আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান; সিলেটে বাড়ছে মাস্কের দাম

সিলেটে নগরে হঠাৎ বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। সকালেই মাস্কের দাম ছিল ১০ টাকা। রাতেই সে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে। মাস্ক বিক্রি এতটাই বেড়েছে যে অনেক স্থানে সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে তিন জন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার হঠাৎ করেই সিলেট নগরে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম।

গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে কথা হয় শামীমাবাদ এলাকার বাসিন্দা জুনাইদ আল হাবিবের সঙ্গে। জুনেদ বলেন, ‘সিলেট শহরের অনেক ধুলাবালি। তাই মাস্ক কিনেছি। যে মাস্ক আগে ১০ টাকা ছিল আজ সে মাস্ক ৫০ টাকা। রাত ৮টার দিকে এই মাস্কই দেখে এলাম আম্বরখানা ১০০ টাকা। সেখানে অনেক ভিড় ছিল মাস্ক কেনার জন্য।’

সমাজকর্মী আবিদ কাওছার জানান, ‘অনেক ওষুধের দোকান ঘুরে তিনি মাস্ক পাননি। মার্কেট আউট বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা।’
আবিদ বলেন, এসব দোকানে মাস্কের জন্য যে পরিমাণ ভিড় দেখেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে মানুষ আতঙ্কিত।

করোনা আতঙ্কে মাস্ক কিনছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা সজিব রায় নামে এক ক্ষুদে ব্যবসায়ী। সজিব বলেন, ‘করোনা আতঙ্ক থেকেই মাস্ক কিনে নিলাম। আজ যা পাওয়া যাচ্ছে কাল থেকে হয়তো সেটাও পাওয়া যাবে না। তাই দাম বেশি হলেও মাস্ক কিনে নিলেন।’

জিন্দাবাজারের মাস্ক, ক্যাপ বিক্রি করেন সেলিম আহমেদ। তিনি জানালেন, সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ মাস্ক বিক্রি বেড়ে গেছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পযর্ন্ত ৪০ টাকা করে ৫০টি মাস্ক বিক্রি করেছেন তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে তা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান।  এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসমানী হাসপাতালের এই পরিচালক বলেন, ‘সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হলেও এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।’

অপরদিকে সিলেটে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।

পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ১২০ টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ১০০ টি ও সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ২০ টি বেড প্রস্তুত রয়েছে।’অন্যদিকে খাদিমপাড়ার শাহপরাণ (রহ.) হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি দুবাই ফেরত এক যুবক করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কতৃপক্ষ জানায় তিনি এই রোগে আক্রান্ত নন।