ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৫২

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কোথায় সবচেয়ে বেশি? বাঁচতে করণীয়

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০  

করোনা সংক্রমণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরাও করোনার গতিপথ নিয়ে গবেষণা করছে। প্রতিনিয়তই বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী ভাইরাসটি সম্পর্কে নতুন সব তথ্য দিচ্ছেন। 

তেমনই সম্প্রতি এক গবেষষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস জিনিসপত্রের মাধ্যমে যতটা না ছড়ায়, তার চেয়েও অনেক বেশি ছড়ায় মানুষের মাধ্যমে। আমেরিকার ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) কীভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা নিয়ে গবেষণাতে ও এই একই দাবি করেছে।

কোন কোন ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ছড়ানোর হার কেমন, ঝুঁকি কোথায় কতটা কম বা বেশি এই নিয়েও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছে সিডিসি। গবেষকরা এই বিষয়ে বলছেন, মানুষের সংস্পর্শ থেকেই করোনাভাইরাস বেশি ছড়িয়ে পড়ে। 

তবে সেই সংস্পর্শেরও নাকি প্রকারভেদ রয়েছে। গবেষকদের মতে, হাতের সংস্পর্শে এই ভাইরাস যেমন করে ছড়াবে, হাঁচি বা কাশি থেকে ছড়াবে তার চেয়েও অনেক গুণ বেশি।

গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইন ডেলিভারির পণ্য বা প্যাকেটজাত কোনো বাক্স থেকে সংক্রমণ ততটা ছড়ায় না। তার চেয়ে একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। 

বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, কোনো আলমারি ও ড্রয়ার জাতীয় জিনিসে এই ভাইরাস প্রায় ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। ধাতু ও প্লাস্টিকে বাঁচে প্রায় তিন দিন। তবে আশ্রয় নেয়ার মতো শরীর না পেলে এই ভাইরাস ততটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে না।

এ কারণে বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণ এড়াতে দুরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এড়াতে হাত ধোয়া ও মাস্ক অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। এছাড়া বাইরে থেকে ফিরে ভালোভাবে গোসল করতে হবে।

তাদের ভাষায়, হাতে ভাইরাস লাগলে সেই হাত চোখে, মুখে ও নাকে দিলে ভাইরাস শরীরে ঢুকবে। এ কারণে এসব জায়গায় স্পর্শ করার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।

সিডিসি’র মতে, এক জন সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করার জন্য এক হাজার ভাইরাল পার্টিকল প্রয়োজন। সংক্রামক ব্যক্তির শ্বাস থেকে প্রতি মিনিটে ২০ ভাইরাল পার্টিকল বের হয়। সুতরাং ৫০ মিনিট তার শ্বাসের কাছাকাছি থাকলেই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন এই ভাইরাসে। 

তবে মাস্ক পরলে সে সম্ভাবনা প্রায় ৬০ থেকে ৭৯ ভাগ কমে যায়। গবেষকরা বলছেন, চারপাশে যেহেতু অনেক উপসর্গবিহীন রোগী রয়েছেন এ কারণে মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে আরো জোর দিতে হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কথা বললে যে অদৃশ্য ড্রপলেট বের হয় তাতে প্রতি মিনিটে ২০০ ভাইরাল পার্টিকল বের হয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মাস্ক ছাড়া ৫ মিনিট কথা বললেই আরেকজন আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে-১৯ এ। আর মাস্ক পরে চার মিনিট কথা বললেও সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে প্রতি মিনিটে ২০ কোটি ভাইরাল পার্টিকল বের হয়। এই পার্টিকলগুলো প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাসে থাকে। এ কারণে বাইরে বরে হলেই মাস্ক পরা জরুরি।

সিডিসির মতে, কোনো মানুষের সঙ্গে ছয় ফুট দূরত্ব নিয়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকলেও ঝুঁকি কম থাকে। মাস্ক পরে দুই জন কাছাকাছি দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ৪ মিনিট পর্যন্ত কথা বললেও সংক্রামিত হওয়ার ভয় নেই। এছাড়া আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় দুই জনের মধ্যে ছয় ফুট দূরত্বে থাকলেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।

গবেষকরা বলছেন, রাস্তায় হাঁটার সময় যদি কারো পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে, হেঁটে বা জগিং করে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি যায় এবং যদি তিনি হাঁচি বা কাশি না দেন তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে সব জায়গাতেই মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস করা জরুরি।

গবেষকদের মতে, বদ্ধ জায়গা, দোকান, বাজার, রেস্তোরাঁ থেকে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ কারণে যতটা সম্ভব এসব জায়গা এড়িয়ে চলুন। আর গেলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া স্কুল-কলেজ, কনফারেন্স, অফিস, পাবলিক টয়লেট থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিয়েবাড়ি, পার্টি, কোনো অনুষ্ঠান, ঘরোয়া জমায়েত, সিনেমা হল- এসব জায়গায় লোক জমায়েত বেশি হওয়ায় এখান থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। 

তাই আগামী কয়েক মাস এসব স্থান এড়িয়ে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একান্তই যেতে হলে ঘন ঘন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ার বিকল্প নেই।  

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার