‘একটা পর্যায়ে কারও কাছেই প্রচুর টাকা থাকা উচিত নয়’

বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি তিনি। বর্তমানে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার তিনি। ইনি আর কেউ নন-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেছেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে কোনো ব্যক্তির কাছেই প্রচুর অর্থ থাকা উচিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনের দুই পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। ওয়ারেন সরাসরি বলেছেন, ফেসবুক তার অপছন্দ, আর স্যান্ডার্স কোনো বিলিয়নিয়ার থাকার পক্ষে নন। বিলিয়নিয়ারদের না থাকার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নিজেই।

সম্প্রতি ফেসবুকের কর্মীদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে হাজির হন জাকারবার্গ। সরাসরি সম্প্রচার করা ওই অনুষ্ঠানে স্যান্ডার্সের মন্তব্যে জাকারবার্গের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। জাকারবার্গ বলেন, ‘একজন মানুষের কাছে কী পরিমাণ অর্থ থাকা যথেষ্ট তা তিনি জানেন না। তবে তিনি মনে করেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে কারও কাছেই প্রচুর অর্থ থাকা উচিত নয়।’

গত সপ্তাহে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ফাঁস করে। ওই অনুষ্ঠানে জাকারবার্গ এলিজাবেথ ওয়ারেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। গত মার্চে প্রথম অসম প্রতিযোগিতা এবং ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস রোধে ফেসবুক, আমাজন এবং অন্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান এলিজাবেথ ওয়ারেন।

প্রায় সাত মাস পর, গত মঙ্গলবার ফেসবুকের কর্মীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের বৈঠকের ধারণকৃত অডিও ফাঁস করে সংবাদ পোর্টাল ‘দ্য ভার্জ’।

গত জুনের সেই বৈঠকে কর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন জাকারবার্গ। সেখানে ফেসবুক ভেঙে দেয়ার এলিজাবেথ ওয়ারেনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গও ওঠে। তিনি বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফেসবুক ভেঙে দেবেন। উত্তরে জাকারবার্গ আইনি লড়াইয়ের কথা বলেন। বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে ফেসবুক।

জাকারবার্গ বলেন, অনুষ্ঠানের তথ্য ফাঁস হওয়ায় অনেকেই অভ্যন্তরীণভাবে ধাক্কা খেয়েছেন। তবে তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করছেন না।

নিজের সম্পদ নিয়ে জাকারবার্গ বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান তাদের জীবদ্দশায় সমস্ত সম্পদ দান করে যাবেন।