ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৩৯২

আজ হবিগঞ্জে কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 


আজ ১৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী ১২৭ জনকে হত্যা করেছিল। লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নে কৃষ্ণপুর গ্রামটি অবস্থিত। হিন্দু ধর্মাবলম্বী অবস্থিত গ্রামটিতে প্রায় ২ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কৃষ্ণপুর গ্রামের অমরেন্দ্র লাল রায়ের নেতৃত্বে অনেক যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্য ভারতে চলে যায় এবং সরাসরি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসাবে নিরাপদ মনে করে গ্রামের মানুষের আত্মীয়-স্বজন সহ বহু মানুষ পালিয়ে এসে এ গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং এলাকার স্থানীয় রাজাকার আলবদর বাহিনীসহ পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে। তখন ছিল বর্ষাকাল। গ্রামের চতুর্দিকে ছিল ভরাবর্ষার পানি। গ্রামের মানুষ টের পেয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। অনেকে ভয়ে পুকুরের কচুরিপানার নীচে লুকিয়ে থাকে। অন্যদিকে হানাদার বাহিনীর চলতে থাকে নিষ্টুরতম অভিযান। যাকে যেভাবে পেয়েছে গুলি করে কিংবা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারতে থাকে। অনেককে ধরে এনে যদু নন্দন রায়ের ওয়াল ঘেরা বাড়ীতে এনে লাইনে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। যুবতী মেয়েদের ধরে এনে সম্ভ্রমহানি ঘটায়।

বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদরদের পৈশাচিক কান্ড। পরে এরা চলে যায়। এইদিন তারা গ্রামের ও গ্রামের বাহিরের ১২৭ জনকে নিষ্টুর ভাবে হত্যা করে এবং অনেক লোক মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে প্রাণে বেচে যায়। ধর্মীয় মতে এই লাশ গুলির কোন সৎকার সেদিন করা সম্ভব হয় নাই। সব লাশগুলিকে বর্ষার পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যাহারা বেঁচে গিয়েছিল পরবর্তী আবারো আক্রমনের ভয়ে ওই রাত্রে সব মানুষ যে যেভাবে পারে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই দিন এমন কোন একটি বাড়ীও তাদের হাত থেকে রেয়াই পায়নি। স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর অতিক্রান্ত হলেও শহীদদের স্মরণে সরকারি ভাবে কোন বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয় নি।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার