এবারের সফরটা ভুলবো না: টনি ডায়েস

আশির দশকের শেষ দিকে অভিনয়ের পথচলা শুরু হলেও টেলিভিশন পর্দায় তার অভিষেক ঘটে ১৯৯৪ সালে। বলছি নন্দিত অভিনেতা টনি ডায়েসের কথা। সেই থেকে শুরু করে কাজ করেছেন প্রায় চার শতাধিক নাটক ও টেলিফিল্মে। ছোট পর্দা ছাপিয়ে কাজ করেছিলেন বড় পর্দাতেও। তার অভিনীত ‘মেঘের কোলে রোদ’ চলচ্চিত্রটি এখনও দর্শক মনে রয়েছে।

দীর্ঘদিন অভিনয়ের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখে একটা সময় পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানেই স্থায়ী হন তিনি। পাঁচ বছর পর গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছেন নব্বই দশকের এই প্রিয় মুখ। তবে অভিনয় করতে নয়, এসেছেন শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে। আর তাই দেশে ফিরেই সোজা পাড়ি জমান পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে।

টনি ডায়েস বলেন, অনেক দিন পর দেশে এসেছি শুধুমাত্র আমার শৈশবের বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য। তাই এবারের সফরটা আমার জন্য একটু ব্যতিক্রম। শুধু শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানোর জন্যই এবার দেশে এসেছি। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়ার সুবাদে দুরন্ত এক শৈশব-কৈশোর কেটেছে আমার। অনেকদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার সময় হয় না। তাই এবার স্কুলজীবনের বন্ধুরা এক হয়েছি কক্সবাজারে।

তিনি আরও বলেন, চল্লিশ জন বন্ধু একত্রিত হয়েছি যাদের অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকে। শুধুমাত্র প্রাণের টানে ছুটে এসেছি নিজ দেশে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটানোর জন্য। চমৎকার একটা সময় উপভোগ করছি। বন্ধুরা মিলে স্মৃতিকাতরতায় ভাসছি। সমুদ্রসৈকতে সবাই মিলে পানিতে নেমেছি, মাছ ধরেছি। প্রতিটা মূহুর্তের সৌন্দর্যগুলো ক্যামেরাবন্দী করছি। একসাথে আড্ডা দিচ্ছি, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করছি আর সেই চিরচেনা খাবার খাচ্ছি। এবারের আনন্দটা অনেক বেশি ছিল। বন্ধুদের সাথে কাটানো এই মূহুর্তটা আসলেই মেমোরেবল হয়ে থাকবে।

এক সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার রাতের ফ্লাইটেই নিউইয়র্কে ফিরে যান এই অভিনেতা। তবে আসছে বছর আবারও আসতে পারেন দেশে। তখন হয়তো বা অভিনয়ে দেখা যেতে পারে ‘মেঘের কোলে রোদ’ খ্যাত এই অভিনেতাকে।