীকেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে রাখা যেতে পারে। ৫০ বছরের বেশি এবং গর্ভবতী নারীকে হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না। গর্ভবতী নারীকে আইসোলেশন রাখতে চাইলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রাখতে হবে।

Uposorgo-2.jpgবাড়িতে থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানতে হবে:
আইসোলেশনে থাকার সময় কাছে অবশ্যই একটি পালস অক্সিমিটার রাখতে হবে। পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে প্রত্যেক দিন নিয়ম করে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। অক্সিজেনের মাত্রা যদি ৯৪ এর কম থাকে তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যাদের ব্লাড প্রেশার বা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে তারাও করোনা পজিটিভ হলে বাড়িতে থাকতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। বাড়িতে করোনা আক্রান্ত থাকলে বাড়ির অন্য সদস্যদের অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই যথাযথ মাস্ক পরে থাকা দরকার। একাধিকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া-সহ সামগ্রিক পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা দরকার।

করোনা আক্রান্তদের উপসর্গ কম হলেও সাবধানতা হিসেবে কিছু ওষুধ দেয়া হয়। নিয়ম করে সেই ওষুধ খাওয়া উচিৎ। রোগীকে বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতে দিতে হবে। অল্প বয়স বা উপসর্গ অনেক কম তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেক সময় হঠাৎ করোনা রোগীর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা যেতে পারে। তাই কোনোরকম শারীরিক সমস্যাকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। টাটকা খাবার, ফল, সবজি, দুধ বা দই খাবারের তালিকায় থাকলে আলাদা করে ভিটামিন খাবার দরকার নেই বলে অভিমত চিকিৎসকদের।

Uposorgo-2.jpgকরোনা পজিটিভ রোগী হোম আইসোলেশনে থাকলে শিশুদের সাবধানে রাখুন। সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। বারবার হাত ধোয়া এবং সামগ্রিক পরিছন্নতা মেনে চলতে হবে।

আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসগুলো যেন তার ঘরের মধ্যে রাখা থাকে। সেই জিনিস যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

অকারণে আতঙ্কিত না হয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে চিন্তামুক্ত থাকুন। ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলুন। মনকে ভালো রাখার জন্য গান শুনুন, সিনেমা দেখুন, বই পড়ুন, ছবি আঁকুন।

গৃহবন্দী থাকার সময় যদি শারীরিক সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়, তবে অবহেলা না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার